পুষ্টিতে ভরপুর বেল খেলে পাবেন যেসব উপকার

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
পুষ্টিতে ভরপুর বেল খেলে পাবেন যেসব উপকার
সংগৃহীত ছবি

আমাদের দেশের অতি জনপ্রিয় একটি ফল বেল। বিশেষ করে বেলের শরবত খেলে পাওয়া যায় প্রশান্তি। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি স্বাস্থ্যের জন্যও ভীষণ উপকারী। শরবত ছাড়াও পাকা বেল এমনি খেতেও ভীষণ মজা।

আর কাঁচা বেল বিভিন্ন পদ্ধতিতে খেলে মিলবে স্বাস্থ্য উপকারিতা। তবে অনেকেই আছেন এর ফলটি খেতে পছন্দ করেন না। বেলের স্বাস্থ্য উপকারিতা জানলে এ ফলটি খেতে উৎসাহী হবেন সবাই।

চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বেলের উপকারিতা

বিশেষজ্ঞদের মতে, বেলে রয়েছে হাজারও পুষ্টিগুণ।

সুস্বাস্থ্যের জন্য আমাদের বেল খাওয়া একান্ত জরুরি। বেলে আছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-সি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়ামসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান।

উপকারিতা

  • বেল খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বেলে আছে ফেনোলিক কম্পাউন্ড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
এটি শরীরের ফ্রি-রেডিকেল দূর করে এবং বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না।
  • কাঁচা বেল সেদ্ধ করে শরবত বানিয়ে বা পাকা বেলের শরবত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ভালো হয়। বেলের ফাইবার খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে। এতে হজমশক্তির উন্নতি হয়।
  • পাকা বেলে রয়েছে আলসার উপশমকারী উপাদান।
  • যাদের এ সমস্যা আছে, তারা বেলের শরবত খেলে উপকৃত হবেন।
  • যাদের পাইলস, এনাল ফিস্টুলা ইত্যাদি মলদ্বারের রোগ আছে তাদের জন্য বেল ভীষণ উপকারী।
  • পাকা বেলে রয়েছে মেথানল নামক উপাদান, যা রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। বেলের শরবত খেলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়া পাকা বেল রক্ত শুদ্ধ করতে সাহায্য করে।
  • বেল ভিটামিন-সি এর একটি উৎস। তাই এটি খেলে ভিটামিন-সি এর অভাবজনিত রোগ, যেমন স্কার্ভি প্রতিহত হয়।
  • বেলে আছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান। এটি যক্ষা নিরাময়ে ভূমিকা রাখে।
  • ক্লান্ত শরীরে কর্মশক্তি ফিরে পেতে পাকা বেলের শরবত কার্যকারী ভূমিকা রাখে।
  • শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বেল খেলে। কারণ এতে আছে এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান।
  • বেলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আন্টি প্রলেফিরেটিভ ও অ্যান্টি মুটাজেন নামক উপাদান বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস করতে সাহায্য করে।
  • বেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-এ। আর এই ভিটামিন চোখের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
  • লিভার ভালো রাখতে কাজ করে বেলে থাকা থিয়ামিন ও রিবোফ্লাভিন। 
  • কাঁচা বেল রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করে পানিতে মিশিয়ে খেলে ডায়রিয়ার সমস্যা দূর হতে পারে। তবে ডায়রিয়ার সমস্যায় পাকা বেল খাওয়া উচিত নয়।
  • কাঁচা বেল কেটে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি খেলে আমাশয়ের মতো সমস্যা উপশম হয়।
  • ম্যালেরিয়া হলে কাঁচা বেলের শরবত বা ভিজিয়ে রাখা পানি খেলে উপকার পাওয়া যায়।
  • কাঁচা ও পাকা বেল পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূরীকরণে ভূমিকা রাখে।
  • সতর্কতা

    বেল শরীরের জন্য উপকারী হলেও অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। বেল খাওয়ার পরিমাণ অতিরিক্ত হলে শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে এবং বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

    মন্তব্য

    সম্পর্কিত খবর

    গরমে ঘরে স্বস্তি আনবে ইনডোর প্ল্যান্টস

    জীবনযাপন ডেস্ক
    জীবনযাপন ডেস্ক
    শেয়ার
    গরমে ঘরে স্বস্তি আনবে ইনডোর প্ল্যান্টস
    সংগৃহীত ছবি

    গ্রীষ্মকালে যখন সূর্যের তীব্র তাপে ঘরবাড়ি হয়ে ওঠে গরম, তখন এসি বা কুলার ছাড়া যেন আর উপায় থাকে না। যদিও আমরা জানি, এসব যন্ত্র পরিবেশের জন্য খুব একটা ভালো নয়। তবুও গরমের তাপে আমরা প্রায়ই অসহায় হয়ে পড়ি। এদিকে সবার এসি বা কুলার কেনার মতো সামর্থ্য থাকে না।

    একটু সচেতন হলেই প্রাকৃতিক উপায়ে ঘর ঠাণ্ডা রাখার উপায় রয়েছে, যেমন ঘরের ভেতর গাছ লাগানো। কয়েকটি ইনডোর প্ল্যান্ট আছে যেগুলো ঘর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে ও পরিবেশও সুন্দর রাখে। চলুন, জেনে নিই প্ল্যান্টগুলো সম্পর্কে।

    অ্যালোভেরা
    ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা পরিচিত হলেও, ঘরের বাতাস পরিষ্কার রাখতেও এর জুড়ি নেই।

    এটি অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ায় এবং ফর্মালডিহাইড ও বেনজিনের মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।

    লাকি ব্যাম্বু 
    শুধু সৌভাগ্য নয়, এই গাছটি ঘর রাখে সতেজও। এটি খুব সহজে টিকে থাকতে পারে এবং বাতাস থেকে বিষাক্ত গ্যাস যেমন কার্বন মনোক্সাইড ও ফর্মালডিহাইড শোষণ করে নেয়।

    পিস লিলি
    সাদা রঙের সুন্দর ফুলবিশিষ্ট এই গাছটি ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়।

    এটি বাতাসের অতিরিক্ত আর্দ্রতা শোষণ করে, শ্বাস নিতে সাহায্য করে এবং ঘরে আর্দ্রতার ভারসাম্য বজায় রাখে।

    স্পাইডার প্ল্যান্ট
    এটি খুব কার্যকর একটি গাছ। বাতাসের দূষণকারী উপাদান যেমন কার্বন মনোক্সাইড ও ফর্মালডিহাইড শোষণ করে এবং বাতাস চলাচল উন্নত করে।

    অ্যারেকা পাম
    এই গাছটি ঘরের বাতাসে আর্দ্রতা যোগ করে ও দূষণ কমায়। এটি অক্সিজেন বাড়ায় এবং ঘরের বাতাস ঠাণ্ডা রাখে প্রাকৃতিকভাবেই।

    এই গাছগুলো শুধু ঘর ঠাণ্ডাই রাখে না, বরং স্বাস্থ্যকর পরিবেশও তৈরি করে। তাই এই গ্রীষ্মে এসি বা কুলার ছাড়াও ঘর ঠান্ডা রাখতে বেছে নিতে পারেন এই প্রাকৃতিক ‘এয়ার কুলার’ গাছগুলোকে।

    সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

    মন্তব্য

    মচমচে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরির সহজ রেসিপি

    জীবনযাপন ডেস্ক
    জীবনযাপন ডেস্ক
    শেয়ার
    মচমচে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরির সহজ রেসিপি
    সংগৃহীত ছবি

    রেস্টুরেন্টে বসে স্যান্ডউইচ বা বার্গারের সঙ্গে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। ছোটদের তো আবার আলাদা ভালোবাসা এই মুচমুচে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের প্রতি। বাড়িতেও মাঝেমধ্যে তারাই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাওয়ার বায়না ধরে। কিন্তু দোকানের মতো মচমচে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বানানো কি এত সহজ? একটু কৌশল জানলেই রেস্টুরেন্টের স্বাদ এনে ফেলা যায় নিজের রান্নাঘরেই।

    চলুন, জেনে নিই।

    স্টার্চ দূর করা
    প্রথমে আলু ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মতো করে কেটে নিন। তারপর তা পানিতে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এতে আলুর স্টার্চ বেরিয়ে যাবে।

    শুধু একবার ধুলেই হবে না, পানি বদলে আবার ভিজিয়ে রাখুন।

    সোজা ভাজবেন না, ভাপে নিন
    কাটা আলুগুলো সরাসরি তেলে না দিয়ে আগে হালকা ভাপিয়ে নিন। এতে ভাজলে আলু শক্ত হবে না, বরং সুন্দর করে সিদ্ধ হয়ে ভেতরটা নরম আর বাইরেটা থাকবে মচমচে।

    ফ্রিজে রাখার কৌশল
    ভাপে নেওয়ার পর আলুগুলো অন্তত এক থেকে দেড় ঘণ্টা ফ্রিজে রাখুন।

    ভাজার আধা ঘণ্টা আগে বের করে আনলে ভালো ফল পাবেন।

    দুইবার ভাজতে হবে
    দোকানের মতো মচমচে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মূল রহস্য, ডাবল ফ্রাইং। প্রথমে মাঝারি আঁচে হালকা ভেজে তুলে রাখুন। ঠাণ্ডা হলে আবার একটু বেশি আঁচে ভেজে নিন। তাহলেই হবে একেবারে রেস্টুরেন্টের মতো মুচমুচে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই।

    সূত্র : এই সময়

    মন্তব্য

    মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে যে শাক

    জীবনযাপন ডেস্ক
    জীবনযাপন ডেস্ক
    শেয়ার
    মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে যে শাক
    সংগৃহীত ছবি

    শাক-সবজির মধ্যে পাট শাক একটি পরিচিত নাম। যদিও এর স্বাদে সামান্য তেতোভাব থাকায় অনেকেই এটি এড়িয়ে চলেন, তবে এই শাকে রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ। গরমের সময় এই শাক বেশি পাওয়া যায়। পাট শাক দেহকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

    চলুন, জেনে নিই পাট শাকের অন্যান্য উপকারিতা।

    হতাশা ও মানসিক চাপ কমায়
    পাট শাকে থাকা ম্যাগনেসিয়াম মন ভালো রাখতে সাহায্য করে, মানসিক চাপ ও অনিদ্রা কমায়।

    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
    এতে থাকা উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

    হজমশক্তি বাড়ায়
    ফাইবারসমৃদ্ধ এই শাক হজমে সহায়তা করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং রুচি বাড়ায়।

    রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
    ভিটামিন সি-এর উপস্থিতি শরীরকে রোগ সংক্রমণের বিরুদ্ধে শক্তিশালী করে তোলে।

    ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে
    অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি ত্বকের ফ্রি র‍্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।

    দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়
    এতে থাকা ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে।

    সতর্কতা :
    যদি কারো অ্যালার্জির সমস্যা থাকে, তাহলে পাট শাক খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

     

    সূত্র : নিউজ ১৮ বাংলা

    মন্তব্য

    ভুলেও ফ্রিজে রাখবেন না যে ফল

    জীবনযাপন ডেস্ক
    জীবনযাপন ডেস্ক
    শেয়ার
    ভুলেও ফ্রিজে রাখবেন না যে ফল
    সংগৃহীত ছবি

    তরমুজ এমন একটি ফল, যেটি ফ্রিজে রাখা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ফ্রিজে রাখলে তরমুজের ভেতরে বিষাক্ত উপাদান তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, পাশাপাশি এর স্বাদ ও গঠনেও পরিবর্তন আসে। বিশেষ করে কাটা তরমুজ ফ্রিজে রাখলে তাতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে শুরু করে। যা খাদ্যে বিষক্রিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।

    পুষ্টিবিদদের মতে,  ফ্রিজে রাখা যেকোনো ফলের পুষ্টিগুণ অনেকটাই কমে যায়। তরমুজে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি দীর্ঘ সময় ঠাণ্ডায় রাখলে কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে।

    আমাদের অনেকেরই অভ্যাস আছে তরমুজ ফ্রিজে রেখে খাওয়ার, কিন্তু ভবিষ্যতে এমনটা করার আগে একটু ভেবেচিন্তে নেওয়াই ভালো। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য তাজা ও সঠিকভাবে সংরক্ষিত তরমুজ খাওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ।

    সূত্র : নিউজ ১৮ বাংলা

    প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    সর্বশেষ সংবাদ