শীতকালে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করার কথা শুনলেই কাঁপুনি আসে। ঠাণ্ডা লাগার ভয় তো থাকেই। কিন্তু গবেষণা বলছে ভিন্ন কথা। শীতের দিনে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে অনেক উপকার পাওয়া সম্ভব।
শীতকালে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করার কথা শুনলেই কাঁপুনি আসে। ঠাণ্ডা লাগার ভয় তো থাকেই। কিন্তু গবেষণা বলছে ভিন্ন কথা। শীতের দিনে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে অনেক উপকার পাওয়া সম্ভব।
ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের ২০২২ সালের এক প্রতিবেদনের তথ্য মতে, ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
একাধিক তথ্যের ওপর নির্ভর করে এই গবেষণা করা হয়েছে। সমীক্ষার সময় চলেছে সূক্ষ্ম নিরীক্ষণ। ১০৪টি গবেষণা মান্যতা পেয়েছে।
গবেষকদের মতে, ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে আমাদের পুরো শরীরের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া অত্যন্ত ভালোভাবে এবং দ্রুত গতিতে সম্পন্ন হয়। এর ফলে শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও রক্ত শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে সঠিক পরিমাণে পৌঁছে যায়।
ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। এর ফলে সহজে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে না। এ ছাড়া বিভিন্ন রোগ-সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করার শক্তিও পাওয়া যাবে।
ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যও ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করা অনেক ভালো। কারণ ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে ত্বকের পোরসের মুখগুলো উন্মুক্ত হয় না।
শুধু ত্বক নয়, চুলের জন্যও ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করা ভালো। গরম পানি চুলের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়, চুল পড়ার সমস্যা বাড়াতে পারে, চুল রুক্ষ হয়ে যেতে পারে, চুলে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে, উধাও হয় চুলের উজ্জ্বল ভাব। এমনকি চুলের গোড়াও মজবুত থাকে না। তাই ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করাই চুলের জন্য ভালো। চুল থাকবে মোলায়েম ও চকচকে।
ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে আমাদের শরীরের এন্ডরফিন নামক বিশেষ হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। এই হরমোন মূলত আমাদের স্ট্রেস ও ক্লান্তিভাব দূর করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে মনমেজাজ চাঙ্গা রাখে। তাই ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করা মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভালো।
শীতকালে অনেক সময়েই আমরা অজান্তে চোট-আঘাত পাই। বিশেষ করে শরীরচর্চা করতে গিয়ে চোট লাগে। আর সেই আঘাতের ফলে প্রভাব পড়ে পেশীতে। চোটের জেরে পেশি ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই সমস্যাও দূর করবে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করার অভ্যাস।
তবে হার্টের অসুখ, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, ডায়াবেটিসের মতো রোগ থাকলে সতর্ক থাকতে হবে। তারা শীতকালে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। নয়তো মারাত্মক বিপদ হতে পারে।
সূত্র : এবিপি আনন্দ
সম্পর্কিত খবর
জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ ১৬ মার্চ, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, সেটি জানতে হলে পড়ুন আজকের রাশিফল।
মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): আজ সর্বত্র শুভ যোগাযোগ থাকবে। প্রিয়জনের সঙ্গে ভালো সময় কাটবে।
বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): কর্মপ্রার্থীদের যোগাযোগগুলো ফলপ্রসূ হতে পারে।
মিথুন (২১ মে-২০ জুন): কাজকর্মে প্রসার লাভ হবে। মানসিক প্রফুল্লতা বজায় থাকবে। সৃজনশীল কাজকর্মে স্বীকৃতি ও সম্মান পেতে পারেন। কাজের দিকে মনোনিবেশ করুন এবং নিশ্চিত করুন যে আপনি সেরা আউটপুট দিচ্ছেন।
কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): আজ ঘরের সংবেদনশীল সমস্যাগুলোর সমাধান করতে আপনার বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে হবে।
সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট): আজ যারা কর্মক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ নিতে আগ্রহী, তাদের প্রচুর সুযোগ থাকবে। অন্যেরা আপনার দক্ষতার ওপর আস্থা রাখবে। প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা চালিয়ে যান। আদর্শের সঙ্গে আপস করবেন না।
কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর): কোনো কাজে আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন। পাওনা আদায়ে অগ্রগতি হবে। দিনের প্রথম অংশে কিছুটা সমস্যা থাকলেও দিনের শেষে শান্তি পাবেন। আপনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে একটি নতুন উদ্যোগ চালু করতে পারেন।
তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর): দিন আনন্দের মধ্যেই কাটবে। নিজেকে যথাযথভাবে প্রকাশ করতে পারবেন। সঠিক পরিশ্রমের ভালো ফল লাভ হবে। আপনার কাজের দ্বারা অন্যকে খুশি করতে পারবেন। নিজের ওপর আস্থা রাখুন।
বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর): কোনো ভালো কাজের আশ্বাস পেতে পারেন। প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও ভালো কিছু হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। দৈনন্দিন কাজকর্মে সাফল্য ও সুনাম বজায় থাকবে। প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন।
ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): প্রত্যাশা পূরণে অন্যের সহযোগিতা পাবেন। অর্থনৈতিক বিষয় অনুকূলে থাকবে। ব্যবসার জটিলতা দূর হবে। নতুন কিছু করার সুযোগ পাবেন। সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করতে হবে। মন ভালো রাখুন।
মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি): পেশাগত যোগাযোগে অগ্রগতি হবে। নতুন কাজের সন্ধান ও উপার্জন বৃদ্ধির সুযোগ আসবে। পুরনো সমস্যা সমাধানে অন্যের সহযোগিতা পাবেন। কর্মক্ষেত্রে সেরা পারফরম্যান্স দিতে হবে। প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন।
কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): আপনার কাজে অন্যদের প্রভাবিত করতে পারবেন। প্রতিযোগিতামূলক কাজে সাফল্যের যোগ। আপনার সঙ্গী বা বন্ধুর সঙ্গে সময় কাটানোর সময় বিরক্তির বিষয়গুলো এড়িয়ে চলুন এবং সারা দিন খুশি থাকুন।
মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): আজ কিছুটা মানসিক চাপ থাকতে পারে। কাজের পরিবেশ মাঝেমধ্যে প্রতিকূল হলেও ক্ষতিকর হবে না। প্রিয়জনের স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে। লাভজনক কাজ হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। প্রিয়জনের মন রক্ষা করে চলুন।
আহমেদ মাসুদ, বিশিষ্ট অকাল্ট সাধক, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্যোতিষী, ফেংশুই ও বাস্তু বিশেষজ্ঞ। যোগাযোগ: ০১৭১১০৫৭৩৭৭ই-মেইল: amasud9995@gmail.com www.astrologerahmedmasud.com
স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। সে ক্ষেত্রে টক দই একটি ভালো খাবার হতে পারে। তবে মজার বিষয় হলো, দুগ্ধজাত এই খাবার আপনি বিভিন্নভাবে খেতে পারবেন। ফলের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন, আবার স্মুদি করতেও অসুবিধা নেই।
ভিটামিন উপাদান
দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন বি ১২, বি২, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মত জরুরি উপাদান থাকে। আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এর বিকল্প নেই।
প্রোবায়োটিকে ভরপুর
হজম প্রক্রিয়া ও অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য প্রোবায়োটিক কার্যকরী। টক দই এই সময়ে পেট ফোলা কিংবা ডায়রিয়ার সমস্যা থেকে রেহাই দিতে সাহায্য করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে
ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হলে টক দই একটি ভালো বিকল্প। টক দইয়ে প্রচুর প্রোটিন থাকে তাই অনেকক্ষণ খিদে লাগে না।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে
রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে টক দইয়ের উপাদান কার্যকর। টক দইয়ের ম্যাগনেশিয়াম, জিংক ও সেলেনিয়ামের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেক বেড়ে যায়।
হাড়ের গঠনে
মজবুত হাড় গঠনে টক দই খুব কার্যকর।
তবে টক দইয়ের সঙ্গে কিছু খাবার খাওয়া ঠিক নয়। সেগুলো হলো—
তাই স্বাস্থ্যের ভালোর জন্য স্বাস্থ্যকর খাওয়া উচিত।
আধুনিক জীবনযাপনের ফলে বর্তমান সময়ে হৃদরোগ বেড়েই চলেছে। আগে নির্দিষ্ট একটা বয়সের মানুষই এই রোগে বেশি ভুগতেন। তবে এখন সব বয়সী, এমনকি কম বয়সীরাও এই রোগের মুখোমুখি হচ্ছেন। ওষুধের পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া উপায়ও রয়েছে, যা হার্টের সমস্যা আগে থেকেই রুখে দিতে পারে।
ভারতীয় এক বিশেষজ্ঞ বলেন, যদি ১০০ জন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলা হয়, হার্টের জন্য কী সুপারিশ করবেন, তার মধ্যে ৯৯ জনই বলবেন অর্জুনের ছালের কথা। এটি হার্টের জন্য একটি কার্যকরী ওষুধ। অর্জুনের ছালের অনেক উপকারিতা রয়েছে, বিশেষ করে এটি কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ কমায় এবং হার্টের পাম্পিং ক্ষমতা বাড়ায়।
অর্জুনের ছাল কিভাবে খাবেন
চিকিৎসকদের মতে, অর্জুনের ছাল খুবই সস্তায় পাওয়া যায় এবং যেকোনো ভেষজ দোকানে সহজেই মেলে। এটি খুব বেশি প্রসেসিং না করাই ভালো।
অর্জুনের ছালের আরো কিছু ব্যবহার রয়েছে। অর্জুনের ছালের গুঁড়া, আদা ও তুলসী একসঙ্গে পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি পান করুন। এ ছাড়া অর্জুনের ছাল দিয়ে চা বানিয়েও পান করতে পারেন।
হার্টের সমস্যা সমাধানে অর্জুনের ছাল যে একটি কার্যকর উপাদান, তা বিশেষজ্ঞরাও স্বীকার করেছেন। সহজলভ্য ও সস্তায় পাওয়া এই উপাদান আপনার হার্টকে রাখবে সুস্থ ও সচল।
তবে, নতুন কোনো খাবার গ্রহণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। অ্যালার্জির মতো সমস্যার বিষয়েও সতর্কতা অবলম্বন করুন।
সূত্র : আজতক বাংলা
আমাদের মধ্যে অনেকেই বাথরুমে টুথব্রাশ রাখেন। তারা জানেনই না যে টুথব্রাশ বাথরুমে রাখলে কী ক্ষতি। বাথরুমে রাখলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে ব্রাশে। এটি মুখের সংক্রমণ, মাড়ির সমস্যা এবং দাঁতের রোগের দিকে ঠেলে দেবে আপনাকে।
বাথরুমে টুথব্রাশ রাখলে এ ছাড়া আর কী ক্ষতি হতে পারে এবং কিভাবে টুথব্রাশ ব্যবহার করবেন, কিভাবে পরিষ্কার করবেন তা জানুন এই প্রতিবেদন।
বাথরুমে ব্রাশ রাখলে যে ক্ষতি
বেশির ভাগ মানুষই টুথব্রাশ ব্যবহারের পর বাথরুমে রেখে দেয়। তবে আর্দ্রতা বেশি থাকায় টুথব্রাশে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও ভাইরাস জন্মানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে। বিশেষ করে টয়লেট ফ্লাশ করলে টুথব্রাশের ওপর পানির কণা ছিটে যেতে পারে।
মাড়ির সংক্রমণ : ব্রাশ পরিষ্কার না করলে মাড়ির জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জমে জিঞ্জিভাইটিস ও ডেন্টাল ক্যাভিটি সৃষ্টি করতে পারে।
পেরিওডন্টাল রোগ : টুথব্রাশে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া পেরিওডন্টাইটিস নামক মারাত্মক রোগ প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে।
গুরুতর দাঁতের সমস্যা : ব্যাকটেরিয়া দাঁতে জমা হয় এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দাঁতের ক্ষয় হতে পারে।
দুর্গন্ধ : টুথব্রাশে জমে থাকা অণুজীবের প্রভাবে মুখ থেকে দুর্গন্ধ হতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় : টুথব্রাশে উপস্থিত ক্ষতিকর অণুজীবগুলো শরীরে প্রবেশ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দিতে পারে।
টুথব্রাশ শুকনো রাখতে হবে। অবশিষ্ট পেস্ট ও খাদ্য কণা সম্পূর্ণরূপে মুছে ফেলা উচিত। বাথরুম একটি আর্দ্র জায়গা, যেখানে রাখা টুথব্রাশ অণুজীবের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
টুথব্রাশ ফোটানো পানি কয়েক মিনিট রাখলে ক্ষতিকর অণুজীব ধ্বংস হতে পারে। তবে এটি করা হলে ব্রিজলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। টুথব্রাশ দীর্ঘ সময় ব্যবহার করা উচিত নয়। প্রতি ৩-৪ মাসে এটি পরিবর্তন করা প্রয়োজন।
বাথরুমে টুথব্রাশ রাখলে স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। এটি আর্দ্রতামুক্ত জায়গায় রাখা এবং এটি পরিষ্কার রাখা একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাসে পরিণত হওয়া উচিত। এ ছাড়া প্রতি তিন মাসে একবার একটি নতুন টুথব্রাশ ব্যবহার করা ভালো। মৌখিক স্বাস্থ্যের সমস্যা এড়াতে টুথব্রাশের স্বাস্থ্যবিধিতে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।
সূত্র : নিউজ ১৮