<p>তরুণ অভিনয়শিল্পী আইশা খান। শুরুটা মডেলিং দিয়ে হলেও নিয়মিত অভিনয় করছেন বছর কয়েক হলো। এবার তিনি অভিযোগ করলেন এক নির্মাতার বিরুদ্ধে। আরেক তরুণ পরিচালক আবু হায়াত মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন তিনি। গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি জানান আইশা।</p> <p>আবু হায়াতের বিরুদ্ধে বকেয়া টাকা পরিশোধ না করার অভিযোগ আনেন আইশা। তাকে মেনশন করে লেখেন, ‘আপনার ভাষ্য মতে আমি যদি একজন লক্ষ্মী শিল্পী-ই হয়ে থাকি, তাহলে ২ বছর আগে শুরু হওয়া কাজের রেমুনারেশন আমাকে দিতে এত অপেক্ষা করাচ্ছেন কেন আবু হায়াত মাহমুদ ভূঁইয়া ভাইয়া?’</p> <p>বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমকে আইশা বলেন, “আমি পোস্ট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উনি (আবু হায়াত মাহমুদ ভূঁইয়া) আমাকে কল দেন। কিন্তু আমি খুব আপসেট ছিলাম। কারণ কষ্ট বেশি না পেলে এ ধরনের পোস্ট দিতাম না। সেখানে দুই বছর হয়ে গেছে এবং গত আট মাস ধরে তিনি একই অজুহাত দিচ্ছেন। তার পরিবারের সদস্য অসুস্থ, হাতে টাকা নেই, শুটিং চলছে সামনে মাসে টাকা এলেই আমাকে দিয়ে দেবেন, বিষয়গুলো গত ১০ মাস ধরে শুনছি। আর শুনতে চাচ্ছিলাম না। এ জন্য ফোনটা ধরিনি। এর পাঁচ মিনিট পর দেখি উনি আমাকে ‘থ্যাংকস’ লিখে খুদে বার্তা পাঠিয়েছেন।”</p> <p>অভিনেত্রীর কথায়, ‘এটি দীপ্ত প্লের একটি সিরিজের কাজ ছিল। ২০২২ সালের অক্টোবর কিংবা নভেম্বরে সম্ভবত শুটিং শুরু হয়। ২৬ পর্বের কাজ ছিল। মাসে দেখা যেত এক দিন করে শুটে যেতে হয়েছে আমাকে। প্রথম দুটি বিল উনি আমাকে সঙ্গে সঙ্গে দিয়েছেন। এর পর থেকে দেরি করে দিতেন। সর্বশেষ এ বছরের কোরবানি ঈদে বিল দেন। উনার শ্বশুর তখন অসুস্থ ছিলেন। দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন তিনি। আমার এক লাখের ওপরে বকেয়া ছিল। যেহেতু ঈদ মৌসুম সেহেতু উনার কাছে আমি পারিশ্রমিক চাই। উনি আমাকে ৫০ হাজার দেন। এখনো সাড়েও ৬২ হাজার বাকি। ঈদের পর থেকেই টাকাটা নিয়ে ঘোরাচ্ছেন। ফোন দিলেই নানা অজুহাত দেন। গতকাল পোস্ট দেওয়ার পর অনেকেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা জানান, উনি (আবু হায়াত মাহমুদ) এ রকমই। পারিশ্রমিক দেন না ঠিকমতো। কেউ কেউ আশাও ছেড়ে দিয়েছেন ঘুরতে ঘুরতে।’</p> <p>সর্বশেষে আইশার প্রশ্ন, ‘আমার কথা হচ্ছে একজন শিল্পীকে এসব বিষয় নিয়ে ভুগতে হবে কেন?’ তবে বিষয়টি নিয়ে আবু হায়াতের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।</p>