২০ অক্টোবর বিশ্ব অস্টিওপোরোসিস দিবস। অস্টিওপোরোসিসকে অনেকে ‘হাড় ক্ষয়’ বলে থাকে। প্রকৃতপক্ষে অস্টিওপোরোসিসে হাড়ের গঠন দুর্বল হয়ে যায়। আরো সুনির্দিষ্টভাবে বলা যায়, হাড়ের ভেতরে অসংখ্য বড় ছিদ্র বা পোর তৈরি হয়।
বিশ্ব অস্টিওপোরোসিস দিবস
হাড়ক্ষয় কেন হয়, কিভাবে রোধ করবেন?
ডা. মো. আহাদ হোসেন

যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় দেখা গেছে, সেখানে ৫০ বছরের ওপরে প্রায় এক কোটি মানুষ অস্টিওপোরোসিসে ভুগছে। এদের মধ্যে নারীর সংখ্যাই বেশি। এবারের দিবসের মূলমন্ত্র ‘ভঙ্গুর হাড়কে না বলুন’।
কেন হয়?
জন্মের পর থেকে ২০ থেকে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত মানুষের শরীরের হাড় সুগঠিত ও মজবুত হতে থাকে। এরপর প্রতিবছর ১-১.৫ শতাংশ হারে হাড় ক্ষয়ের প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে শুরু হয়। তবে এটি মহিলাদের ক্ষেত্রে মাসিক চক্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বা মেনোপজের পরে প্রথম পাঁচ বছর ৩ থেকে ৫ শতাংশ হারে হাড় ক্ষয় শুরু হয়। তাই বলা যায়, হাড়ক্ষয় একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরের ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট আকারে গ্রহণ করার মাধ্যমে এই প্রক্রিয়াকে ধীর করা যায়।
কারা অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকিতে থাকেন
- বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সব বয়সের নারী ও পুরুষ অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। তবে এটি নারীদের ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
- নারীদের ক্ষেত্রে যাদের দ্রুত মাসিক চক্র শেষ হয়ে যায় বা মেনোপজ হয়।
অস্টিওপোরোসিস হলে কী হয়
অস্টিওপোরোসিস মূলত বাইরে থেকে দেখা যায় না। এর ফলে শরীরের হাড়ের ভেতরের গঠন দুর্বল হয়ে যায়। এতে হালকা আঘাতে হাড় ভেঙে যেতে পারে। চলতে ফিরতে আমরা যে স্বাভাবিক পড়ে যাওয়া বা হালকা আঘাত পেয়ে থাকি, সেটা থেকেও বড় ধরনের হাড় ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে। যা পরবর্তী সময়ে দীর্ঘমেয়াদি ব্যথার কারণও হতে পারে। বিশেষ করে পা ও মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে গেলে বেশি কষ্টের কারণ হয়।
অস্টিওপোরোসিস হয়ে গেলে রোগী ব্যথা অনুভব করেন। অন্যান্য ব্যথা থেকে এই ব্যথা কিছুটা ভিন্ন হয়। যেমন—দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে তাদের ব্যথা বাড়ে। হাঁটাহাঁটি বা কাজের মধ্যে থাকলে ব্যথা কিছুটা কমে, তবে দীর্ঘক্ষণ হাঁটা বা দীর্ঘক্ষণ ভারী কাজ করলে পরবর্তী সময়ে ব্যথা অনুভূত হয়। অনেক রোগী বলে থাকেন, সারা দিন শেষে যখন রাতে ঘুমাতে যান তখন শরীরে ব্যথা অনুভব করেন। ব্যথা সাধারণত সারা শরীরেই হয়, তবে কোমর ও পায়ে ব্যথা বেশি অনুভব হতে পারে।
অস্টিওপোরোসিসের সঙ্গে কারো ডায়াবেটিস বা থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে ব্যথার প্রকৃতি আরো বেড়ে যেতে পারে। যেহেতু এই রোগে ব্যথা শরীরের ভেতর থেকে বা হাড়ের গঠনগত কারণে হয়। সে জন্য অনেক পাওয়ারফুল ব্যথার ওষুধ খেলে সাময়িক ব্যথা কমলেও আবার ব্যথা হবে। ব্যথার প্রকৃতি অনুযায়ী চিকিৎসা না দিলে সম্পূর্ণ ব্যথা নিরাময় সম্ভব নয়।
কোন পরীক্ষার মাধ্যমে অস্টিওপোরোসিস বোঝা যায়
ডেক্সা স্ক্যান বা বিএমডি টেস্টের মাধ্যমে খুব সহজেই আমাদের শরীরের হাড়ের গঠন অ্যানালিসিস বোঝা যায়। যে কেউ এই পরীক্ষা করাতে পারেন। তবে এই পরীক্ষার খরচ একটু বেশি হওয়ায় এটা অনেকেই করান না। মহিলাদের ক্ষেত্রে ৪০ বছরের পরে এই টেস্ট করা গেলে খুব সহজেই অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বোঝা যায়। তবে স্বাভাবিক একটি এক্স-রে অনেক সময় কষ্টের প্রসেসের প্রাথমিক ধারণা দিতে পারে।
কিভাবে অস্টিওপোরোসিস থেকে ভালো থাকা যায়
নিয়মিত কর্মক্ষম থাকা বা ব্যায়াম করার মাধ্যমে অস্টিওপোরোসিস ধীরগতি করা সম্ভব এবং দীর্ঘ মেয়াদে ভালো থাকা সম্ভব। গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যায়ামের মাধ্যমে মেরুদণ্ডের হাড়ের ঘনত্ব ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা সম্ভব।
দীর্ঘমেয়াদি ধূমপান এড়িয়ে চলা, দীর্ঘমেয়াদি গ্যাসের ওষুধ না খেয়ে বরং মাঝখানে দু-এক মাস বিরতি দেওয়া। যারা দীর্ঘমেয়াদি স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ সেবন করেন তাদের ক্ষেত্রেও কিছু সময় বিরতি দিয়ে দিয়ে ওষুধ সেবন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বয়স বাড়ার পাশাপাশি ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা খুবই জরুরি। ভিটামিন ডি মূলত আমাদের শরীরের ক্যালসিয়াম হাড়ে সন্নিবেশিত করার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অথচ আমাদের স্বাভাবিক খাবারে ভিটামিন ডির উৎস নেই বললেই চলে। অনেকে মনে করে, সূর্যের আলো থেকেই ভিটামিন ডি পাওয়া যায়, কিন্তু সূর্যের আলো থেকে যে প্রক্রিয়ায় ভিটামিন ডি পাওয়া যায় সেই যথাযথ প্রক্রিয়া আমরা অনুসরণ করতে পারি না। এ জন্য বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে ৪০ বছর বয়সের পর থেকেই সাপ্লিমেন্ট আকারে প্রতিদিন ৮০০ থেকে ১০০০ IU বা প্রতি সপ্তাহে ২০০০০ IU ভিটামিন ডি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গ্রহণ করা যেতে পারে।
বয়স ৪০ পার হলে নারীর ক্ষেত্রে ভিটামিন ডির মাত্রা দেখে নেওয়া যেতে পারে। টেস্ট করা সম্ভব না হলে নিয়মিতভাবে ভিটামিন ডি গ্রহণ করলেও কোনো ক্ষতি নেই। কারণ ভিটামিন ডি শরীরে অতিরিক্ত থাকলে এটা সাধারণত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া করে না।
বয়স বাড়ার সঙ্গে অতিরিক্ত ক্যালসিয়ামের দরকার আছে কি
এই প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন যে বয়স বেড়ে যাচ্ছে, অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম খেতে হবে কি না। অনেকেই নিজের ইচ্ছামতোই অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম নিতে থাকেন ওষুধ আকারে। মূলত আমরা যে খাবার খাই এতে বিভিন্নভাবে ক্যালসিয়াম রয়েছে। এ কারণে স্বাভাবিক খাবারের সঙ্গেই ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। তবে ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ কিছু খাবার রয়েছে, দুধ বা দুধ দিয়ে তৈরি খাবারে মূলত ক্যালসিয়াম বেশি থাকে। বয়স বাড়লে এই খাবারগুলো খাওয়া যেতে পারে। এতে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হওয়া সম্ভব।
ওষুধ আকারে বা সাপ্লিমেন্ট ক্যালসিয়াম গ্রহণ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে করা যেতে পারে। সাপ্লিমেন্ট ক্যালসিয়াম লাগবে কি না সেটি এক্স-রে দেখে ধারণা করতে পারেন চিকিৎসক অথবা প্রয়োজনে রক্তে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ দেখেও এ বিষয়টা নির্ধারণ করা যায়। কিন্তু আমরা যে ক্যালসিয়াম শরীরে নিচ্ছি সেটাকে কাজে রূপান্তরিত করতে বা হাড়ে সন্নিবেশিত করার জন্য ভিটামিন ডি-র প্রয়োজন। ভিটামিন ডি স্বাভাবিক খাবারে পাওয়া যায় না। এ জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সাপ্লিমেন্ট আকারে ভিটামিন ডি গ্রহণ করা যেতে পারে।
সাপ্লিমেন্ট ক্যালসিয়াম গ্রহণ করলে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা আছে কি না
চিকিৎসক ক্যালসিয়াম সেবনের পরামর্শ দিলেও অনেকেই খান না। তারা মনে করেন, অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম খেলে কিডনিতে পাথর হতে পারে। তাদের এই ধারণার সঠিক ব্যাখ্যা আছে। মূলত আমরা ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খেলে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়। ক্যালসিয়াম শরীরে ঢোকার পরে সেটা কিডনিতে যেতে হলে অক্সালেটের সঙ্গে সংযুক্ত হতে হয়। তাই আমরা ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ যে খাবার খাই সেগুলোর মধ্যে অক্সালেটমুক্ত খাবার গ্রহণ করলে কিডনিতে পাথর হওয়া আশঙ্কা থাকে না।
অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার যেমন—বাদাম, বিট, চকোলেট সয়ামিল্ক ইত্যাদি অতিরিক্ত গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকলেই ভালো। তবে এগুলো যে একেবারেই খাওয়া যাবে না, বিষয়টা এমন নয়। পরিমিত পরিমাণে বিরতি দিয়ে খেলে কোনো ক্ষতি নেই। আর সাপ্লিমেন্ট আকারে চিকিৎসকরা যে ক্যালসিয়াম দিয়ে থাকেন তাতে সাধারণত ক্যালসিয়াম অক্সালেট সমৃদ্ধ ক্যালসিয়াম দেওয়া হয় না। এ জন্য এতে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দোকান থেকে নিজের ইচ্ছামতো ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকলে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণ থেকে কিডনিতে পাথর হওয়ার ভয় কমে যাবে।
ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার
ক্যালসিয়াম হাড়ের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান। সাধারণ পরিস্থিতিতে প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ৮০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। এ জন্য বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন সুষম খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। দুধ, পনির ও অন্যান্য দুগ্ধজাত খাবার, ইয়োগার্ট, সয়ামিল্ক, সবুজ শাক-সবজি যেমন—ব্রকোলি, বাঁধাকপি ও ওকড়া, সয়াবিন, বিভিন্ন ধরনের মাছ ও কমলা ক্যালসিয়ামের উৎকৃষ্ট উৎস।
গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
যেহেতু হাড় ক্ষয় আমাদের শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, তাই বয়সকালে অনেকেই এই হাড় ক্ষয়ের সমস্যায় ভুগতে পারেন, এটা অস্বাভাবিক নয়। তবে যদি কেউ অতিরিক্ত হাড় ক্ষয় বা অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত হয় তাহলে কয়েকটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- স্বাভাবিক চলাফেরায় জুতা বা কেডস ব্যবহার করতে হবে।
- পড়ে যাওয়া থেকে নিরাপদ থাকতে বাথরুম পরিষ্কার রাখতে হবে এবং বাসায় চলাচলের জায়গা পরিষ্কার ও পিচ্ছিলমুক্ত রাখতে হবে।
- উঁচু-নিচু জায়গায় চলাচল থেকে বিরত থাকতে হবে।
- অস্বাভাবিকভাবে ঝুঁকে কাজ করা বা অস্বাভাবিকভাবে শরীরকে বাঁকিয়ে কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- বেশি দূরত্বে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আরামদায়ক যানবাহন ব্যবহার করতে হবে। পাবলিক যানবাহন ব্যবহারের ক্ষেত্রে রোগীর সঙ্গে কোনো সাহায্যকারী থাকলে ভালো হয়।
লেখক : এমবিবিএস, বিসিএস, এমডি, এফআইপিএম (ইন্ডিয়া)
কনসালট্যান্ট ও ব্যথা বিশেষজ্ঞ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, ফরিদপুর
সম্পর্কিত খবর

ভুলেও ফ্রিজে রাখবেন না যে ফল
জীবনযাপন ডেস্ক

তরমুজ এমন একটি ফল, যেটি ফ্রিজে রাখা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ফ্রিজে রাখলে তরমুজের ভেতরে বিষাক্ত উপাদান তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, পাশাপাশি এর স্বাদ ও গঠনেও পরিবর্তন আসে। বিশেষ করে কাটা তরমুজ ফ্রিজে রাখলে তাতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে শুরু করে। যা খাদ্যে বিষক্রিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
পুষ্টিবিদদের মতে, ফ্রিজে রাখা যেকোনো ফলের পুষ্টিগুণ অনেকটাই কমে যায়। তরমুজে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি দীর্ঘ সময় ঠান্ডায় রাখলে কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে।
আমাদের অনেকেরই অভ্যাস আছে তরমুজ ফ্রিজে রেখে খাওয়ার, কিন্তু ভবিষ্যতে এমনটা করার আগে একটু ভেবেচিন্তে নেওয়াই ভালো। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য তাজা ও সঠিকভাবে সংরক্ষিত তরমুজ খাওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ।
সূত্র : নিউজ ১৮ বাংলা

রাশিফল
আজ ১২ এপ্রিল, দিনটি কেমন যাবে আপনার?
অনলাইন ডেস্ক
জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ ১২ এপ্রিল, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, সেটি জানতে হলে পড়ুন আজকের রাশিফল।
মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): সামাজিক যোগাযোগ বাড়বে। সঠিক বুদ্ধির অভাবে সুযোগ কাজে না-ও লাগতে পারে।
বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): কর্মপ্রার্থীদের উন্নতির পথ খুলবে। তবে নিয়মিত কাজে বাধা আসতে পারে।
মিথুন (২১ মে-২০ জুন): অপ্রত্যাশিত কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা। কাজকর্মে প্রসার লাভ হবে। আয় বাড়বে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় অন্যের সহযোগিতা পাবেন। আর্থিক বিনিযোগ শুভ।
কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): কোনো স্থাবর সম্পত্তির আলোচনায় অগ্রগতি হবে। প্রত্যাশিত কাজে অগ্রগতি আশা করা যায়। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চিন্তিত থাকতে পারেন। দক্ষ ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন। চিন্তা ও কাজে গতিশীলতা আনতে হবে।
সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট): সঠিক প্রচেষ্টায় কাজের অগ্রগতি হবে। পুরনো সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে লাভবান হতে পারবেন। নিকট ভ্রমণ হতে পারে। সেরা কাজগুলো গতি পাবে। নতুন ধারণাগুলো ফলদায়ক হবে।
কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর): অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় অগ্রগতি হবে। বিনিয়োগে লাভবান হবেন। আর্থিক ব্যাপারে ভারসাম্য রক্ষা করে চলুন। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলোর পুনর্মূল্যায়নের প্রয়োজন হতে পারে।
তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর): আপনার ব্যক্তিত্ব দিয়ে অন্যকে প্রভাবিত করতে পারবেন। কাজকর্মে উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে। ব্যবসায় জটিলতা কাটিয়ে ওঠার ভালো সময়। চাকরিক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে। কৌশলী হলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাবেন।
বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর): কোনো কারণে মানসিক চাপ থাকতে পারে। অতীতের কোনো ঘটনা মনের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। অকারণে ব্যয় বাড়বে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া ঠিক হবে না। পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): নতুন যোগাযোগের পরিবেশ অনুকূলে। আয়ের নতুন কোনো উৎস পেতে পারেন। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় বন্ধুর সহযোগিতা পাবেন। দায়িত্ব পালনে দৃঢ়তার পরিচয় দিতে হবে। অর্থভাগ্য অন্যদিনের তুলনায় শুভ।
মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি): পেশাগত কাজে সুযোগ বাড়বে। পাওনা আদায়ে কিছুটা অগ্রগতি হবে। কোনো আকর্ষণীয় অফার পেতে পারেন। বুদ্ধি সঠিক পথে পরিচালিত হবে। চারপাশে যারা আছে তাদের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ান। একাগ্রতার সঙ্গে কাজ করুন।
কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): আপনার কাজে অন্যদের প্রভাবিত করতে পারবেন। প্রত্যাশা পূরণে অন্যের সহযোগিতা পাবেন। ধর্মীয় কাজে আগ্রহ বাড়বে। আপনার দৃঢ় সংকল্প এবং দক্ষতা লক্ষণীয় হবে। ব্যস্ততার মধ্যেও নিজের জন্য পর্যাপ্ত সময় বের করুন।
মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): আজ নিজেকে পরিচর্যা করার এবং যা আপনি সব থেকে পছন্দ করেন, তা করার জন্য ভালো দিন। কাজে অন্যের সহযোগিতা প্রয়োজন হতে পারে। আপনার মনোভাব আপনাকে সুখী থাকতে সাহায্য করবে।
আহমেদ মাসুদ, বিশিষ্ট অকাল্ট সাধক, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্যোতিষী, ফেংশুই ও বাস্তু বিশেষজ্ঞ। যোগাযোগ: ০১৭১১০৫৭৩৭৭ই-মেইল: amasud9995@gmail.com www.astrologerahmedmasud.com

প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহার করলে কী ক্ষতি
জীবনযাপন ডেস্ক

ধুলাবালি আর বায়ুদূষণের ফলে ত্বকের পাশাপাশি চুলেও ময়লা জমে। এ কারণে অনেকেরই প্রতিদিন শ্যাম্পু করার অভ্যাস আছে। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে চুলের ক্ষতি হয়। কারণ, শ্যাম্পুতে নানা ধরনের রাসায়নিক উপাদান থাকে, যা সত্যিই চুলের জন্য ক্ষতিকর।
কসমেটিক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন শ্যাম্পু করা ঠিক নয়। কারণ এতে রাসায়নিক থাকে। প্রতিদিন ব্যবহারে মাথার ত্বক থেকে প্রয়োজনীয় তেল অপসারণ হয়, যার ফলে মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে সপ্তাহে তিনবার শ্যাম্পু ব্যবহার করা ভালো।
শ্যাম্পু অতিরিক্ত ব্যবহার করলে কী হয়
- চুল রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়।
সবার চুল এক রকম নয়।
রুক্ষ চুল: কারো চুল যদি খুব রুক্ষ হয়, তাহলে ৪-৫ দিন পর পর শ্যাম্পু করতে পারেন। তবে চুল কতটা রুক্ষ তার ওপর নির্ভর করবে কত ঘন ঘন শ্যাম্পু করতে পারেন। বেশি শ্যাম্পু করলে চুল খারাপ হয়ে যেতে পারে। চুলে প্রাকৃতিক পুষ্টি ফিরে আসার জন্য একটু সময় দেওয়া প্রয়োজন। তবে যে ধরনের শ্যাম্পুতে রাসায়নিকের পরিমাণ বেশি, সেই শ্যাম্পু ব্যবহার না করাই ভালো।
পাতলা চুল : শ্যাম্পু না করলে পাতলা চুল আরো পাতলা দেখায়। কারণ নোংরা, তেল, ঘাম মাথায় জমে থাকার ফলে চুল বেশি পাতলা দেখায়। পাতলা চুল ঘন দেখাতে শ্যাম্পু করা ছাড়া উপায় নেই। সেক্ষেত্রে ক্ষারহীন শ্যাম্পু বেছে নিন। এতে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। চুল তাড়াতাড়ি বাড়বে।
ঘন চুল : আর্দ্রতার অভাবে চুল বেশি তেলতেলে হতে থাকে। সাধারণত পাতলা চুলের ক্ষেত্রে এমন সমস্যা সবচেয়ে বেশি হয়। এ ক্ষেত্রে ঘন চুলে আর্দ্রতা বজায় থাকে অনেক দিন। এমন চুলে সপ্তাহে এক দিন শ্যাম্পু করলেই চলে। তবে চুল বেশি তেলতেলে মনে হলে সপ্তাহে ২-৩ দিন শ্যাম্পু করতে পারেন।
টিপস
- ঘনঘন শ্যাম্পু ব্যবহার যদি করতেই হয় তবে শ্যাম্পুর সঙ্গে খানিকটা পানি মিশিয়ে পাতলা করে নিন।
- ভেষজ শ্যাম্পু বা মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
- বাইরে যাওয়ার সময় স্কার্ফ বা ক্যাপ দিয়ে চুল ঢেকে রাখতে পারেন। এতে ধুলাবালি কম লাগবে চুলে।

বাচ্চাদের সবজি খাওয়ানোর অভ্যাস করাবেন যেভাবে
জীবনযাপন ডেস্ক

এই সময়ে বাজারে অনেক ধরনের সবজি পাওয়া যায়, যা কেবল আমাদের খাবারের স্বাদই বদলে দেয় না, বরং স্বাস্থ্যের জন্যও দারুণ উপকারী। এ ছাড়া দামেও থাকে খুব কম। তবে খুব কম মানুষই এই সবজি খেতে পছন্দ করেন। বাচ্চারা তো সবজি খেতেই চায় না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শাক-সবজি খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে, কিন্তু সবাই শাক-সবজি খেতে পছন্দ করেন না। যদি আপনার বাচ্চারাও সবজি খেতে না চায়, তাহলে কিছু উপায়ে তাদের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। চলুন, জেনে নিই উপায়গুলো।
সালাদ
খাদ্যতালিকায় শাক-সবজি অন্তর্ভুক্ত করার সবচেয়ে সহজ ও স্বাস্থ্যকর উপায় হলো সালাদ। শসা, টমেটো, পেঁয়াজ, গাজর, বাঁধাকপির মতো সবজি এবং অঙ্কুরিত ফল দিয়ে লবণ ও চাট মশলা দিয়ে সালাদ তৈরি করে খাওয়ান। এটি খেতে খুবই সুস্বাদু, বাচ্চারাও মজা করে খাবে।
স্মুদি বা স্যুপ
সবজি অনেক বাচ্চাই খেতে চায় না।
পিউরি
পালং শাক, বিট, কুমড়া ইত্যাদি সবজির পিউরি তৈরি করতে পারেন এবং যেকোনো তরকারিতে বেস হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
ভেজিটেবল স্যান্ডউইচ
সবজি রুটি খেতে স্বাদহীন মনে হতে পারে। কিন্তু একই সবজি দিয়ে যদি স্যান্ডউইচে টিক্কি তৈরি করা হয় অথবা সস, চাটনি ও ক্রিমের সঙ্গে রোল করে দেওয়া হয় তাহলে এটি বাচ্চা খেতে পছন্দ করবে। এ ছাড়া এটি স্বাস্থ্যকরও হবে।
রোস্ট
কিছু সবজি ভেজে তার ওপর লেবু ও চাট মশলা ছিটিয়ে খেলে তা মুচমুচে ও সুস্বাদু হয়ে ওঠে। মিষ্টি আলু, গাজর, পনির ও ক্যাপসিকামের মতো সবজি ভেজে খেলে এর স্বাদ বেড়ে যায়।
ভাত ও পাস্তার সঙ্গে
বাচ্চাদের সবজি খাওয়ানোর আরো একটি উল্লেখযোগ্য উপায় হলো ফ্রাইড রাইসের মতো ভাত ও পাস্তাতে মিশিয়ে খাওয়া। এভাবে খেলে সুস্বাদু লাগবে এবং স্বাস্থ্যকরও হবে।
সূত্র : ইটিভি