<p>বিজ্ঞানীরা এমন একটি আশ্চর্য আণবিক ব্যাটারি তৈরি করেছেন। এটা এক চার্জে ৫ হাজার বছর ধরে চলবে। যুক্তরাজ্যের আণবিক শক্তি কর্তৃপক্ষ ও ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এরে নাম দিয়েছেন ‘কার্বন-১৪ ডায়মন্ড ব্যাটারি’।</p> <p>এই ব্যাটারির বিশেষত্ব হলো এটি ৫ হাজার বছর পর্যন্ত কার্যক্ষম থাকতে পারে। কার্বন-১৪ নামের এক তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহার করে এটি তৈরি করা হয়েছে। কার্বন-১৪-এর অর্ধ-জীবন ৫ হাজার ৭০০ বছর, যার মানে হলো এই ব্যাটারি কয়েক হাজার বছর পরেও শক্তির অর্ধেক ধরে রাখতে পারবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="গ্রহেরও লেজ আছে: অদ্ভুত আবিষ্কারে তোলপাড় বিজ্ঞানজগৎ" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/16/1734340023-3962e39925f070cfbba6b535fe9098da.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>গ্রহেরও লেজ আছে: অদ্ভুত আবিষ্কারে তোলপাড় বিজ্ঞানজগৎ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/12/16/1458075" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এই ব্যাটারির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এটি পেসমেকার বা শ্রবণযন্ত্রের মতো চিকিৎসাযন্ত্রে ব্যবহার করা যাবে। ফলে দীর্ঘমেয়াদে যন্ত্র প্রতিস্থাপনের প্রয়োজনীয়তা অনেক কমে যাবে। বিজ্ঞানী সারাহ ক্লার্কের মতে, এটি একটি নিরাপদ এবং টেকসই শক্তি-উৎস এবং অবিচ্ছিন্ন শক্তি সরবরাহ করতে সক্ষম।</p> <p>কার্বন-১৪ কীভাবে কাজ করে?</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="তিন সূর্যের সৌরজগৎ" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/16/1734340836-28c03d3961c2e936cc6234f52d82e965.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>তিন সূর্যের সৌরজগৎ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/12/16/1458077" target="_blank"> </a></div> </div> <p>কার্বন-১৪ একটি তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ। এটি স্বল্প বিকিরণ নির্গত করে। এই বিকিরণ যেকোনো কঠিন পদার্থ দ্বারা দ্রুত শোষিত হয়, তাই এটি অত্যন্ত নিরাপদ। মাত্র আধা মিলিমিটার আকারের প্রোটোটাইপ ব্যাটারি চরম পরিবেশেও কার্যকর। মহাকাশের কঠিন পরিস্থিতি থেকে শুরু করে পৃথিবীর দূরবর্তী ও প্রতিকূল পরিবেশেও এটি ব্যবহার করা সম্ভব।</p> <p>এই ব্যাটারি তৈরি করতে গ্রাফাইট ব্লকে উৎপন্ন কার্বন-১৪ ব্যবহার করা হয়। যুক্তরাজ্যে প্রায় ৯৫ হাজার টন গ্রাফাইট ব্লক রয়েছে, এগুলো পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত হয়। এই গ্রাফাইট ব্লক থেকে কার্বন-১৪ নিষ্কাশন করে ব্যাটারি তৈরি করলে এটি একটি নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব বিকল্প হতে পারে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কোয়ান্টাম গ্র্যাভিটি আসলে কী?" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/16/1734338898-ea30d07c62a62d002dd9570f94ab9e9b.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কোয়ান্টাম গ্র্যাভিটি আসলে কী?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/12/16/1458069" target="_blank"> </a></div> </div> <p>ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী টম স্কট মনে করেন, এই ব্যাটারি মহাকাশ প্রযুক্তি ও চিকিৎসায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। পাশাপাশি এটি পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।</p> <p>কার্বন-১৪ ডায়মন্ড ব্যাটারি আমাদের শক্তি ব্যবহারের ধারণায় নতুন বিপ্লব আনতে পারে। এক চার্জে ৫ হাজার বছর চলার সক্ষমতা শুধু আমাদের দৈনন্দিন জীবনই নয়, মহাকাশ ও চিকিৎসা খাতেও দীর্ঘস্থায়ী সমাধান দেবে। এটি টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শক্তি-উৎসের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে।</p> <p>সূত্র: বিবিসি</p>