<p>জাতীয় ক্রিকেট লিগের ফাইনালে রংপুর বিভাগের প্রতিপক্ষ হতে খুলনা বিভাগের সামনে লক্ষ্যটা বড় ছিল না। কিন্তু ঢাকা মেট্রোর দেওয়া ১২০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে পারেনি তারা। হেরেছে ৩৮ রানে।</p> <p>এতে টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এবারের ফাইনালে রংপুরের সঙ্গী হয়েছে ঢাকা মেট্রো। আগামী ২৪ ডিসেম্বর সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শিরোপার লড়াইয়ে নামবে দুই দল।</p> <p>ছোট্ট লক্ষ্য দিয়েও ঢাকা মেট্রোকে জয় এনে দিয়েছেন বোলাররা। বিশেষ করে দুই স্পিনার রাকিবুল হাসান ও মোসাদ্দেক হোসেন। দুজনের ঘূর্ণিতেই ঘায়েল হয়েছে খুলনা। শুরুটা করেন বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল। প্রথম ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে টানা দুই উইকেট তুলে নিয়ে ঢাকা মেট্রোকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন রাকিবুল।</p> <p>দলীয় খাতায় রান যোগ না হতেই আজিজুল হাকিম তামিম (০) ও ইমরুল কায়েসকে (০) হারিয়ে বিপদে পড়া খুলনা ফিরতি ওভারে হারায় আরেকটি উইকেট। মোহাম্মদ মিঠুন রান আউটের ফাঁদে পড়লে খুলনার স্কোর দাঁড়ায় ২ রানে ৩ ‍উইকেট। সেখান থেকে দলের হাল ধরার দায়িত্ব পড়ে এনামুল হক বিজয় ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের কাঁধে।</p> <p>চতুর্থ উইকেটে ২১ রানের ছোট জুটি গড়ে সেই আশাও দেখাচ্ছিলেন বিজয়-সোহান। কিন্তু বিজয় দলীয় ২৩ রানের সময় মোসাদ্দেককে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আবু হায়দার রনিকে লং অনে ক্যাচ দিলে সেই জুটি ভেঙে যায়। ১৬ রান করা বিজয়ের আউটের পর নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে খুলনা। সেখান থেকে পরে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। সর্বোচ্চ ২২ রান করে দলের হারের ব্যবধান কিছুটা কমিয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার সোহান। খুলনার ৮১ রানে অলআউট হওয়ার ইনিংসে ১৩ রান দিয়ে ঢাকা মেট্রোর হয়ে সর্বোচ্চ ৩ ‍উইকেট নেন মোসাদ্দেক।</p> <p>এর আগে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন নাঈম শেখ। সতীর্থরা আসা-যাওয়ার মিছিলে থাকলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে ১১৯ রান এনে দেন ঢাকা মেট্রোর অধিনায়ক। ওপেনিংয়ে নেমে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার সময় করেছেন ৫৭ রান। ৫৩ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১ ছয় ও ৬ চারে।</p>