<p>বৃক্ষবন্ধু শাহ সিকান্দার আহমদ শাকির। গত ১১ বছরে তিনি সিলেট শহর ও শহরের বাইরে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে রোপণ করেছেন ৩৩ হাজারের বেশি গাছ।</p> <p>শাহ সিকান্দার আহমদ শাকির জানান, ছোটবেলা পঞ্চম শ্রেণীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বলাই গল্পটি পড়েই গাছের প্রতি ভালোবাসা জন্মে তাঁর। ২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর হুমায়ুন আহমেদের জন্মদিনে সিলেটের মানিক পীর টিলার কবরস্থানে কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগানোর মাধ্যমে তার বৃক্ষরোপণের যাত্রা শুরু হয়। এরপর সিলেট শহর ও আশপাশের এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির, করবস্থান, শহীদ মিনার, রাস্তাঘাট ও সরকারি-বেসরকারি খালি জায়গায় ৩৩ হাজারের বেশি গাছ রোপণ করেন। </p> <p>তার রোপণ করা গাছের মধ্যে রয়েছে- কৃঞ্চচূড়া, নিম, হরীতকী, বহেরা, নাগেশ্বর, বকুল, দেবদারু, রঙ্গন, শিমুল, রাধাচূড়া, কড়ই, শীল, অর্জুন, চাকারশি, কাঠবাদাম, লুকলুকি, আগর, আম, জাম, জামরুল, গোলাপজাম, কাঁঠাল, তালবীজ, কামরাঙা, আমলকী, লটকান, তেঁতুল, আকাশি, জবা, শিউলি, চেরিফল, চেরিফুল, পেয়ারা, সফেদা, বাগানবিলাস, হাসনাহেনা, বেল ব্যাট, কদম, বকফুল, নারিকেল, জলপাই, কাঁঠালচাঁপা, কাঞ্চনমালা, কাঠগোলাপ, বেলি,  টগর, দুরন্ত, পাতাবাহার, নয়নতারা, মাল্টা, কমলা, ডালিম, সজিনা, বড়ই, আপেল কুল, লিচু, অপরাজিতা, ডালিয়া ও জাম্বুরা।</p> <p>সিলেটের মুরারি চাঁদ কলেজ (এমসি কলেজ) থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করে শাকির বর্তমানে সিলেটের ন্যাশানাল হার্ট ফাউন্ডেশন হিসাব শাখায় সহকারী হিসাবরক্ষক পদে আছেন। অফিস টাইম শেষে বাড়তি আয়ের জন্য তিনি টিউশনি পড়ান।<br />  <br /> বাবা-মাসহ তিন ভাই ও দুই বোন নিয়ে তাঁদের সংসার। ভাইবোনদের মধ্যে শাকির সবার বড়। সিলেট শহরেই জন্ম ও বেড়ে ওঠা। তার পিতা একসময় রাজমিস্ত্রীর ঠিকাদার ছিলেন। বর্তমানে তাঁর পিতা অসুস্থতার কারণে আগের মতো আর কাজ করতে পারেন না। সিলেট শহরে শাকিরের পরিবার ভাড়া থাকেন। </p> <p>বৃক্ষবন্ধু শাহ সিকান্দার আহমদ শাকির জানান, পৃথিবীকে সবুজময় করে তুলতে তার মতো সবাই যেন গাছ রোপণ অভিযানে যুক্ত হন। সমাজের সবার  স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমেই কেবল প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষার পথে অগ্রসর হওয়া যায়।<br />  </p>