<p>ব্যর্থতা যেন আষ্টেপৃষ্ঠে চেপে ধরছে ম্যানচেস্টার সিটিকে। শেষ ১২ ম্যাচে এক জয়, দুই ড্রয়ের বিপরীতে ৯ হার-সিটিকে ঠেলে দিয়েছে শীর্ষ থেকে ছয়ে। সবশেষ গতরাতে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে ২-১ গোলের হার শুধু তাদের পয়েন্ট টেবিলের অবস্থানই নয়, সিটির সাম্প্রতিক ফর্মের প্রতিচ্ছবি হয়ে ধরা দিয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের কোনো স্পষ্ট সংকেত আপাতত দেখা যাচ্ছে না।  </p> <p>সিটির কোচ পেপ গার্দিওলাও সম্ভবত তার সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছেন। তার অধীনে যে দল একসময় অপরাজিত ছিল, তারা কীভাবে এত দ্রুত অবনতির দিকে গেল তা নিয়ে চলছে চুলছেরা বিশ্লেষণ। দলের খেলার মান খারাপ না হলেও, একই ভুলের পুনরাবৃত্তি এবং চাপের মুহূর্তে সিদ্ধান্তহীনতা তাদের সংকটকে দীর্ঘায়িত করছে বলে মত অনেকের। </p> <p>সর্বশেষ আট ম্যাচের পারফরম্যান্স পরিসংখ্যানে সাউদাম্পটনের সঙ্গে যৌথভাবে তলানিতে রয়েছে প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। লিগের তলানিতে থাকা সাউদাম্পটনও গত আট ম্যাচে সিটির সমান মাত্র ৪ পয়েন্ট ঘরে তুলতে। দুই দলই এক জয়, এক ড্র এবং ছয়টি করে ম্যাচে হেরেছে। এই পরিসংখ্যানগুলো সিটি কোচ গার্দিওলার জন্য বেশ হতাশার, যদিও এডারসন, নাথান একে, রুবেন দিয়াসের ইনজুরি এবং মিডফিল্ডার রদ্রির দীর্ঘমেয়াদি অনুপস্থিতির মতো পরিস্থিতিতে গার্দিওলা কিছুটা হলেও ছাড় পেতে পারেন। </p> <p><img alt="1" height="600" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/online/2024/12/22/my1198/wsdewtgfrt.jpg" width="1000" /></p> <p>প্রিমিয়ার লিগে বর্তমানে ছয়ে থাকা সিটির অবস্থান শীর্ষে থাকা লিভারপুলের চেয়ে ৯ পয়েন্ট পিছিয়ে। আবার দুটি ম্যাচ বেশিও খেলেছে সিটিজেনরা। গার্দিওলার দলের এমন অবস্থা, চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। তবে আশার কথা, সিটি এবং গার্দিওলা অতীতে বারবার সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। নতুন বছরে তাদের ঐতিহ্য অনুযায়ী শক্তি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করবে প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। অনেকের বিশ্বাস, গার্দিওলা আবারও অসাধারণ কোনো কৌশল বের করে দলকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবেন। </p> <p>এই পরিস্থিতিতে গার্দিওলা বলেছেন, তার দল ফিরে আসবে। ‘আমাদের নিজেদের উপর নির্ভর করতে হবে। সমাধান হলো খেলোয়াড়দের ইন্জুরি থেকে ফেরা। বর্তমানে দলে একমাত্র সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার রয়েছে, যা দিয়ে ফিরে আসা কঠিন। পরবর্তী ম্যাচে আমরা চেষ্টা করব-এটি আরেকটি সুযোগ। আপাতত এর চেয়ে বেশি ভাবার প্রয়োজন নেই।’    </p> <p>‘গত মৌসুমে আমরা প্রিমিয়ার লিগ জিতেছিলাম, কিন্তু এখানে এসে হেরেছি। ইতিবাচক চিন্তা করতে হবে আমাদের। আমি আমার খেলোয়াড়দের ওপর আস্থা রাখি। ধীরে ধীরে আমরা ঘুরে দাঁড়াব।’- যোগ করেন তিনি। </p> <p>এর আগে অবশ্য বর্থতার দায় নিজের কাঁধে নিয়ে এর সমাধান খুঁজে বের করার কথা বলেছিলেন তিনি। সমাধান তো খুঁজে পাননি উল্টো পরের ম্যাচেও হেরেছে দলটি। </p> <p>দলে রদ্রির অভাব স্পষ্ট। তার সঙ্গে ইনজুরিতে থাকা জোনস স্টোনস, নাথান আকে এবং রুবেন দিয়াসের মতো খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতি দলকে আরো দুর্বল করে তুলেছে। ইনজুরি থেকে ফিরলেও কেভিন ডি ব্রুইনা নিজের সেরা ফরমে নেই। </p> <p>এদিকে টানা হার এবং ভুলের পুনরাবৃত্তি দলকে আত্মবিশ্বাসের তলানিতে পৌঁছে দিয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ক্লাবের বিরুদ্ধে আনা আর্থিক নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ। যদিও গার্দিওলা এবং খেলোয়াড়রা সরাসরি এর সাথে যুক্ত নন, তবু এটি তাদের মানসিকতায় প্রভাব তো ফেলেছেই।  </p> <p>সিটির তারকা স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ডও স্বীকার করেছেন, দলের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আত্মবিশ্বাসের দিক থেকে সেরা অবস্থায় নেই দল। আমরা জানি আত্মবিশ্বাস কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি সবার উপর প্রভাব ফেলে। আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে, যদিও কঠিন।’</p> <p><img alt="1" height="600" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/online/2024/12/22/my1198/sdfgtfjhy.jpg" width="1000" /></p> <p>অনেকের আবার সিটির ব্যর্থতার জন্য দলের তারকা স্ট্রাইকার হালান্ডের গোল না পাওয়ার দিকে ইঙ্গিত করেছেন। তবে হালান্ডের প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখছেন গার্দিওলা। তিনি বলেন, ‘ওকে (হালান্ড) ছাড়া আমরা আরো খারাপ অবস্থায় থাকতে পারতাম। সে সঠিক জায়গায় বল পেলে সুযোগ তৈরি করতে পারবে।’  </p>