<p>সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পরই মোস্তফা সরয়ার ফারুকী স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, দৃশ্যমান পরিবর্তন আনতে চান তিনি। সে লক্ষ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সাতটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এর মধ্যে একটি হলো—‘রিমেম্বারিং মনসুন রেভল্যুশন’। এর আওতায় দেশের আটটি বিভাগীয় শহরের ১০ জন করে মোট ৮০ জনকে করানো হবে চলচ্চিত্র বিষয়ক কর্মশালা।</p> <p>এই কর্মশালা পরিচালনা এবং জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে আটটি কনটেন্ট নির্মাণের জন্য বাছাই করা হবে আট নির্মাতা। তাঁদের খুঁজে নেওয়ার জন্য একটি সার্চ কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রণালয়। যেখানে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব নাফরিজা শ্যামা রয়েছেন আহ্বায়ক হিসেবে। গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।</p> <p>১০ সদস্যের এই কমিটিতে আছেন সাহিত্যিক ও গণযোগাযোগ শিক্ষক সুমন রহমান, চলচ্চিত্র পরিচালক তানিম নূর এবং প্রযোজক-পরিচালক আদনান আল রাজিব। এ ছাড়া কমিটিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকও (সৈয়দ জামিল আহমেদ) সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।</p> <p>এ বিষয়ে নির্মাতা-প্রযোজক আদনান আল রাজিব বলেন, ‘আমরা এখন অপেক্ষা করছি প্রথম মিটিংয়ের। মিটিংয়ে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেব কোন নির্মাতারা কাজ করবেন। সেরা নির্মাতাদের নিয়ে কাজটা এগিয়ে নিতে চাই আমরা। ব্যক্তিগতভাবে আমি দায়িত্বটি নিয়ে সচেতন এবং মনে করি, এটি আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আইডিয়া। এখন যেমন ঢাকা বিনোদনের প্রধান কেন্দ্র, আমি চাই এটি ছড়িয়ে পড়ুক দেশের প্রতিটি বিভাগে। দেশের সব জায়গা থেকেই নতুন চলচ্চিত্র নির্মাতা উঠে আসুক।’</p> <p>‘রিমেম্বারিং মুনসুন রিভোলিউশন’ছাড়াও সংস্কৃতির বিকাশে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আরও কর্মসূচি রয়েছে। সেগুলো হলো, ‘তারুণ্যের উৎসব’, ‘দেশব্যাপী প্রতিভা সন্ধান’, ‘ডিজিটাল ওরাল হিস্ট্রি প্রকল্প’, ‘বাংলা একাডেমি সৃজনশীল লেখালেখি কর্মশালা ও গবেষণা প্রকল্প’, ‘জাতীয় জাদুঘরে আধুনিক ভিডিও প্রক্ষেপণ ব্যবস্থা স্থাপন’ এবং ‘শো-ক্রিয়েটর ওয়ার্কশপ’।</p>