টিভি পর্দার জনপ্রিয় নির্মাতা ভিকি জাহেদ। ওয়েব কনটেন্ট দিয়েও দর্শককে মুগ্ধ করেছেন। একের পর এত দুর্দান্ত থ্রিলার উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। বলতে গেলে, নির্মাণে স্বকীয় অবস্থান তৈরি করেছেন ভিকি জাহেদ।
মনের দিক দিয়ে খুব নরম মানুষ আমি : ভিকি জাহেদ
- আসছে ভিকির ‘নীল সুখ’
- থাকছেন মেহজাবীন-রেহান
- ১৮ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছে এটি
বিনোদন প্রতিবেদক

‘নীল সুখ’ কতখানি অনুভব করছে দর্শক?
খুব ভালো।
ছবিটি আসলে কেমন?
ক্যারিয়ারে অনেক কাজই তো করেছি। তবে এটাতে ব্যক্তিগত অনেক আবেগ জড়িয়ে আছে। আমার জীবনের কিছু ঘটনার ছায়াও এখানে আছে। গল্পটা যৌথ পরিবারের, আমারও বেড়ে ওঠা যৌথ পরিবারে।
হুমায়ূন আহমেদকে উৎসর্গ করলেন ‘নীল সুখ’। বিশেষ কোনো কারণ আছে নিশ্চয়ই?
এই ছবি দেখলে প্রথমেই মনে হবে বুঝি হুমায়ূন আহমেদের কাজ, মাঝে মনে হবে সত্যজিৎ রায়ের আর শেষে গিয়ে দর্শক বুঝবে এটা আসলে ভিকি জাহেদেরই নির্মাণ। এই দুজন মানুষকে আমি খুব পছন্দ করি। তাঁদের শিল্পচর্চার যে ধরন, সেটাতে আমি ভীষণ অনুপ্রাণিত। তাই ‘নীল সুখ’ হুুমায়ূন আহমেদকে উৎসর্গ করেছি। তাঁর নির্মাণ দেখে আমরা যে নস্টালজিয়া অনুভব করি, ‘নীল সুখ’ দেখেও সে রকম ফিলিংস পাবে দর্শক।
সুখ নীল কেন? নীল তো বেদনার রং...
হ্যাঁ, সুখের রং সাধারণত নীল হয় না। গল্পের শুরু থেকেই কৌতূহল হবে, কেন নীল সুখ? একেবারে শেষ দৃশ্য এলে বুঝতে পারবে দর্শক। তখন মনে হবে এ নামটাই যথার্থ।
থ্রিলারে খ্যাতি পেয়ে হঠাৎ পারিবারিক-রোম্যান্টিক গল্প তুলে ধরলেন কেন?
আমি খুব মেলানকলিক মানুষ। অনেকে ভাবে, আমি শুধু থ্রিলার বানাই, হিংস্রতা, রক্ত এসব খুব পছন্দ। কিন্তু মনের দিক দিয়ে খুব নরম মানুষ আমি। আমার প্রথম দিককার কাজগুলো যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা অবশ্য জানেন। পরের দর্শকরা সেটা জানেন না। একবার এক দর্শক মন্তব্য করেছেন, ‘ভাই, আপনার কাজ খুব ভালো লাগে। তবে আপনাকে কেউ বিয়ে করবে না, ভয়ে!’ অথচ ব্যক্তিগত জীবনে আমি খুব নরম হৃদয়ের মানুষ, বিষণ্নতা আমাকে খুব টানে। আমার কাছে বিষণ্নতাই সুখ।
এ ছবির প্রধান চরিত্রে মেহজাবীন চৌধুরী ও ফররুখ আহমেদ রেহান। তাঁদের রসায়ন কেমন জমেছে?
মেহজাবীনের ক্যারিয়ারে অন্যতম সেরা অভিনয়। অনেক কাজ করেছি তাঁর সঙ্গে। ‘চিরকাল আজ’ সব সময় আমাদের প্রথম পছন্দ। এটাকে কখনো সেকেন্ড পজিশনে আনতে পারব না। এর পরই রাখব ‘নীল সুখ’। পুরো গল্প একাই টেনে নিয়েছেন মেহজাবীন। রেহানের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। সামনের মানুষটা যখন এত ভালো অভিনয় করছে, তখন নতুন অভিনেতা হিসেবে তাঁর জন্য আসলেই কঠিন ছিল। তবু রেহানকে দর্শক পছন্দ করছে। নতুন হিসেবে কিছুটা ছাড় তো দিতেই হবে। দুজনকে বেশ মানিয়েছেও। এটাই চাচ্ছিলাম আমি। কারণ মেহজাবীনের সঙ্গে অনেকের জুটি দেখেছে দর্শক; নতুন কিছু দিতে চেয়েছি। রেহান খুব পরিশ্রমী। ওর উজ্জ্বল সম্ভাবনা আছে।
ভালোবাসা দিবসে আপনার একটি নাটকও তো এলো...
হ্যাঁ, চ্যানেল আইতে—‘সেদিন ছিল শুক্রবার’। বেশ ভালো থ্রিলার গল্প। তবে ‘নীল সুখ’ নিয়ে দর্শকের মাতামাতিতে নাটকটা একটু পেছনে পড়ে গেছে। তবে যারাই দেখেছে, ভালো বলছে। তৌসিফ ও তটিনী দুজনেই বেশ ভালো অভিনয় করেছে।
সামনে ঈদ। নতুন কী করছেন?
রোজার ঈদে কিছু করতে পারব না। তবে কোরবানির ঈদে একটা বড় ধামাকা আসবে। আফরান নিশো ভাইয়ের সঙ্গে একটি কাজের কথাবার্তা চলছে, প্রায় চূড়ান্ত। আশা করছি হবে।
সারা বছর নতুন নতুন কাজ নিয়ে আসেন। অধিকাংশই নিজের গল্পে। এত গল্প কিভাবে খুঁজে পান?
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দিই। আমার জীবনে কোনো ঘটনা ঘটেছিল, সেটাকে ধরে গল্প ভাবি। এ ছাড়া অন্য কারো জীবনের ঘটনা থেকেও অনুপ্রাণিত হই। প্রচুর বই পড়ি। সেখান থেকেও আইডিয়া পাই। অন্যদের গল্পেও কাজ করি। যেমন ‘সেদিন ছিল শুক্রবার’ লিখেছেন সোহাইল রহমান। জাহান সুলতানা, নাজিম উদ দৌলার গল্পে কাজ হয়। একা একা তো সম্ভব না।
প্রায় সব অভিনয়শিল্পীই ভিকির নির্মাণে অভিনয় করতে বিশেষ আগ্রহবোধ করেন। কেমন লাগে?
অদ্ভুত অনুভূতি। আমি সৌভাগ্যবান। দেশে যত আর্টিস্ট আছেন, আমার কাজে সবাই একবাক্যে রাজি হয়ে যান। এমনও হয়, গল্প না পড়েই রাজি হয়ে যান। এটা আমার পরম পাওয়া। তবে এ জায়গায় আসতে তো লম্বা সময় পার করতে হয়েছে। এখনো মনে আছে, আমার প্রথম কাজ ‘মোমেন্টস’-এ অনেক বুঝিয়ে জোভানকে রাজি করাতে হয়েছে। তার দোষ নেই। কারণ আমি নতুন ছিলাম। চিত্রনাট্য দেখে তবেই কাজ করবে, স্বাভাবিক। আর এখন আমার ফোন করতে হয় না, অফিস থেকে ফোন করলেই হয়। এটা সৃষ্টিকর্তার দয়া। যদি বলেন আমার ক্যারিয়ারের প্রাপ্তি কী? তাহলে বলব এটাই—প্রত্যেক শিল্পী আমার সঙ্গে কাজ করতে চান।
সম্পর্কিত খবর

যতক্ষণ টাকা থাকে ততক্ষণই ঈদ সালামি দিই : তমা মির্জা
বিনোদন প্রতিবেদক

‘সুড়ঙ্গ’ মুক্তির দুই বছর পর ঈদুল ফিতরে নতুন সিনেমা ‘দাগি’ নিয়ে বড় পর্দায় হাজির হয়েছেন তমা মির্জা। যার দরুণ এবারের ঈদ উৎসব তার সিনেমা ঘিরেই কাটবে, এটা বলাই বাহুল্য। ঈদের পরিকল্পনা জানাতে গিয়ে এই চিত্রনায়িকা কালের কণ্ঠকে বলেন, “ঈদের দিন বিকেল পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গেই থাকব। তাদের সঙ্গে সময় কাটাব।
ঈদের দিন মায়ের হাতের গরুর মাংস রান্না এবং লাচ্ছি সেমাই খেতে ভীষণ পছন্দ করেন তমা মির্জা। বাসায় সবার জন্য পোলাও রান্না হলেও এদিন শুধু তার জন্য আলাদা করে সাদা ভাত রান্না করতে হয় বলে জানান এ নায়িকা।
ফ্যাশন সচেতনতায়ও অনন্য তমা। আবহাওয়া বুঝে পোশাক নির্ধারণ করেন। ঈদের পোশাক প্রসঙ্গে তমা মির্জা বলেন, ‘এখন যেহেতু একটু গরম, দিনের বেলা অল্প ডিজাইনের মধ্যে হালকা গড়নের কামিজ পরা হবে। এরপর রাতে যেহেতু ফ্রেন্ডজদের বাসায় যাওয়া হবে তখন আবার একটু অন্য রকম ডিজাইনের কামিজ পরা হবে।’
ঈদ আনন্দে সালামি, প্রসঙ্গ টেনে নায়িকা জানালেন ঈদে এখন সালামি পাওয়ার চেয়ে দেওয়াই হয় বেশি। বললেন, ‘এখন আর সেভাবে সালামি পাই না। শুধু আব্বু-আম্মুর কাছ থেকেই পাই। তবে দেওয়া হয় বেশি, ছোটদের দিই সব সময়ই। যতক্ষণ আমার কাছে টাকা থাকে ততক্ষণই সালামি দিই। আব্বু-আম্মুর কাছ থেকে প্রাপ্ত সালামির চেয়ে আমার জন্য তাদের দোয়াটাই আমার কাছে মূল্যবান।’
ছোট আর বড় বেলায় ঈদের আনন্দটাও অনেকটা বদলে যায়। শৈশবের আনন্দটাই ছিল অন্য রকম। ঈদের আগে লাগেজ গুছিয়ে দাদু বাড়ি চলে যেতেন। সেখান থেকে চাচার বাড়ি, নানার বাড়ি- এভাবেই ঘুরে বেড়িয়ে উদযাপন করা হতো ঈদ। সে সময় পাওয়া ঈদ সালামিগুলো টিফিনের টাকার মতো করে জমিয়ে রাখতেন বলে জানান। এর পর বললেন, ‘ছোটবেলায় ঈদ কাটত দাদু, চাচা-নানি-খালাদের সাথে আর এখন ঈদ কাটে দর্শকের সাথে। যেহেতু এখন ঈদে আমার সিনেমা রিলিজ হয়।’

এক লাখ টাকা সালামি পেয়েছি : জায়েদ খান
বিনোদন প্রতিবেদক

এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন জায়েদ খান। সেখানেই উদযাপন করেছেন এবারের ঈদ। এর আগেও একবার দেশটিতে ঈদ করেছিলেন। তবে এবার মিস করছেন সব আপন মানুষদের।
কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে জায়েদ খান বলেন, বাবা-মায়ের কবরে যাওয়া মিস করছি। তাদের কথা খুব মনে পড়ছে। ভাই-বোনদের মিস করছি, মায়ের মত বোন যে তাকে খুব বেশি মিস করছি এবার।
বাবা-মা বেঁচে থাকাকালীন প্রতি ঈদেই তাদের কাছ থেকে সালামি পেতেন জায়েদ খান। এবার সেটাও মিস করছেন বলে জানালেন।
শৈশবের স্মৃতি ঘেঁটে তিনি বললেন, আমি পিরোজপুরের শৈশবের ঈদটাকে মিস করি খুব।
ঈদে সালামি দিতেও পছন্দ করেন জায়েদ খান আবার নিতেও। সর্বোচ্চ সালামি পেয়েছেন এক লাখ টাকা, আবার দিয়েছেনও তবে সেটা তার কোনো এক প্রিয় মানুষকে।

যে সিনেমার টিকিট পাব সেটাই দেখতে যাব : আইশা
বিনোদন ডেস্ক

ঈদে আনন্দে এসেছে খানিক পরিবর্তন। বরাবরের চেয়ে এবারের ঈদ একটু অন্য রকম আইশা খানের কাছে। তার মতে, যখন থেকে আমি নিয়মিত কাজ শুরু করেছি (২০২৪ থেকে) তখন থেকে ঈদের আনন্দটা একটু ডিফারেন্ট হয়ে গেছে। এখন কাজ নিয়েই বেশি এক্সাইটমেন্ট কাজ করে।
ঈদের পরিকল্পনা হিসেবে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি যাওয়া এবং সিনেমা দেখার ইচ্ছে রয়েছে বলে জানান আইশা।
উৎসব বলতে একটা সময় তার কাছে শুধু বিয়ে বাড়ি বলেই মনে হতো। যে কারণে ঈদ পোশাকেও বিয়ে বাড়ির কথা মাথায় রাখতেন আইশা। ঈদে কী পোশাক পরতে পছন্দ করেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, ঈদের জন্য সব সময় আমি এমন পোশাকই নিতাম যেটা কোনো একটা উৎসবে পরা যায়। ছোটবেলায় উৎসব বলতে শুধু বিয়ে বাড়ি ছিল।
‘দাদুর হাতের রান্না করা পোলাও, মায়ের হাতের বানানো কাবাব, বড় মামির হাতে বানানো কাবাব এবং মামান্টির হাতে রান্না করা রোস্ট- এই চারটা খাবার আমার খুবই প্রিয়, আমাকে খেতেই হয়।’- ঈদের প্রিয় খাবারের তালিকায় এগুলো যেন নাহলেই নয়, এমনটাই বললেন আইশা।
ঈদ উৎসবে সালামি দেওয়ার চেয়ে নিজে পান বেশি। তবে কিছু বিষয় মিস করেন খুব। আইশা খান বলেন, ‘আমার পরিবারে যেহেতু আমার পরে ছোটদের সংখ্যা কম তাই সালামি দেওয়ার চেয়ে আমার পাওয়াই হয় বেশি। তবে এখনের চেয়ে আমার কাছে ছোটবেলায় পাওয়া সালামিগুলোই মধুর মনে হয়। এখন তো পাঁচ শ কিংবা এক হাজার টাকার চকচকে নোট পাওয়া যায় কিন্তু ওই সময় দুই টাকা কিংবা পাঁচ টাকার বান্ডিল পেতাম, যেটা মোট করলে পঞ্চাশ অথবা এক শ টাকা হতো। ওই সময়টা খুব মিস করি, ওই সময়ের সেই খুচরা টাকার বান্ডিলগুলোকেও মিস করি খুব। ছোটবেলায় আত্মীয়দের থেকে যে টাকাটা সালামি পেতাম সেটা আমার আম্মু নিয়ে রেখে দিত, বলত পরে যখন তোমার লাগবে তখন দেব। কিন্তু সেই সালামির টাকাগুলো আমি আজও পাইনি... হাহাহা।’

পর্দা ও পরিবার ঘিরেই তাদের ঈদ
বিনোদন প্রতিবেদক

ঈদ এলেই উৎসবের রং ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। তারকারাও ব্যতিক্রম নন। সাধারণ মানুষের মতো পর্দার মানুষগুলোও এই দিনটিকে ঘিরে সাজিয়ে রাখেন বিশেষ পরিকল্পনা। শুটিংয়ের ব্যস্ততা শেষে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আড্ডা, ঘুরে বেড়ানো—সব মিলিয়ে ঈদ মানেই বাড়তি আনন্দ।
অভিনেত্রী সাফা কবির। বছরজুড়ে ব্যস্ততার পাশাপাশি ঈদের অভিনেত্রীর ব্যস্ততা কম নয়। এই ঈদেও আসছে সাফার বেশ কয়েকটি নাটক।
ঈদে মুক্তি পাচ্ছে তমা মির্জার ‘দাগি’। সিনেমাটি ঘিরে দর্শক প্রত্যাশাও অনেক। তবে পর্দায় হাজির হওয়ার পাশাপাশি ঈদ নিয়েও ব্যস্ত অভিনেত্রী। ঈদের পরিকল্পনা জানাতে গিয়ে তমা মির্জা কালের কণ্ঠকে বলেন, “ঈদের দিন বিকেল পর্যন্ত পরিবারের সাথেই থাকব। তাদের সঙ্গে সময় কাটাব। তারপর ‘দাগি’ টিমের যদি কোনো পরিকল্পনা থাকে তাহলে তাদের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাব। এরপর আবার নিজে লুকিয়ে লুকিয়ে হলে গিয়ে দর্শকদের সঙ্গে বসে সিনেমাটা দেখব। তখন দর্শকদের ‘র’ রিয়েকশনটা দেখতে পারি। এ রকমটা আগেও করেছি। ‘সুড়ঙ্গ’ মুক্তির সময়ে আম্মু আর আমি টিকিট কেটে গিয়ে সিনেমা দেখে এসেছিলাম। এবারও তাই করব।”
ঈদের দিন মায়ের হাতের গরুর মাংস রান্না এবং লাচ্ছি সেমাই খেতে ভীষণ পছন্দ করেন তমা মির্জা। বাসায় সবার জন্য পোলাও রান্না হলেও এদিন শুধু তার জন্য আলাদা করে সাদা ভাত রান্না করতে হয় বলে জানান এ নায়িকা। তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন অন্যান্য সবার মতো আমাদের বাসায়ও গরুর মাংস, রোস্ট, পোলাও রান্না করা হয়। তবে ঈদের দিন সাদা ভাত আর আম্মুর হাতের গরুর মাংস আমার ভীষণ পছন্দ। এটা আমার সবচেয়ে প্রিয় খাবার। সবার জন্য পোলাও রান্না করলেও আমার জন্য আম্মু সাদা ভাত রান্না করেন। এরপর সেমাই তো অবশ্যই। লাচ্ছি সেমাই আমার খুব প্রিয়, সেটাও আম্মুর হাতের।’
এবার ঈদে নুসরাত ফারিয়ার ‘জ্বিন ৩’ মুক্তি পাচ্ছে। সিনেমার প্রচারের সঙ্গে ঈদ নিয়েও ব্যস্ত অভিনেত্রী। ঈদ নিজের মতো করে পালন করছেন নুসরাত ফারিয়া। ছোটবেলার ঈদ, আর এখনকার ঈদ কতটা বদলেছে? প্রশ্নের জবাবে নুসরাত ফারিয়া বলেন, ‘ছোটবেলার ঈদ অনেক ঝামেলাবিহীন, সহজ-সরল ছিল। এখন আর সেটা নেই। তবু ঈদ মানেই তো আনন্দ। এই আনন্দটা কতটা তা হয়তো ঠিক ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। সারা মাস রোজা রাখার পর একটা দিন এভাবে সেলিব্রেট করার আনন্দই আলাদা। বাড়িতে সবার সঙ্গে কাটানো, এটা আসলে একাত্মতার দিন, সবাই এক হয়ে যাওয়ার দিন। ছোটবেলার ঈদের থেকে বড়বেলার ঈদ অনেকটাই বদলেছে, সেটা তো ঠিকই, তবু এই উৎসব আমার কাছে আজও আগের মতোই স্পেশাল।’
এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আইশা খান। অল্প সময়েই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন এ অভিনেত্রী। এবার ঈদে বেশ কিছু নাটকে দেখা মিলবে তার। সেই ঈদের পরিকল্পনা হিসেবে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি যাওয়া এবং সিনেমা দেখার ইচ্ছে রয়েছে বলে জানান আইশা। কালের কণ্ঠকে এই অভিনেত্রী বলেন, পরিকল্পনা হিসেবে বলা যায় একটু ঘোরাঘুরি আর সিনেমা দেখা। এবারের ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমার লাইনআপটা খুবই ভালো। ইতিমধ্যে ‘চক্কর ৩০২’ সিনেমাটি দেখে ফেলেছি প্রিমিয়ার শোতে। এ ছাড়া বাকি যে সিনেমা রয়েছে সেগুলোর টিকিট পাব কি না জানি না। তবে যেটার টিকিট পাব সে সিনেমাটিই দেখতে যাব।’
এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ফারিণ। বর্তমানে নাটকের কাজ নিয়েই অধিক ব্যস্ত তিনি। ফারিণ অভিনীত বেশ কটি নাটক ঈদুল ফিতরে প্রচার হবে। ঈদে পর্দার পাশাপাশি ব্যক্তি জীবনেও ফারিণ থাকবেন আনন্দ-উদ্দীপনায়। সারা বছর ডায়েট করে চললেও ঈদে খাওয়াদাওয়া করেন চুটিয়ে। এ প্রসঙ্গে ফারিণ বলেন, ‘ঈদের সময়ে ডায়েট ভুলে যাই আরকি! যদিও ডায়েট আমি কমই করি। আমি জেনেটিক্যালি একটু শুকনা। সারা বছর যতটুকু ডায়েট করি, ঈদের সময়ে ততটুকুও করি না।’
ঝাল, টক, মিষ্টি— কোনটা খেতে বেশি পছন্দ করেন? এ প্রশ্নের উত্তরে ফারিণ খান বলেন, “ঝাল, আমি ঝাল খেতে ভীষণ পছন্দ করি।”
দেশের শোবিজ অঙ্গনের আলোচিত নায়ক জায়েদ খান। এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন জায়েদ খান। সেখানেই উদযাপন করেছেন এবারের ঈদ। তবে বিদেশে থাকলেও দেশের ঈদ মিস করছেন অভিনেতা। কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে জায়েদ খান বলেন, ‘বাবা-মায়ের কবরে যাওয়া মিস করছি। তাদের কথা খুব মনে পড়ছে। ভাই-বোনদের মিস করছি, মায়ের মতো বোন যে তাকে খুব বেশি মিস করছি এবার। সেই সঙ্গে সব আপন মানুষরা তো রয়েছেনই।’