রান্নায় লবণ, ঝালের পাশাপাশি হলুদও গুরুত্বপূর্ণ। হলুদ ছাড়া রান্নার কথা ভাবাও যায় না। হলুদ ছাড়া রান্না করলে খাবার দেখতে যেমন ভালো লাগে না, স্বাদেও তেমনি পূর্ণতা আসে না। আবার বেশি হলুদ হয়ে গেলে পুরো রান্নার স্বাদই মাটি হয়ে যায়।
রান্নায় লবণ, ঝালের পাশাপাশি হলুদও গুরুত্বপূর্ণ। হলুদ ছাড়া রান্নার কথা ভাবাও যায় না। হলুদ ছাড়া রান্না করলে খাবার দেখতে যেমন ভালো লাগে না, স্বাদেও তেমনি পূর্ণতা আসে না। আবার বেশি হলুদ হয়ে গেলে পুরো রান্নার স্বাদই মাটি হয়ে যায়।
রান্নায় যদি হঠাৎ করে হলুদ বেশি হয়ে যায় তা হলে কী করবেন? জেনে নিন দারুণ কয়েকটি ঘরোয়া উপায়, যেগুলো হলুদের গন্ধ ও স্বাদ কমাতে সাহায্য করবে।
নারকেল দুধ
তরকারিতে অতিরিক্ত হলুদ পড়ে গেলে তার স্বাদ ঠিক করতে পারে নারকেল দুধ। নারকেলের দুধের একটা মিষ্টি স্বাদ আছে।
পানি
অতিরিক্ত হলুদের গন্ধ আর স্বাদ কমানোর জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হলো রান্নায় পানি দিন।
তেঁতুল কিংবা অন্য কোনো টক
এই জিনিস শুধু রান্নায় অতিরিক্ত হলুদের স্বাদ কমাবে তা নয়। রান্নায় খুব ভালো একটা স্বাদ আনবে। হলুদ অতিরিক্ত হয়ে গেলে সেখানে আমচুর পাউডার দিতে পারেন। রান্নার স্বাদ খুব সুন্দর ব্যালান্স হয়ে যাবে। এ ছাড়া দিতে পারেন তেঁতুল। তেঁতুল অল্প পানিতে মিশিয়ে রান্নায় দিয়ে দিন। খানিক নেড়ে নিয়ে রান্না টেস্ট করে দেখুন। হলুদের বাড়তি স্বাদ আর পাবেন না।
এ ছাড়া আরেকটি সহজ উপকরণ তো আছেই- টমেটো সস। আমাদের সবার বাড়িতে থাকে। সেটাই দিয়ে দিন। হলুদ আবার বেশি হয়ে গেলেও সে তরকারি তেতো স্বাদের হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে তেঁতুল বা যেকোনো টকই পারে গোটা রান্না সামাল দিতে। সাধারণত একটু বেশি পানি দিলেই কাজ হয়।
মিষ্টি দিন
অতিরিক্ত হলুদের কটু স্বাদ ঢাকতে পারে মিষ্টি কিছুর স্বাদ। কিন্তু সব রান্নায় আবার মিষ্টি দেওয়া যাবে না। যে রান্নায় মিষ্টি যায় সেই রান্নায় দিন। আর মিষ্টি যাতে রান্না খারাপ না করে ফেলে সেটিও দেখতে হবে। চিনি ব্যবহার করা ছাড়াও সামান্য গুড় ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে মধুও ব্যবহার করতে পারেন। মধু বা গুড়, এই দুই উপকরণই রান্নায় হলুদের স্বাদ যেমন ব্যালান্স করবে, তেমনই রান্নার স্বাদে আনবে অন্য মাত্রা।
একটি বিশেষ পেস্ট
এই পেস্টটা কিন্তু অনবদ্য। হলুদের স্বাদ এক চুটকিতে কমানোর জন্য এর থেকে সহজ আর ভালো খুব কম জিনিসই আছে। আলাদা একটা পাত্রে কিছু আদা, রসুন, টমেটো আর পেঁয়াজ নিন। মোটামুটি ছোট করে কেটে নিন। এবার অল্প তেলে ভাজুন। ভাজা হয়ে গেলে আর টমেটো, আদা, রসুন, পেঁয়াজ নরম হয়ে গেলে সেগুলি একটু ঠাণ্ডা করে মিক্সিতে বেটে নিন। এই পেস্ট এবার রান্নায় দিয়ে ভালো করে মেশান। তবে খেয়াল রাখবেন, আপনি কিন্তু হলুদের স্বাদ কমানোর জন্য এই পেস্ট দিচ্ছেন। তাই সেই পরিমাণেই দেবেন। ১০ মিনিট পরই দেখবেন রান্নার স্বাদ খুলে গেছে।
গোটা তেজপাতা
তেজপাতার এই তেজ কিন্তু আপনারা এত দিন জানতেন না। রান্নায় হলুদের অতিরিক্ত স্বাদ কমিয়ে আনবে তেজপাতা। শুধু গোটা চার-পাঁচটা তেজপাতা রান্নায় দিয়ে দিন আর ফুটিয়ে নিন কয়েক মিনিট। এরপর রান্না থেকে তেজপাতা সরিয়ে দিন। তেজপাতার গন্ধ হলুদের থেকে তীব্র আর সুন্দর। এই গন্ধ হলুদের গন্ধ সরিয়ে দেবে। তেজপাতা রোগ প্রতিরোধের পাশাপাশি রান্নায় স্বাদ আনতেও সাহায্য করে।
যেকোনো বড় পাতা
এটা আমাদের দাদি-নানিদের কৌশল। আগেকার দিনে রান্নায় হলুদ বেশি হয়ে গেলে এই পদ্ধতিতে তারা রান্না ঠিক করতেন। লাউ পাতা, কুমড়া পাতা, পুঁই শাক, এই ধরনের পাতা কয়েকটা দিয়ে দিন রান্নায়। তারপর কয়েক মিনিট ফুটিয়ে পাতাগুলো আলাদা করে দিন রান্না থেকে। রান্নায় যে অতিরিক্ত হলুদ পড়ে গিয়েছিল, কেউ বুঝতেই পারবে না। পাতায় যে সবুজ রং থাকে তা রান্না থেকে হলুদ রং শুষে নেয়। যার ফলে স্বাভাবিকভাবে ব্যালান্স ঠিক হয়ে যায়।
গরম খুন্তি
এইটা একদম অন্য রকমের টিপস। হলুদ তরকারিতে বেশি হলে গ্যাসের মধ্যে একটি খুন্তি ভালো করে গরম করুন। লোহার খুন্তি হলে বেশি ভালো। বেশ গরম যখন হয়ে আসবে তখন ওই গরম অংশ রান্নার মাঝখানে দিয়ে দিন। ৫ মিনিট রান্নায় ডুবিয়ে রেখে তুলে ফেলুন। এবার তরকারি ভালো করে মিশিয়ে খেয়ে দেখুন দেখি! এই উপকরণগুলো নির্দিষ্ট রান্না অনুযায়ী ব্যবহার করুন। সব রান্নায় তো সব কৌশল খাটানো যাবে না। কিন্তু এই সব কৌশল খুব কার্যকরী। এটিও হলুদের স্বাদ কমানোর বেশ কার্যকর উপায়। একটা সুপারি নিয়ে দুই টুকরা করে নিন। সেটা তরকারির মধ্যে দিয়ে কয়েক মিনিট ফুটিয়ে নিন। সুপারিটি এবার ফেলে দিন। এতেও রান্নার স্বাদ ভালোমতো ফিরে আসবে। এই উপকরণগুলো নির্দিষ্ট রান্না অনুযায়ী ব্যবহার করুন।
সম্পর্কিত খবর
এই মৌসুমে বাজারে অনেক ধরনের শাক পাওয়া যায়। তবে সেটা শীতকালের তুলনায় কিছুটা কম। বর্ষা ছাড়া প্রায় সময়েই বাজারে এই শাকের দেখা পাওয়া যায়। জনপ্রিয় এই লাল শাক প্রায় সবার বাড়িতেই নানা পদে রান্না করা হয়।
ভাতে এই শাক মাখলেই টুকটুকে লাল হয়ে যায় রং। সুস্বাদু এই শাক অত্যন্ত উপকারী। তবে এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদরা।
একাধিক ভিটামিন, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, কপার, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজে ভরপুর লালশাক হজমে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খুবই উপকারী লালশাক। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী কফ ও পিত্ত দোষ দূর করে এই শাক। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, জিংক, কপার, ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর লালশাক হাড়ের স্বাস্থ্য অটুট রাখে। হাড়ের একাধিক রোগের আশঙ্কা দূর করে।
হৃদযন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখে লাল শাকের গুণ। নিয়ন্ত্রণ করে হৃদরোগের আশঙ্কা। রক্তাল্পতা অসুখেও উপকারী এই শাক।
তবে এত উপকারী লাল শাকেরও কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। এটি ইনসুলিনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। তাই যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়ার প্রবণতা বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া আছে তারা এটা খাবেন না।
লাল শাকে প্রচুর ভিটামিন কে আছে। তাই যারা অ্যান্টি কোয়াগুল্যান্টস নিচ্ছেন তারা এই শাক খাবেন না। এর ফলে ড্রাগ মেটাবলিজমে সমস্যা হতে পারে।
যারা অন্তঃসত্ত্বা বা সন্তানকে স্তন্যপান করান, তারা লাল শাক খাবেন না। কারণ এর অতিরিক্ত ফাইবার থেকে ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা থেকে শুরু করে জ্বরও হতে পারে। অতিরিক্ত লাল শাক খেলে উদ্ভিজ্জ খাবার থেকে আয়রন শোষণে সমস্যা হতে পারে।
লালশাক কেনার সময় দেখে নিতে হবে সেটা খাঁটি লাল শাক কি না। আসল লাল শাক হলে ভাত মাখার সময় তার রং হবে লাল টুকটুকে৷ অনেক সময় লাল শাক কৃত্রিম ভাবে রং করাও হয়। সেটাও দেখে নিন সতর্ক হয়ে।
সূত্র : নিউজ ১৮
বাদাম স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। এটি খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তবে আপনি কি জানেন, মস্তিষ্ক ভালো রাখতে, স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বাদাম খাওয়া খুব দরকার? তবে বাদামের সঙ্গে এই খাবারগুলোও খেতে হবে। তবেই আপনার মস্তিষ্ক আরো সতেজ হবে।
বাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। তা ছাড়া এটি খেলে আপনার বড় রোগের ঝুঁকি কমার পাশাপাশি ত্বকও উজ্জ্বল হয়। মস্তিষ্ক ভালো রাখতে, স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বাদামের সঙ্গে কী কী খাবার খাবেন, তা জানুন এই প্রতিবেদনে।
ডার্ক চকোলেট
বাদামের সঙ্গে ডার্ক চকোলেট খেতে পারেন।
ব্লুবেরি ও বাদাম
আপনি যদি ব্লুবেরি ও বাদাম (আমন্ড) একসঙ্গে খেতে পারেন। এতে আপনার মস্তিষ্ক আরো সতেজ হবে, স্মৃতিশক্তিও বাড়বে। কারণ ব্লুবেরিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্থোসায়ানিন থাকে, তা ছাড়া বাদামে ভিটামিন ই থাকে। যা আপনার মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে।
দই ও বাদাম
দই ও বাদাম একসঙ্গে নিত্যদিন খাওয়ার স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো।
ওটস ও বাদাম
ওটস ও বাদাম একসঙ্গে খান। এতে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ থাকে। তা ছাড়া থাকে ফাইবারও। আর বাদামে ভিটামিন ই, ওমেগা-৩ থাকে। যা মস্তিষ্ক আরো সতেজ করতে সাহায্য করে।
আখরোট ও বাদাম
আখরোট ও বাদামে (আমন্ড) নিত্যদিন একসঙ্গে খাওয়া খেলে আপনার স্মৃতিশক্তি হু হু করে বাড়তে থাকবে। এতে প্রচুর পরিমাণে ডিএইচএ থাকে। যা এক ধরনের ওমেগা-৩। যা মস্তিষ্কের জন্য খুব ভালো।
পালংশাক ও বাদাম
পালংশাক ও বাদাম একসঙ্গে খান। এতে আপনার ত্বক অন্ত্র সবই ভালো থাকবে। সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তি বাড়বে। কারণ পালংশাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। মানসিক চাপ কমাতে খুব সাহায্য করে। তা ছাড়া বাদামে ভিটামিন ই থাকায় মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
হলুদ ও বাদাম
হলুদ ও বাদাম খাওয়া খুব ভালো। হলুদের প্রচুর পরিমাণে কারকিউমিন থাকে। আর বাদামে ভিটামিন ই, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যা আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে।
বাদামও ডিম
বাদামও ডিম নিত্যদিন একসঙ্গে খেতে পারেন। এতে স্মৃতিশক্তি বাড়ার পাশাপাশি আপনার মানসিক চাপও কমবে। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি এবং ই থাকে।
গ্রিন টি ও বাদাম
গ্রিন টি ও বাদাম একসঙ্গে খেতে পারেন। এটি খেলে আপনার মানসিক চাপ কমবে। যদি আপনি রাতে নিত্যদিন গ্রিন টি আর বাদাম একসঙ্গে খান, তাহলে আপনি রাতে ভালো ঘুমাতেও পারবেন।
কলা ও বাদাম
কলা ও বাদাম একসঙ্গে খাওয়া খুব ভালো। কলাতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, পটাশিয়াম থাকে। যা মস্তিষ্ক ভালো রাখতে সাহায্য করে। যা মানসিক চাপ কমায়। আর ভিটামিন ই থাকায় এটি আপনার ত্বকের জন্য খুব ভালো।
সূত্র : ওয়ানইন্ডিয়া
মানব দেহের একটি অত্যাবশ্যকীয় খনিজ হচ্ছে ম্যাগনেসিয়াম। ৩০০টিরও বেশি রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে এটি আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ, পেশি সঞ্চালন, মলত্যাগের নিয়মিততা এবং হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে।
এ ছাড়া যথাযথ পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ ঘুম ও শারীরিক বিশ্রামকে উন্নত করে, মেজাজ ভারসাম্য রাখে এবং প্রদাহ হ্রাস করতে সাহায্য করে।
যদিও মানব দেহের জন্য ম্যাগনেসিয়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু অনেকেই প্রতিদিনের এই প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারেন না। নারীদের জন্য আদর্শ হলো দৈনিক ৩১০-৩২০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম গ্রহণ করা এবং পুরুষদের জন্য আদর্শ হলো ৪০০–৪২০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ করা।
সাধারণত বাদাম, বীজ, পাতাযুক্ত সবজি, ডাল ও আলুতে ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায়। তবে ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত পানীয়ও একটি সহজ ও সুবিধাজনক উৎস হতে পারে।
মিনারেল ওয়াটার
মিনারেল ওয়াটার প্রাকৃতিক ভূগর্ভস্থ জলাধার ও ঝর্ণা থেকে সংগ্রহ করা হয়। এতে প্রায়ই ম্যাগনেসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান বেশি থাকে। কিছু বোতলজাত মিনারেল ওয়াটারে প্রতি লিটারে ১২০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ম্যাগনেসিয়াম থাকে।
পানির মাধ্যমে শরীরকে হাইড্রেট রাখা সবসময়ই ভালো। এ ক্ষেত্রে মিনারেল ওয়াটার আপনার হাইড্রেশন ও ম্যাগনেসিয়ামের চাহিদা পূরণে সাহায্য করতে পারে।
নারকেল পানি
নারকেলের পানি বলতে এখানে সবুজ কচি নারকেলের ভেতরের স্বচ্ছ তরল পানির কথা বোঝানো হয়েছে। এটি ইলেকট্রোলাইট সমৃদ্ধ। এ ছাড়া এটি খেলোয়াড়দের কাছে খুব জনপ্রিয়।
যদিও এতে পটাশিয়ামের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, তবুও প্রতি কাপ নারকেল পানিতে প্রায় ৬০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম থাকে। সামান্য মিষ্টি ও হাইড্রেটিং পানীয় হিসেবে এটি একটি ভালো পছন্দ।
উদ্ভিদভিত্তিক দুধ
উদ্ভিদভিত্তিক দুধ ম্যাগনেসিয়ামের একটি চমৎকার উৎস হতে পারে। বিশেষ করে যখন এটিকে আরো পুষ্টিতে আরো শক্তিশালী করা হয়। ফর্টিফাইড এসব খাবারকে শক্তিশালী করার জন্য অতিরিক্ত ভিটামিন ও খনিজ যোগ করা হয়।
১ কাপ ফর্টিফাইড সয়া দুধে ৫৪ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম থাকে। অপরদিকে, ১ কাপ আনফর্টিফাইড বাদাম দুধে থাকে মাত্র ১৯ মিলিগ্রাম। দুগ্ধজাত খাবার এড়াতে চাইলে এটি একটি পুষ্টিকর বিকল্প হতে পারে।
কোকোভিত্তিক পানীয়
এই পানীয়গুলো তৈরি হয় কাঁচা কোকো পাউডার দিয়ে। এটি দক্ষিণ আমেরিকার একটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় চিরহরিৎ গাছ থেকে আসে। এর থেকেই চকলেট, কোকো ও কোকো মাখন উৎপন্ন হয়। কাঁচা কোকো ম্যাগনেসিয়ামের অন্যতম উৎসগুলোর মধ্যে একটি। এক টেবিল চামচ কাঁচা কোকোতে ৩৫ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম থাকে।
অনেকে এটি দিয়ে হট চকোলেট বা স্মুদি তৈরি করতে ভালোবাসেন। কারণ এর স্বাদ কোকোর চেয়ে কিছুটা তেতো। এতে সাধারণত কোনো চিনি যোগ করা থাকে না এবং বেশি পুষ্টি উপাদান থাকে।
ব্ল্যাকস্ট্র্যাপ গুড়
ব্ল্যাকস্ট্র্যাপ গুড় ম্যাগনেসিয়ামের অন্যতম সেরা উৎস। প্রতি টেবিল চামচে ১০০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও আয়রন সরবরাহ করে।
১ টেবিল চামচ ব্ল্যাকস্ট্র্যাপ গুড় গরম পানিতে গুলে ম্যাগনেসিয়াম পানীয় তৈরি করুন। স্বাদের ভারসাম্য বজায় রাখতে লেবুর রস দিতে পারেন। গুড়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবহারগুলোর মধ্যে একটি হলো কুকিজ বেক করা, এটি ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ পানীয়তেও তৈরি করা যেতে পারে।
স্মুদির তেতো-মিষ্টি স্বাদ ঢাকতে স্মুদিতে ব্ল্যাকস্ট্র্যাপ গুড় যোগ করতে পারেন।
সবুজ স্মুদি
সাধারণত পালং শাক, কেল, সুইস চার্ডের মতো পাতাযুক্ত সবজি দিয়ে সবুজ স্মুদি তৈরি করা হয়। এর সাথে কলা, বেরি, অ্যাভোকাডো বা উদ্ভিদভিত্তিক দুধ মেশানো যায়।
পাতাযুক্ত সবজিই ম্যাগনেশিয়ামের মূল উৎস। ১ কাপ কাঁচা পালং শাকে ২৪ মিলিগ্রাম, ২ কাপ কাঁচা কেল-এ ৩৩ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এ ছাড়া এতে কুমড়ার বীজ যোগ করলে (১ আউন্সে ১৬৮ মিলিগ্রাম) পুষ্টিগুণ আরো বাড়ে।
কফি
এনার্জি বৃদ্ধির জন্য পরিচিত হলেও কফিতে সামান্য পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম থাকে। প্রতি কাপ ব্ল্যাক কফিতে প্রায় ১০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম থাকে। যদি প্রতিদিন সকালে কয়েক কাপ কফি পান করেন তবে ৩০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ম্যাগনেসিয়াম পেতে পারেন।
কফিতে কাঁচা কোকো পাউডার বা ফর্টিফাইড দুধ যোগ করলে পুষ্টি আরো বাড়বে।
ভেষজ চা
নেটল, ড্যান্ডেলিয়ন ও রুইবসের মতো ভেষজ চায়ে সামান্য পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম থাকে। তবে এটি নির্ভর করে কোন গাছ থেকে চা তৈরি হয়েছে এবং কিভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে তার ওপর।
নেটল টিতে প্রায় ১০ মিলিগ্রাম বা তার কম ম্যাগনেসিয়াম থাকে। তবে এটি প্রতিদিনের চাহিদা পূরণে সহায়তা করে।
ক্যাফেইনযুক্ত চা বা কফির বিপরীতে ভেষজ চা মানসিক শান্তি ও রিল্যাক্সেশন দিতে সাহায্য করে এবং আপনার ডায়েটে অতিরিক্ত ম্যাগনেসিয়াম যোগ করে।
ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত অন্যান্য খাবার
যদিও পানীয় ম্যাগনেসিয়ামের একটি উৎস, তবে খাদ্যই সবচেয়ে ভালো উপায়। নিচে কিছু চমৎকার উৎসের নাম তুলে ধরা হলো—
চিয়া বীজ : প্রতি আউন্সে ১১১ মিলিগ্রাম।
বাদাম : প্রতি আউন্সে ৮০ মিলিগ্রাম (প্রায় ২৩টি বাদাম)।
সিদ্ধ পালং শাক : আধা কাপ (৪ আউন্সে) ৭৮ মিলিগ্রাম।
সিদ্ধ কালো মটর : আধা কাপ ৬০ মিলিগ্রাম।
অ্যাভোকাডো : ৫৮ মিলিগ্রাম/মাঝারি ফল
ডার্ক চকোলেট (৭০-৮৫% কোকো) : ৫০ মিলিগ্রাম/আউন্স।
সিদ্ধ বাদামি চাল : ৪২ মিলিগ্রাম/আধা কাপ।
টোফু : ৩৫ মিলিগ্রাম/৩ আউন্স
কলা : ৩২ মিলিগ্রাম/মাঝারি আকার
মানব দেহ নিজ থেকে ম্যাগনেসিয়াম উৎপাদন করতে পারে না। খাদ্য বা সাপ্লিমেন্ট থেকে এটি গ্রহণ করতে হয়। যদিও বিভিন্ন উদ্ভিদভিত্তিক সম্পূর্ণ খাবার খাওয়া সবচেয়ে ভালো, তবে আপনি চাইলে প্রাকৃতিকভাবে ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত বা ফর্টিফাইড পানীয় থেকেও কিছু পরিমাণ পেতে পারেন। আপনার কাছে যে বিকল্পটি ভালো লাগে সেটিই বেছে নিন—অল্প হলেও প্রতিদিনের ম্যাগনেসিয়ামের চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে।
সূত্র : ভেরিওয়েলহেলথ ডট কম
দেশে দিন দিন গ্যাসের সংকট বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি বাণিজ্যিক খাতে বৃদ্ধি পেয়েছে গ্যাসের দাম। যেকোনো সময় আবাসিক খাতে বৃদ্ধি পেতে পারে। এ ছাড়া সিলিন্ডারের দামও ভোক্তার নাগালের বাইরে।
তবে আপনি চাইলে গ্যাস ব্যবহারে সাশ্রয় করতে পারেন। এতে গ্যাসের খরচ কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা করা যায়।
রান্নার সময় ঢাকনা ব্যবহার : যখন আপনি কোনো খাবার রান্না করছেন, তখন পাত্রের ওপর ঢাকনা দিয়ে রাখুন। ঢাকনা ব্যবহার করলে ভেতরের তাপ বাইরে বের হতে পারে না, ফলে খাবার দ্রুত সিদ্ধ হয় এবং গ্যাসের ব্যবহার কমে।
ডাল ও শস্য ভিজিয়ে রাখুন : ডাল ও শস্য রান্নার আগে কয়েক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে তা নরম হয়ে যায়। এর ফলে রান্নার সময় কম লাগে এবং গ্যাসের সাশ্রয় হয়। বিশেষ করে শুকনো ডাল ও মটরশুঁটি রান্নার আগে ভিজিয়ে রাখাটা খুব জরুরি।
একসঙ্গে একাধিক খাবার রান্না : যদি সম্ভব হয়, একই সময়ে একাধিক খাবার রান্না করার চেষ্টা করুন। যেমন, একটি বার্নারে তরকারি এবং অন্যটিতে ভাত বা রুটি তৈরি করা যেতে পারে।
সঠিক আকারের বার্নার ব্যবহার : রান্নার পাত্রের আকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বার্নার ব্যবহার করুন। ছোট পাত্রের জন্য বড় বার্নার ব্যবহার করলে গ্যাসের অপচয় হয়। তাই পাত্রের আকারের সঙ্গে মানানসই বার্নার ব্যবহার করে গ্যাসের খরচ কমানো যায়।
বার্নার পরিষ্কার রাখুন : নিয়মিত গ্যাসের বার্নার পরিষ্কার করুন। বার্নারের ছিদ্রগুলোতে ময়লা জমলে আগুনের শিখা সঠিকভাবে বের হতে পারে না। ফলে রান্না করতে বেশি সময় লাগে এবং গ্যাসও বেশি খরচ হয়। বার্নার পরিষ্কার রাখলে গ্যাসের কার্যকারিতা বাড়ে।
সূত্র : আজকাল