<p style="text-align:justify">জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ মানুষের আস্থা ও নির্ভরতার অন্যতম প্রতীক। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে এই নম্বরে ফোন করে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুল্যান্স সেবা কিংবা এসংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়। পুলিশের অধীনে পরিচালিত এই কল সেন্টারটি দিনরাত ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে।</p> <p style="text-align:justify">প্রতিদিন গড়ে ২২ হাজারের বেশি ফোন কল আসে ৯৯৯ নম্বরে। সেভাবে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে পুলিশ বাহিনী এবং দেশের চার শতাধিক থানা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ৯৯৯ নম্বরে সেবায় অনেকটা ভাটা পড়েছে। ৯৯৯ নম্বরে কলে আগের মতো আর সাড়া দিতে পারছে না থানা পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সেবাদাতারা।</p> <p style="text-align:justify">এদিকে ৯৯৯-এর কর্তৃপক্ষ জানায়, আন্দোলনের সময় অল্প কিছুদিন ৯৯৯ বন্ধ থাকলেও বর্তমানে পুরোদমে সেবা (ডেসপাচ) দেওয়া হচ্ছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুল্যান্স ফোন কল অনুযায়ী সেবা দিতে পারছে না, আবার বিলম্বও হচ্ছে।</p> <p style="text-align:justify">জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এর মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে কল রিসিভ করা, সমস্যা শুনে সংশ্লিষ্ট বিভাগে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তবে অনেক থানা আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায়, পর্যাপ্ত গাড়ি ও জনবল না থাকায় সেবা দিতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিলম্ব হতে পারে। সেটি আমাদের এখতিয়ারে নেই।’</p> <p style="text-align:justify">ঢাকা মহানগর পুলিশের একাধিক থানার ওসি জানান, অনেক থানায় আগে ছিলে ছয় থেকে আটটা গাড়ি, সে জায়গায় এখন গাড়ি তিন-চারটা। অন্য থানার গাড়ি নিয়েও কাজ চালাতে হচ্ছে। এ ছাড়া জনবলের রদবদলসহ নানা কারণে আগের মতো ৯৯৯-এর সব কলে তারা সাড়া দিতে পারছে না। খুবই ইমার্জেন্সি ক্ষেত্রে সাড়া দেওয়া হচ্ছে।</p> <p style="text-align:justify">৯৯৯-সংশ্লিষ্ট আরো দুজন কর্মকর্তা বলেন, ‘থানা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং পুলিশ কর্মবিরতিতে যাওয়ার সময়টুকু একেবারে এই সেবা বন্ধ ছিল। ৯৯৯ চালু হওয়ার পর থেকে এত বেশি সময় কখনোই এই সেবা বন্ধ ছিল না।’</p> <p style="text-align:justify">জাতীয় জরুরি সেবার প্রধান অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) তবারক উল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের কাছে যেসব ফোন কল আসছে, সমস্যাগুলো শুনে ডেসপাচ করে দিচ্ছি। কারণ আমাদের কাজ হচ্ছে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে সেবাপ্রার্থীদের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া। সেই বিভাগে সেবা দিতে যদি বিঘ্ন ঘটে, সেখানে আমাদের নিয়ন্ত্রণ থাকে না।’</p>