<p>আসলেই সত্যেন বসু স্পিন ধারণা দিয়েছিলেন কি না, সেটা এখন প্রমাণ করা মুশকিল। তবে পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া কলেজের সাবেক অধ্যাপক দেবীপ্রসাদ রায় একটি বই লেখেন—‘সত্যেন্দ্রনাথ বসু : চেনা বিজ্ঞানীর অজানা কথা’। বইটি প্রকাশ করে কলকাতার বিখ্যাত আনন্দ পাবলিশার্স।</p> <p>সেই বইয়ে সত্যেন বসু যে আলোর কণাদের স্পিন ধারণার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন, তিনি যুক্তিতর্ক ও ঐতিহাসিক কিছু দলিল উত্থাপন করেছেন। সেসব দেখেশুনে মনে হয়, আসলেই সত্যেন বসু স্পিন ধারণার অনেক কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কোয়ান্টাম স্পিনের জনক কি সত্যেন বোস : পর্ব ৪" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/29/1732880461-40a3173f874c475b27b9f6b832f9a106.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কোয়ান্টাম স্পিনের জনক কি সত্যেন বোস : পর্ব ৪</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/29/1451981" target="_blank"> </a></div> </div> <p>আইনস্টাইনের প্রথম জীবনীকার ডাচ পদার্থবিদ আব্রাহাম পাইজকে একহাত নিয়েছেন অধ্যাপক রায়। আইনস্টাইনের জীবনী লিখতে গিয়ে পাইজ বারবার সত্যেন বসুর কথা উল্লেখ করেছেন। তবে প্রতিবারই এমন কিছু মন্তব্য করেন বোস সম্পর্কে, যেগুলো অপমানজনক। বোসের স্পিন ধারণা সম্পর্কে তার মন্তব্য, ‘আন্দাজে ঢিল ছুড়েছেন বোস।’ </p> <p>পাইজের অসৌজন্যমূলক বক্তব্য খণ্ডন করে কিন্তু অনেকগুলো নথিপত্র সংগ্রহ করেছেন দেবীপ্রসাদ রায়, সেগুলো থেকে উদ্ধৃতি টেনেছেন। শেষমেশ দেখাতে চেয়েছেন, সত্যেন বসু স্পিন ধারণার প্রথম প্রবক্তা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শূন্য বিন্দু শক্তি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/29/1732885940-0e32eef4b30244bc2b9e54e20ddba35b.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শূন্য বিন্দু শক্তি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/29/1452001" target="_blank"> </a></div> </div> <p>দেবীপ্রসাদের বইয়ে অতি রোমান্টিকতা আছে, সত্যেন বসুকে স্পিন ধারণার প্রবর্তক প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা আছে, তার পরও শুধু রোমান্টিকতার অজুহাতে তার বইটাকে খারিজ করে দেওয়ার উপায় নেই।</p> <p>অন্যদিকে গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় স্পিনের পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছেন, তিনি লিখেছেন, ‘১৯২৪ সালে প্লাংকের সূত্র ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সত্যেন্দ্রনাথ ধরে নিয়েছিলেন যে ফোটন কণাদের স্পিন বা নিজস্ব কৌণিক ভরবেগ আছে। আইনস্টাইন অনুবাদের সময় স্পিন কথাটা বাদ দিয়ে আলোর দুই ধরনের পোলারাইজেশন বা সমবর্তনের কথা বলেন। তরঙ্গের সমবর্তন হয়, কিন্তু কণিকার সমবর্তনের কোনো অর্থ নেই।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="চাঁদে বাতাস নেই কেন?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/26/1732620497-5e13a2f4d8b06de66e213d5ac2de65a7.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>চাঁদে বাতাস নেই কেন?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/26/1450863" target="_blank"> </a></div> </div> <p>‘সত্যেন্দ্রনাথের তত্ত্বে কিন্তু আলোকে তরঙ্গ নয়, কণা ধরা হয়েছিল। মৌলিক কণার স্পিনের কথা তখন পর্যন্ত কেউ জানত না। এক বছর পরে জর্জ উলেনবেক ও স্যামুয়েল গোল্ডস্মিট প্রথম ইলেকট্রনের স্পিনের কথা বলেন। অনেক বছর পরে সত্যেন্দ্রনাথকে যখন এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তখন তিনি বলেন স্পিন আবিষ্কার হয়েছে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ, কে প্রথম সে কথা বলেছিল, সে ব্যাপারটা নিতান্তই গৌণ। এই রকম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক আবিষ্কারের দাবি স্বচ্ছন্দে ছেড়ে দিতে পারেন, এমন মানুষ পৃথিবীতে সত্যি বিরল।’</p> <p>ইতিহাস সত্যের জয়গান গায়। সত্যেন বসু যদি সত্যি সত্যিই স্পিন ধারণার প্রবর্তক হন, একদিন হয়তো সে প্রমাণ বেরিয়ে আসবে। আমরা সেই দিনের অপেক্ষায়।</p>