<p>বাংলাদেশ যে ৭ রানে ম্যাচটা জিততে পেরেছে, সেই ভিতটা আগেই গড়ে দিয়েছিলেন মেহেদী হাসান। ম্যাচসেরা এই স্পিনার ৪ ওভারে ১৩ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেটে। এটি তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। এর আগে ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯ রানে ৩ উইকেট ছিল এত দিন তার সেরা বোলিং। তার সেরা বোলিংয়ের দিনে জিতেছে বাংলাদেশও। </p> <p>ম্যাচের তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসেন মেহেদি। এসেই তুলে নেন নিকোলাস পুরানের উইকেট। পঞ্চম ওভারে ১২ বলে ২০ রান করা জনসন চার্লসকে ফেরানোর পর সপ্তম ওভারে আন্দ্রে ফ্লেচার ও রোস্টন চেজকে ফিরিয়ে নিজের ঝুলিতে ৪ উইকেট পুরে নেন এই স্পিনার। </p> <p>ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে প্রথম বলেই আউট হয়েছেন লিটন দাস। তার এমন ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে অবশ্য কিপিংয়ে দেশের হয়ে রেকর্ড গড়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৫টি ডিসমিসালের কীর্তি গড়েছেন তিনি। </p> <p>এত দিন এ কীর্তিটি ছিল মুশফিকুর রহিমের দখলে। ২০০৭ সালে উইন্ডিজের বিপক্ষে ৩টি ডিসমিসাল পেয়েছিলেন তিনি। ৩টি করে ডিসমিসালের কীর্তি রয়েছে নুরুল হাসান সোহান (দুইবার) ও লিটনেরও। </p> <p>তবে সেন্ট ভিনসেন্টে আজ এককভাবে এই রেকর্ডটি নিজের করে নিলেন লিটন। নিকোলাস পুরানকে স্টাম্পিংয়ের পর রোস্টন চেজ, আন্দ্রে ফ্লেচার, গুড়াকেশ মোতি ও রভমান পাওয়েলের ক্যাচ নিয়ে তাদের সাজঘরে ফেরার পথ করে দেন লিটন। </p> <p>বোলারদের দিনে ব্যান্ডন কিংকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম আঘাত করেছিলেন তাসকিন আহমেদ। জোড়া শিকারের দিনে রেকর্ড ছুঁয়েছেন তিনিও। বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে এক ক্যালেন্ডার বছরে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের নতুন কীর্তি এখন তার। ২০২৪ সালে তাসকিন পেয়েছেন ৫৮ উইকেট। ২০১৮ সালে মুস্তাফিজের ছিল ৫৭ উইকেট। ২০০৬ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজার ছিল ৫৩ উইকেট। </p>