ঢাকা, বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫
২ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫
২ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে ঝালমুড়ি কেন খেতে মন চায়?

তন্ময় রহমান
তন্ময় রহমান
শেয়ার
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে ঝালমুড়ি কেন খেতে মন চায়?
সংগৃহীত ছবি

বৃষ্টি, বিশেষত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, আমাদের আবেগের সঙ্গে একটি গভীর সম্পর্ক স্থাপন করে। এমন আবহাওয়ায় ঝালমুড়ির প্রতি আকর্ষণ অনুভব করা খুব স্বাভাবিক। কেন এমনটা হয়? এর পেছনে মনস্তাত্ত্বিক, শারীরবৃত্তীয় এবং সামাজিক বিভিন্ন কারণ কাজ করে।

শীতল আবহাওয়া ও খাবারের আকর্ষণ
বৃষ্টির সময় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায়, যা আমাদের শরীরকে মসলাদার এবং উষ্ণ খাবারের দিকে আকৃষ্ট করে।

বৃষ্টি পড়লে বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যায়, যা আমাদের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়। এই সময় মসলাদার ঝালমুড়ির ঝাঁঝাল স্বাদ আমাদের শরীরের চাহিদা পূরণ করে। ঝালমুড়ির মধ্যে থাকা মসলা ও তেল শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপ বাড়ায় এবং শরীরকে আরাম দেয়।

স্মৃতির সঙ্গে সংযোগ
বৃষ্টির দিনে ঝালমুড়ি খাওয়ার আকর্ষণ শুধুই খাবারের প্রতি নয়, এটি ছোটবেলার স্মৃতির সঙ্গেও জড়িত।

অনেকের কাছে বৃষ্টির সঙ্গে ঝালমুড়ি খাওয়ার স্মৃতি খুবই আনন্দদায়ক। বৃষ্টির সময় মাটি ও ঝরাপাতার গন্ধ মিশে যায়, যা ছোটবেলার অভিজ্ঞতাগুলোকে মনে করিয়ে দেয়। এসব স্মৃতি আমাদের আবেগপ্রবণ করে তোলে এবং ঝালমুড়ি খাওয়ার ইচ্ছা জাগায়। বৃষ্টির দিনে পরিবারের সঙ্গে বসে মুড়ি মাখানো বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় ঝালমুড়ি খাওয়ার স্মৃতি আমাদের সেই আনন্দময় সময়ের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।

সামাজিক অভ্যাস ও লোকাল খাবার
ঝালমুড়ি মূলত একটি রাস্তার খাবার, যা আমরা সাধারণত বাইরে খাই। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ঝালমুড়ি খাওয়ার অভ্যাস আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির একটি অংশ। ঝালমুড়ি খাওয়ার মাধ্যমে শুধু পেট ভরে না, বরং এটি এক ধরনের সামাজিক অভিজ্ঞতা দেয়। বৃষ্টির দিনগুলোতে অনেকেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে চায়ের দোকানে ঝালমুড়ির স্বাদ নেন, যা লোকাল ফুড কালচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।

স্বাদ ও টেক্সচারের মিশ্রণ
ঝালমুড়ির মসৃণতা, মসলার ঝাঁজ, কাঁচা মরিচের তীক্ষ্ণ স্বাদ এবং টমেটোর টকত্ব একসঙ্গে এমন এক স্বাদের সৃষ্টি করে, যা বৃষ্টির আবহাওয়ায় মনকে তৃপ্তি দেয়।

এটি শুধু মুখে নয়, আমাদের মনেও এক ধরনের আনন্দের জন্ম দেয়। বৃষ্টির মধ্যে এই টেক্সচার এবং স্বাদের মিশ্রণ আমাদের মনের স্বাভাবিক ক্ষুধা মেটায় এবং বৃষ্টির মেঘলা দিনকে রঙিন করে তোলে।

মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব
বৃষ্টির দিনে আমরা প্রায়ই এক ধরনের ‘কমফোর্ট ফুড’ খুঁজে বের করতে চাই, যা আমাদের মনের চাপ কমিয়ে দেয় এবং আনন্দ দেয়। ঝালমুড়ি সেই কমফোর্ট ফুডের তালিকায় শীর্ষে থাকে। মস্তিষ্কের বিভিন্ন রসায়নিক প্রক্রিয়া আমাদের এই ধরনের মসলাদার ও ঝাঁঝাল খাবারের প্রতি টানে, যা দুশ্চিন্তা কমিয়ে মস্তিষ্কে সুখের অনুভূতি তৈরি করে।

বৃষ্টির সঙ্গী চা ও ঝালমুড়ি
বাংলাদেশে বৃষ্টির সঙ্গে চা পান করার অভ্যাস অত্যন্ত জনপ্রিয়। চা ও ঝালমুড়ি একসঙ্গে খেলে তার স্বাদ ও আনন্দ দ্বিগুণ হয়। বৃষ্টির সময় গরম চা আর মসলাদার ঝালমুড়ির টান অনেকের কাছে অপরিহার্য মনে হয়।

প্রাকৃতিক পরিবেশ ও ঝালমুড়ির মিল
বৃষ্টির সময় প্রকৃতি আরো জীবন্ত হয়ে ওঠে। মেঘের গর্জন, বৃষ্টির শব্দ এবং ঠাণ্ডা বাতাস আমাদের মনের অবস্থা পরিবর্তন করে। এই পরিবর্তিত পরিবেশে মসলাদার ঝালমুড়ি খাওয়া আমাদের প্রকৃতির সঙ্গে একাত্মতার অনুভূতি দেয়।

বৃষ্টি, বিশেষ করে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, আমাদের আবেগ, স্মৃতি ও স্বাদে গভীরভাবে প্রভাব ফেলে। ঝালমুড়ি, যা রাস্তার খাবার হলেও বৃষ্টির দিনে এর চাহিদা বেড়ে যায়। এর কারণ শুধু খাবারের স্বাদ নয়, বরং এটি আমাদের মন ও মস্তিষ্ককে একটি আরামদায়ক ও আনন্দময় অনুভূতি প্রদান করে। বৃষ্টির দিনের সঙ্গে ঝালমুড়ি খাওয়ার আনন্দ যেন বাঙালি জীবনের এক অনন্য রূপকথা!

 
প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঘুমের ঘাটতিতে বাড়তে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ঘুমের ঘাটতিতে বাড়তে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি
সংগৃহীত ছবি

হৃদরোগ প্রতিরোধে সচেতন জীবনযাপনের গুরুত্ব নিয়ে অনেকেই কথা বলেন। ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকা, ফাস্টফুড এড়িয়ে চলা ও নিয়মিত শরীরচর্চা করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনেকেই এড়িয়ে যান—আর সেটা হলো ঘুম।

চিকিৎসকদের মতে, ঘুমের অভাব শুধু ক্লান্তি এনে দেয় না বরং সরাসরি হৃদযন্ত্রের ওপর চাপ ফেলে।

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং হৃদপিণ্ডকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কাজ করতে হয়, ফলে হার্টে বাড়তি চাপ পড়ে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে যদি মানসিক চাপ বেশি থাকে, তাহলে রাতে ঘুমও কম হয়। এর প্রভাব শুধু হার্টে নয়, মস্তিষ্ক ও হজমতন্ত্রেও পড়ে। মানসিক চাপ থেকে শরীরে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোন বাড়ে, যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়, হজমে সমস্যা তৈরি উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়।

ঘুমের অভাব রক্তচাপ বাড়ায় ও শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে, যা সরাসরি হৃদরোগের কারণ হতে পারে। সেই সঙ্গে বিপাকক্রিয়া (মেটাবলিজম) ব্যাহত হয়, কোলেস্টেরল ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়ে, ওজনও বাড়ে—সব মিলিয়ে হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

ঘুমের সময় নিয়ে একেকজনের চাহিদা ভিন্ন হতে পারে। কারো ৯ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন হয়, আবার কেউ ৫ ঘণ্টার ঘুমেই সুস্থ থাকেন।

সবার জন্য ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম বাধ্যতামূলক—এমনটা বলা যায় না। তবে এই সত্য অস্বীকার করা যায় না যে ঘুম শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

অনেকে মনে করেন, সারা সপ্তাহ কম ঘুমিয়ে ছুটির দিনে অনেকক্ষণ ঘুমিয়ে ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু এই ধারণা একেবারেই ভুল। একদিনের ঘুমের ঘাটতি অন্যদিন পুষিয়ে নেওয়া যায় না।

বরং এভাবে চলতে থাকলে শরীরের জৈব-ঘড়ির স্বাভাবিক ছন্দের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সবশেষে বলাই যায়, হৃদরোগ প্রতিরোধে ঘুম কোনোভাবে উপেক্ষা করার বিষয় নয়, বরং তা সুস্থ জীবনধারার অপরিহার্য অংশ।

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

খালি পেটে ডায়াবেটিক রোগীরা যেসব খাবার খেতে পারবেন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
খালি পেটে ডায়াবেটিক রোগীরা যেসব খাবার খেতে পারবেন
সংগৃহীত ছবি

ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খালি পেটে থাকা একেবারেই ঠিক নয়। সকালে নাশতা না করলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে। আবার খালি পেটে ভুল খাবার খেলে দেখা দিতে পারে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা। তাই সকালে এমন কিছু খাবার বেছে নেওয়া জরুরি, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াবে না, বরং নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।

চলুন, দেখে নেওয়া যাক ডায়াবেটিক রোগীরা খালি পেটে কী কী খেতে পারেন।

চিয়া সিড ভেজানো পানি
চিয়া সিডে রয়েছে ফাইবার, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ও প্রোটিন। এটি খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে। সকালে নাশতার আগে এক গ্লাস পানিতে ভেজানো চিয়া সিড পান করতে পারেন।

এরপর ৩০ মিনিট পরে মূল খাবার খেলে ভালো ফল পাবেন।

টক দই
বাড়িতে তৈরি টক দই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও প্রোবায়োটিকস, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। দইয়ের প্রোটিন গ্লুকোজ শোষণের গতি কমিয়ে দেয়, ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়ে না।

অবশ্যই দইয়ে চিনি বা ফ্লেভার না মেশানোই ভালো। চাইলে সামান্য দারুচিনি গুঁড়া যোগ করতে পারেন।

মেথি ভেজানো পানি
মেথি দানায় রয়েছে প্রচুর ফাইবার, যা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এক গ্লাস পানিতে এক চামচ মেথি ভিজিয়ে রাখুন সারা রাত। সকালে খালি পেটে সেই পানি পান করলে উপকার পাবেন।

ভেজানো কাঠবাদাম
ডায়াবেটিক রোগীদের একেবারেই খালি পেটে থাকা উচিত নয়। স্ন্যাকস হিসেবে কিংবা নাশতায় রাখতে পারেন কাঠবাদাম। এতে থাকা প্রোটিন ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থির রাখতে সাহায্য করে। খোসা ছাড়িয়ে খেলে এটি সহজে হজম হয়।

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

আখের রস কি সবার জন্য উপকারী?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
আখের রস কি সবার জন্য উপকারী?
সংগৃহীত ছবি

গ্রীষ্মকালে এক গ্লাস ঠাণ্ডা আখের রস যেন প্রাণ জুড়িয়ে দেয়। এতে থাকে ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো দরকারি খনিজ উপাদান। যা শরীরকে রাখে হাইড্রেটেড এবং ক্লান্তি দূর করে এনার্জি বাড়ায়। তবে পুষ্টিগুণে ভরপুর হলেও আখের রস সবার জন্য উপযুক্ত নয়।

কিছু বিশেষ শারীরিক অবস্থায় এটি খেলে উপকারের বদলে হতে পারে ক্ষতি। চলুন, জেনে নিই কারা আখের রস খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

যারা ওজন কমাতে চাইছেন
আখের রসে ক্যালোরি ও প্রাকৃতিক চিনি অনেক বেশি। নিয়মিত খেলে ওজন বাড়তে পারে, বিশেষ করে পেটের চর্বি দ্রুত জমে।

তাই ডায়েট করছেন বা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তারা এই রস খাবেন বুঝে শুনে।

যাদের পেটের সমস্যা আছে
আখের রসে থাকা কিছু উপাদান হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। এতে থাকা পলিকোসানল হজমশক্তিকে প্রভাবিত করে। এর ফলে হতে পারে পেট ব্যথা, বমি, মাথা ঘোরা বা ডায়েরিয়ার মতো সমস্যা।

তাই পেটের সমস্যা থাকলে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ডায়াবেটিক রোগী
আখের রসে গ্লুকোজের পরিমাণ খুবই বেশি, যা রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য এটি একেবারেই পরামর্শযোগ্য নয়।

যাদের দাঁতের সমস্যা রয়েছে
দাঁতের ব্যথা, মাড়ির সমস্যা বা ক্যাভিটির প্রবণতা থাকলে আখের রস এড়িয়ে চলাই ভালো। অতিরিক্ত মিষ্টির কারণে মুখের ব্যাকটেরিয়া সক্রিয় হয়ে দাঁত ও মাড়ির অবস্থা খারাপ করতে পারে।

গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মায়েরা
গর্ভাবস্থায় বা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় আখের রস খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এতে থাকা প্রাকৃতিক চিনি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে এবং কিছু ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে।

আখের রস অনেক উপকারী হলেও, কিছু শারীরিক অবস্থায় এটি এড়িয়ে চলাই ভালো। যেকোনো সন্দেহ বা অসুবিধার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।

সূত্র : আজকাল

মন্তব্য

‘ইয়েলো পার্সন’ কারা? আপনার জীবনে রোদ হয়ে আসা সেই মানুষটি কে?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
‘ইয়েলো পার্সন’ কারা? আপনার জীবনে রোদ হয়ে আসা সেই মানুষটি কে?
সংগৃহীত ছবি

হলুদ শুধু একটি রং নয়। এটি দিয়ে জীবনের উষ্ণতা, নির্মলতা, আনন্দ, আশাবাদ বোঝানো হয়। আর এই সমস্ত গুণ যদি কোনো একজন মানুষে পাওয়া যায়, তাকে বলা হয় ‘ইয়েলো পার্সন’।

জীবনে ঝড় নামলেও যে আপনাকে বলবে, “চিন্তা করো না, সব ঠিক হয়ে যাবে।

” যার মুখের হাসি আপনাকে রোদে ভেজা দুপুরের মতো সান্ত্বনা দিবে। যার পাশে থাকলে মনটা একটু হালকা লাগে, মনের ভারগুলো যেন অল্প অল্প গলে যায়। ইয়েলো পার্সনরা হয় প্রাণবন্ত, আশাবাদী, আর এমন এক পরিবেশ তৈরি করেন যেখানে আপনি নিরাপদ বোধ করেন। তাদের পাশে থাকলে বুঝতে পারা যায়—ভালোবাসা মানে শান্তি, ভারসাম্য ও সম্মান।

আজকের দিনে ‘ইয়েলো পার্সন’ শুধু একটা ট্রেন্ড না—এটা একধরনের অনুভব, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার প্রকাশ। সামাজিক মাধ্যমে প্রিয়জনদের জন্য সূর্যমুখী হাতে ছবি, ভিডিওতে ভালোবাসা জানানো এখন খুব পরিচিত দৃশ্য। কারণ সূর্যমুখী তার উজ্জ্বলতা আর সরল সৌন্দর্যে ঠিক সেই ‘ইয়েলো’ অনুভবই দিয়ে থাকে। নতুন প্রজন্মের কাছে ভালোবাসা মানে এখন আর গোলাপ নয় বরং সূর্যমুখীর মতো নির্ভরতার আলো।

যেকোনো ইতিবাচক সম্পর্ক আমাদের শুধু মনের শান্তিই দেয় না, শরীরেও প্রভাব ফেলে। চাপ কমে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এমনকি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।

তবে এটাও মনে রাখতে হবে,
এই ‘ইয়েলো পার্সন’-রাও মানুষ। সবসময় হাসিখুশি, উজ্জ্বল থাকা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তারাও ক্লান্ত হন, ভেঙে পড়েন, নীরব থাকেন।

তাই তাদেরও প্রয়োজন হয় ভালোবাসা, বোঝাপড়া ও বিশ্রামের। আমরাও যেন ভুলে না যাই—সুখ বা প্রশান্তির চাবিকাঠি কারো হাতে নয়, তা লুকিয়ে থাকে আমাদের নিজের ভিতরেই। তবুও যদি জীবনে এমন একজন থাকেন, যিনি ঝড়ের মধ্যে আলো হয়ে থাকেন, তাহলে তাকে ধরে রাখুন। কারণ এমন মানুষ খুব কমই আসে জীবনে।

সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ