<p>কয়েক দিন ধরে সারা দেশে কখনো টানা আবার কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি বইছে। আকাশে কালো মেঘ জমে অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে যখন-তখন। বৃষ্টি বিড়ম্বনায় ভোগান্তি বাড়ছে যাতায়াতে। এমন বিরুদ্ধ আবহাওয়ার মধ্যেও ফুটবলের দীক্ষা নিতে এক ঝাঁক শিশু-কিশোর আজ শনিবার বিকেলে হাজির হয় বসুন্ধরা কিংসের অনুশীলন মাঠে। কেউ বাবা, আবার কেউ-বা মায়ের হাত ধরে আসে বসুন্ধরা কিংসের স্বপ্নের একাডেমির শুভ যাত্রার সঙ্গী হতে। বয়সভিত্তিকের তিন ক্যাটাগরিতে প্রায় ৭০ জনকে নিয়ে বসুন্ধরা কিংস ফুটবল একাডেমির পেশাদার ফুটবল পাঠের প্রাথমিক যাত্রাটা শুরু হয়ে গেল আজই।</p> <p>শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলে সব রকম আধুনিকতা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা ক্লাবটি এই একাডেমির মধ্য দিয়ে এবার আরেকটি স্বপ্নপূরণের পথে পা বাড়াল। তাতে কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান অভিভূত, ‘আজকে (গতকাল) আমাদের একাডেমির যাত্রা শুরু হলো। এই একাডেমি চালু করা আমাদের স্বপ্ন বলতে পারেন। যদিও এখনই পূর্ণাঙ্গ একাডেমি বলা যাবে না। তার পরও যাত্রা শুরু হলো। আমরা আশাবাদী, এখানে যারা অনুশীলন করবে তারা একসময় বসুন্ধরা কিংসের মূল দলেও সুযোগ পাবে।'</p> <p>বয়সভিত্তিক তিনটি গ্রুপ ৬-১১, ১১-১৫ ও ১৫-১৮ বছরের শিক্ষার্থীদের নিয়ে শুরু হয়েছে এই একাডেমির যাত্রা। সপ্তাহে তিন দিন দেওয়া হবে ফুটবল প্রশিক্ষণ। যদিও শুরুতে অনাবাসিক হলেও আবাসিক প্রশিক্ষণের জন্য সাড়া বেশি এসেছে জানিয়েছেন ইমরুল হাসান, ‘আমাদের প্রাথমিক পর্যায়ে অনাবাসিক রেখেছি। যদিও আবাসিকের জন্য সাড়া বেশি ছিল। আমরা হয়তো ছয় মাস বা এক বছরের মধ্যে আবাসিকে যাব।’</p> <p>শুরুতে ভর্তি হতে একজনের জন্য খরচ করতে হচ্ছে ১০ হাজার টাকা, মাসিক বেতন ছয় হাজার করে। তবে যারা প্রতিভাবান কিন্তু দরিদ্র পরিবারের তাদের বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দেওয়া হবে। সেটা অবশ্য আবাসিক চালু হওয়ার পরেই। সারা দেশের বিভাগীয় আট শহরে ট্যালেন্ট হান্ট করে প্রতিভাবান খুদে ও কিশোর ফুটবলার খুঁজে বের করা হবে জানিয়েছেন ইমরুল, ‘শুধু ঢাকা না, আটটি বিভাগীয় শহরে ট্যালেন্ট হান্ট করব। সেখানে যদি প্রতিভাবান খেলোয়াড় পাই তাহলে তাদের সম্পূর্ণ বিনা বেতনে আমাদের একাডেমিতে সুযোগ করে দেব। যখন আবাসিক ক্যাম্প শুরু হবে তখন তাদের নিয়ে আসা হবে।’</p>