<p>সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় সরকারি গোচারণভূমিতে ঘাস চাষের পরিবর্তে নিয়মবহির্ভূতভাবে শসার আবাদ করা হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেছে মিল্ক ভিটা। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে সরেজমিনে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।</p> <p>সম্প্রতি কালের কণ্ঠ অনলাইনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর ঘটনার তদন্তে ২১ ডিসেম্বর কমিটি গঠন করা হয় বলে জানান মিল্ক ভিটার উপমহাব্যবস্থাপক (সমিতি) ডা. মো. ছাইফুল ইসলাম।</p> <p>মিল্ক ভিটার উপব্যবস্থাপক (সমিতি) ডা. তরুণ তপন বিন্দকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির অন্যরা হলেন- সদস্যসচিব মিল্ক ভিটার সহকারী ব্যবস্থাপক (সমিতি-বাথান) ইকবাল হোসেন, সদস্য মিল্ক ভিটার সহকারী ব্যবস্থাপক (সমিতি) ডা. এনামুল কবির, জুনিয়র অফিসার (সমিতি) জাহাঙ্গীর আলম, সমিতির সংগঠক খ ম আমিনুল ইসলাম ও ছানোয়ার হোসেন।</p> <p>প্রসঙ্গত, মিল্ক ভিটার আওতায় ১০৬৮.১৪ একর গোচারণভূমি রয়েছে। এসব গোচারণভূমি ৪৯টি প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতি লিমিটেডকে সরকারিভাবে স্বল্পমূল্যে বাৎসরিক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই গোচারণভূমি গবাদি পশুর লালন-পালন এবং দুধের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যবহার করার কথা। অথচ স্থানীয় দুগ্ধ সমিতি এবং মিল্ক ভিটার কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে শাহজাদপুর উপজেলার বৃ-আঙ্গারু ও হাড়নি এলাকায় প্রায় ১৫০ বিঘা জমি নিয়মবহির্ভূতভাবে সাব-বরাদ্দ নিয়ে কৃষকরা শসা চাষ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে শসাচাষিরা লাভবান হলেও গোচারণভূমি কমে যাওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন গরুর খামারিরা।</p>