<p style="text-align:justify">মুসলিমদের মুক্তিযুদ্ধের প্রতিপক্ষ বানানো হয়েছে দাবি করে আলোচিত ইসলামিক বক্তা মিজানুর রহমান আজহারি বলেছেন, ‘নিজ দেশে থেকেও আমরা কোণঠাসা। দাড়ি-টুপিকে বানিয়েছে রাজাকারের প্রতীক।’</p> <p style="text-align:justify">সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি।</p> <p style="text-align:justify">মিজানুর রহমান আজহারি তার পোস্টে লিখেছেন, “এবারের বিজয় দিবসটি অন্য রকম। সত্যিই অন্য রকম অনুভূতি। কারণ জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি যে এখনো তাজা। ‘স্বাধীনতা-২’-এর স্বাদ নিয়ে আমরা উদযাপন করছি— এবারের বিজয়ের দিনটি। কিন্তু আজকের এই দিনে দাঁড়িয়ে আমি খুব করে ভাবতে চাই—জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহত ভাই-বোনদের ত্যাগের যথাযথ মূল্য কি আমরা দিতে পারছি?” </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কটূক্তি করায় প্রশিক্ষণরত ২৫ এএসপিকে শোকজ" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/16/1734343052-e0da419712736c80dd38024d8dfeca6c.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কটূক্তি করায় প্রশিক্ষণরত ২৫ এএসপিকে শোকজ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/12/16/1458087" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">তিনি আরো লিখেছেন, ‘একাত্তরে আমরা লড়াই করেছিলাম জালিম রেজিমের বিরুদ্ধে। অন্যায় আর বৈষম্যের বিরুদ্ধে। কিন্তু বছর না ঘুরতেই আমাদের সেই বিজয় লুট হয়ে যায়। দেশ চলে যায় পুঁজিপতিদের পকেটে, কালচারাল এলিটদের দখলে। যার ফল, ৭৪-এর ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ। যার ফল নিজ দেশে থেকেও আমরা কোণঠাসা।’</p> <p style="text-align:justify">আজহারি লিখেছেন, ‘এই কালচারাল এলিটরা বিগত ৫০ বছরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে নিজেদের খায়েশমতো ফ্রেইমিং করেছে। মুক্তিযুদ্ধে যেখানে অংশই নিয়েছে এ দেশের আপামর মুসলিম জনতা, সেখানে মুসলিমদেরকেই বানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের প্রতিপক্ষ। দাড়ি-টুপিকে বানিয়েছে রাজাকারের প্রতীক। কালচারাল এলিটদের এই তীব্র মেরুকরণের ফলাফল—আজকের বৈষম্য আর ফ্যাসিজম।’</p> <p style="text-align:justify">বিজয়ের দিনে স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার প্রতীক ছিল মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধ। তাদের হৃদয়ে ছিল শহীদি আকাঙ্ক্ষা। মজলুম, শহীদ, আল্লাহর সাহায্য—এসব পরিভাষাই সেদিন আন্দোলনকে ট্রিগার করেছিল। মানুষকে চুম্বকের মতো টেনে এনেছিল রাজপথে। একাত্তরও এর ব্যতিক্রম কিছু ছিল না।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="পুলিশে বড় রদবদল" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/16/1734342565-d792b8b490aef953d009f0fbd3211c80.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>পুলিশে বড় রদবদল</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/12/16/1458083" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">আজহারি লিখেছেন, ‘বিজয়ের এই দিনটা উদযাপনের। একইভাবে ভবিষ্যৎ-কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ করবার। আমরা এমন একটা বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। এমন একটা বাংলাদেশ, যেখানে কারো ধর্মীয় মূল্যবোধকে দমন করতে, কোনো জঙ্গি নাটক সাজানো হবে না। এমন এক বাংলাদেশ, যেখানে রাজনৈতিক সুবিধা হাসিলের উদ্দেশ্যে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ছক আঁকা হবে না। যেখানে নিশ্চিত হবে সব বিশ্বাসের স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। আগামীর বাংলাদেশ হবে জনতার বাংলাদেশ।’</p>