<p>নিগার সুলতানা জ্যোতির আগে বেশ কয়েকজন নারী ব্যাটারের সুযোগ ছিল ইতিহাসের অংশ হওয়ার। তারা পারেননি। খুব কাছে গিয়েও হতাশ হতে হয়েছে আয়েশা রহমানকে। দক্ষিণাঞ্চলের ব্যাটার ৯৪ রানে আউট হওয়ায় নারী বিসিএলের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হতে পারেননি তিনি।</p> <p>সেই সুযোগটা লুফে নিয়েছেন জ্যোতি। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করেছেন মধ্যাঞ্চলের ব্যাটার। সেঞ্চুরিটা যে তিনি করবেন সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই নাকি আজ মাঠে নেমেছিলেন জ্যোতি। ম্যাচ শেষে বিসিবির প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় তেমনটাই জানিয়েছেন তিনি।</p> <p>সেঞ্চুরির বিষয়ে জ্যোতি বলেছেন, ‘গতকাল (রোববার) অনেকেই সেঞ্চুরি মিস করেছে। মাঠ ছাড়ার সময় জানতে পারি, আমার রান ৮৫। অনেকেই বলছিল, সেঞ্চুরি সম্ভব। আমিও চিন্তা করলাম ধৈর্য নিয়ে ব্যাটিং করলে সেঞ্চুরি করা যাবে। সকাল থেকে এটাই চেষ্টা ছিল, স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলার আমার ভেতরে একটা বিশ্বাস ছিল যে, আমি এটা করতে পারব। তো হয়ে গেছে।’</p> <p>প্রায় ৭ ঘণ্টা ব্যাটিং করেছেন জ্যোতি। ধৈর্যশীল ব্যাটিং করতে অন্য ব্যাটাররা তাকে অনুপ্রাণিত করেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। উইকেটরক্ষক ব্যাটার বলেছেন, ‘ওদের (ফারজানা হক পিংকি ও ইশমা তাজিম) ব্যাটিং দেখেই অনুপ্রাণিত হয়েছি। অন্য ম্যাচের ব্যাটারদেরও দেখছিলাম, সময় নিয়ে ব্যাটিং করেছে। কোচ থেকেও একটা নির্দেশনা ছিল। দীর্ঘ সংস্করণ ধৈর্যের খেলা। তাই যতটা সময় নিয়ে ব্যাটিং করা যায় সেই চেষ্টাই করেছি।’</p> <p>শুধু সেঞ্চুরি করেই থামেননি জ্যোতি, পরে দেড় শ রানও করেছেন তিনি। তাকে আসলে থামাতেই পারেনি কেউ। ১৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ২৫৩ বলের ইনিংসটি সাজান ২০ চার ও ২ ছক্কায়। জ্যোতির দেখানো পথে পরে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি করেছেন ফারজানা হক পিংকি। ১০২ রানে অপরাজিত থেকে দলকে ড্র এনে দিয়েছেন উত্তরাঞ্চলের ব্যাটার।</p>