স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ভাসছে কুমিল্লা। জেলার ১৭টি উপজেলার মধ্যে ১৪টি উপজেলা বানের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। জেলার অন্যান্য উপজেলায় ত্রাণ সহায়তা পৌঁছালেও মনোহরগঞ্জ উপজেলায় সেভাবে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছায়নি।
মনোহরগঞ্জে বন্যার্তদের পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ, ২০০ পরিবারের মুখে হাসি
কুমিল্লা প্রতিনিধি

বিষয়টি জানতে পেরে গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় এসে বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যরা। কাপাসিয়া উপজেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের পক্ষ থেকে মনোহরগঞ্জের ২০০ বন্যার্ত পরিবারকে দেওয়া হয়েছে খাদ্য সহায়তা। এতে হাসি ফুটেছে বানভাসী ওই পরিবারের মুখে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালে উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়নের ডাবুরিয়া গ্রাম, জলিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রসহ কয়েকটি স্থানে এই ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়।
কাপাসিয়া উপজেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের আহ্বায়ক আশিকুল ইসলাম আশিক বলেন, ‘এখানে এসে দেখছি, মনোহরগঞ্জে বন্যার পানি এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। পুরো উপজেলার মানুষ এখনো পানিবন্দি। এ পরিস্থিতিতে মনোহরগঞ্জ উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়ন ও বিভিন্ন এলাকায় স্বল্প পরিসরে বন্যাদুর্গতদের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেছেন বসুন্ধরা শুভসংঘ কাপাসিয়া উপজেলা শাখার সদস্যরা।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের এ কাজে সহযোগিতা করেছে স্টুডেন্টস সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার এবং মোফাজা টেক সলিউশনস।
বসুন্ধরা শুভসংঘ কাপাসিয়া উপজেলা শাখার অন্য সদস্যরা জানান, এই উপজেলায় কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি। সামর্থ্যবানদের উচিত নিজ নিজ অবস্থান থেকে বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়ানো। মনোহরগঞ্জে ত্রাণের জন্য এখনো হাহাকার চলছে। এখানে আরো অনেক ত্রাণ সহায়তা দরকার।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাপাসিয়া উপজেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্য আবুল হোসেন সবুজ, মোফাজা টেক সলিউশনস বাংলাদেশের আইটি রিসোর্স ম্যানেজার আজহারুল ইসলাম আশিক, এইচআর ম্যানেজার ইমতিয়াজ জামান অমি, শুভ, স্টুডেন্টস সোশ্যাল ওয়েলফেয়ারের সৈকত প্রমুখ।
এ ছাড়া মনোহরগঞ্জ উপজেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের সভাপতি শাহাদাত হোসেন, সহসভাপতি তানভীর মাহমুদ আরমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান তুহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর মাহমুদ নাইম, কার্যকরী সদস্য নাহিদ হাসান তুষারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পর্কিত খবর

বসুন্ধরা শুভসংঘের মৌলভীবাজার শাখার কমিটি ঘোষণা
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

‘শুভ কাজে সবার পাশে’ স্লোগানে বসুন্ধরা শুভসংঘের মৌলভীবাজার জেলা শাখার ২০২৫ সালের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে সভাপতি হিসেবে এম মুহিবুর রহমান মুহিব এবং সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেল রানা মনোনীত হয়েছেন।
গতকাল রবিবার (১৩ এপ্রিল) বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আগামী এক বছরের জন্য ৩৯ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়।
এ ছাড়া মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের সাবেক প্রফেসর ড. ফজলুল আলীকে প্রধান উপদেষ্টা করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সুফায়েল আহমেদ খান, সহসভাপতি, ফখরুল ইসলাম, সহসভাপতি কামরুজ্জামান শিপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ফাহাদ আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, রাহেল আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হামজা চৌধুরী (সুসান) সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইমরান সাজু, অর্থ সম্পাদক হোসাইন আহমদ, দপ্তর সম্পদ মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, ইভেন্ট সম্পাদক জায়দুল ইসলাম মামুন, কর্ম পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক মো. জাকারিয়া হোসেন ইমন, প্রচার সম্পাদক মুহিবুল ইসলাম সাম্মু, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক আবু নছর চৌধুরী রাহি, স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক তিতাস দাশ তীর্থ, ক্রীড়া সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ রাকু, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইফতেখার আহমদ শাফি, শিক্ষা ও পাঠ্যচক্র বিষয়ক সম্পাদক, জাকারিয়া আহমেদ জাকের, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক ওয়ালিদ আহসান চৌধুরী নাহিদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মিনহাজ আহমেদ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক তুষার আহমেদ।
কার্যকরী সদস্যরা হলেন শেখ সালমান আহমদ, আরিফ তালুকদার, তানভীর আলম বিজয়, মো. রাহিদ আহমদ, মো. ছাইদ আহমেদ, তৌফিকুল ইসলাম, রুমান তালুকদার অভি, সৈয়দ মারুফুর রহমান মামুন, মো. রাফি আহমদ, রাকিব হোসেন ইমন, রকি আহমদ।
বসুন্ধরা শুভসংঘ দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের একটি সামাজিক সংগঠন।

কালিয়াকৈরে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মানববন্ধন করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ
নিজস্ব প্রতিবেদক

বসুন্ধরা শুভসংঘ কালিয়াকৈর উপজেলা শাখার উদ্যোগে ‘নিরাপদ সড়ক ও আমাদের সচেতনতা’ শীর্ষক মানববন্ধন ও পথসভা করেছে সংগঠনের সদস্যরা। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সফিপুর বাজার এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে এ মানববন্ধন ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে শুভসংঘের বন্ধুরা পোস্টারে নানা সচেতনতামূলক লেখা প্রদর্শন করেন।
পথসভায় বক্তারা বলেন, নিরাপদ সড়ক আমাদের সবার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বসুন্ধরা শুভসংঘ কালিয়াকৈর উপজেলা শাখার সভাপতি জোবায়ের আহমেদ সাব্বির বলেন, প্রতিদিন সড়কে প্রাণ হারাচ্ছে অনেক মানুষ। এ অবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন। সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়— ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন, অদক্ষ চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, এবং শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে হবে।
বসুন্ধরা শুভসংঘ কালিয়াকৈর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নীরঞ্জন চন্দ্র দাস বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও সচেতনতা জরুরি।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি জুবায়ের আহমেদ সাব্বির, সাধারণ সম্পাদক নীরঞ্জন চন্দ্র দাস, সহ-সাধারণ সম্পাদক নয়ন মিয়া, রাফিজ ফয়সাল রিহাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, রমজান আলী, দপ্তর সম্পাদক শনকিম সরকার, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সাদিয়া আরেফিন তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।

জবি বসুন্ধরা শুভসংঘের ‘তরুণদের নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনাসভা
জবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বসুন্ধরা শুভসংঘের একঝাঁক তরুণ সদস্য নিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণদের ভাবনা নিয়ে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘স্বপ্ন, সাহস আর সৃজনশীলতা—এই তিনে ভর করে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবে তরুণরাই’ এমন বিশ্বাস থেকেই এ আয়োজন।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ৩১৫ নম্বর রুমে এ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় আলোচকরা গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা, বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণে তরুণদের ভূমিকার কথা, তরুণদের দক্ষতার উন্নয়নের নানা পরিকল্পনা ব্যক্ত করেন।
জবি শুভসংঘের সভাপতি মো. জুনায়েত শেখের সভাপতিত্বে ‘তরুণদের নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় আরো অংশ নেন কমিটির বিভিন্ন নেতা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সভায় শুভসংঘের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর আনজুম বিশ্বাস বলেন, গণ-অভ্যুত্থান আমাদের দেখিয়েছে- বাংলাদেশ এখনো স্বপ্ন দেখতে জানে, জানে ঘুমন্ত বিবেককে জাগিয়ে তুলতে। আমরা যারা এই দেশের ভবিষ্যৎ, সেই তরুণ প্রজন্ম, আজ আমাদের কাঁধে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব।
সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক তাহমিদ আব্দুল্লাহ রাদ বলেন, বাংলাদেশ হবে দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন— যেখানে সুযোগ ও সেবার সমান অধিকার পাবে শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত প্রতিটি মানুষ। যেখানে শিক্ষার মান হবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের, গবেষণায় আমরা প্রতিযোগিতা করব বিশ্বের সঙ্গে, আর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে যোগ্যতার ভিত্তিতে।
শুভসংঘের সদস্য আবিদা সুলতানা আঁখি বলেন, আমরা চাইলে উদ্যোক্তা হয়ে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারি।
আইনবিষয়ক সম্পাদক সাকেরুল ইসলাম বলেন, আমরা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে দরিদ্র শিশুদের শিক্ষায় ফিরিয়ে আনতে পারি, সচেতনতা বাড়াতে পারি স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ে, সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিতে পারি যেকোনো দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে। তরুণ মানেই স্বপ্ন, সাহস আর সৃজনশীলতা। আমরা যদি আমাদের মেধা, সময় আর প্রযুক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাই, তবে একদিন বাংলাদেশের কোনো মানুষ আর ‘গরিব’ নামে পরিচিত হবে না।
আরেক শিক্ষার্থী ও নবীন সদস্য রাফিজুল ইসলাম বলেন, দারিদ্র্য দূরীকরণে তরুণদের অংশগ্রহণ শুধু নয়, পাশাপাশি দরকার বিভিন্ন বিষয়ের দক্ষতাসম্পন্ন জ্ঞান। আমরা যদি প্রযুক্তি, যোগাযোগ, উদ্যোক্তা দক্ষতা ও নেতৃত্বগুণে পারদর্শী না হই— তাহলে আমরা পরিবর্তন আনতে পারব না। কাজেই দরকার বাস্তবমুখী শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও উদ্যোগমূলক পরিবেশ। দক্ষ তরুণ মানেই একটি দক্ষ বাংলাদেশ। আর দক্ষ বাংলাদেশই পারবে দারিদ্র্যকে ইতিহাসের পাতায় পাঠিয়ে দিতে।
বক্তব্যে বসুন্ধরা শুভসংঘের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মো. জুনায়েত শেখ বলেন, আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো আমাদের তরুণসমাজ। এই তরুণরাই পারে আধুনিক, শিক্ষিত ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। তবে তার জন্য প্রয়োজন মানসম্পন্ন শিক্ষা, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সুযোগ তৈরি। একজন শিক্ষিত, সচেতন ও দক্ষ তরুণ শুধু নিজের জীবন বদলায় না— সে সমাজকেও বদলায়। দারিদ্র্য দূরীকরণে তরুণদের উদ্যোক্তা হওয়া, প্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শী হওয়া এবং মানবিক নেতৃত্ব দেওয়া এখন সময়ের দাবি।
তিনি বলেন, আমি আশা করি, আজকের এই সভা আমাদের সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারে। আমরা সবাই মিলে একটি শিক্ষিত, দক্ষ, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব ইনশাআল্লাহ।

ফুলপুরে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ঘুড়ি উৎসবে বিজয়ী বসুন্ধরা শুভসংঘ
ফুলপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ময়মনসিংহের ফুলপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘসহ ৩০টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অংশগ্রহণে হারিয়ে যাওয়া ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ঘুড়ির সৌন্দর্য ও আকাশে নজরকারা দৃশ্যে বসুন্ধরা শুভসংঘসহ ১০ সংগঠনকে ঘুড়ি উৎসবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে ফুলপুর গোদারিয়া মিনি স্টেডিয়াম খেলার মাঠে ঘুড়ি উৎসবের উদ্বোধন করেন ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম সীমা। এই উৎসবে অংশ নেয় বসুন্ধরা শুভসংঘ, আমাদের ফুলপুর, আমাদের ঐতিহ্য, ফুলপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ, বন্ধু মহল, ভলান্টিায়ার ফর বাংলাদেশ, গ্রামাউস মডেল একাডেমি, ফুলপুর হেল্প জোনসহ প্রায় ৩০টি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন
জানা যায়, প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এই অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে ফুলপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
ফুলপুর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সকাল ৯টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ষবরণ শোভাযাত্রা, বাঙালির ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নাট্যমঞ্চ, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলোচনাসভা, প্রশাসন চত্বরে বৈশাখী মেলাসহ জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিকেলে গোদারিয়া মিনি স্টেডিয়াম আকাশের দিকে তাকালেই দেখা যায় হরেক রকমের ঘুড়ি। বিভিন্ন রঙের ঘুড়ি দেখতে শত শত মানুষের আগমন। যেদিকে চোখ যায় মানুষ আর মানুষ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফুলপুর উপজেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের সাধারণ সম্পাদক নিশিত সরকার মিঠু, ফাতেমা আক্তার, শুভসংঘের সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক কবি বিল্লাল হোসেন, ইকবাল হোসেন। বিচারকরা ১০টি সংগঠনকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
বসুন্ধরা শুভসংঘের সভাপতি জিয়াউর রহমান পান্না বলেন, ‘বসুন্ধরা শুভসংঘের ঘুড়ি সবাই প্রশংসা করছেন। এ সংগঠন মানবিক কাজের পাশাপাশি গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি ফিরে পেতে কাজ করে সব সময়।’
ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম সীমা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ঘুড়ি উৎসবকে মাতিয়ে তুলতে বসুন্ধরা শুভসংঘসহ সব সংগঠনের অনেক সহযোগিতা পেয়েছি।