<p>রাশিয়ায় নির্বাসিত সাবেক সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত স্ত্রী আসমা আল-আসাদ বিবাহবিচ্ছেদের কোনো পরিকল্পনা করছেন না বলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র সোমবার জানিয়েছেন।  </p> <p>তুর্কি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আসমা আল-আসাদ তাদের বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে রাশিয়া ছাড়তে ও লন্ডনে ফিরে যেতে চাইছেন। তবে ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ দাবিকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।</p> <p>মুখপাত্র আরো অস্বীকার করেন, বাশার আল-আসাদ মস্কোতে গৃহবন্দি ও তার সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে।</p> <p>সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে রাশিয়া আসাদ সরকারের প্রধান মিত্র ছিল এবং তাকে সামরিক সহায়তা প্রদান করেছিল। কিন্তু তুর্কি গণমাধ্যমে খবর আসে, আসাদ পরিবার মস্কোতে কড়া বিধি-নিষেধের মধ্যে বসবাস করছে। বিদ্রোহী জোট দামেস্কের দখল নেওয়ার পর বাশার আল-আসাদ ও তার স্ত্রীকে রাশিয়া রাজনৈতিক আশ্রয় প্রদান করেছিল।</p> <p>সেখানে আরো বলা হয়, আসমা আল-আসাদ লন্ডনে ফিরে যাওয়ার জন্য বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন। তবে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, আসমা আল-আসাদ ব্রিটেনে স্বাগত নন। ল্যামি বলেন, ‘তিনি একজন নিষিদ্ধ ব্যক্তি। আমি নিশ্চিত করব, যেন আসাদ পরিবারের কেউই যুক্তরাজ্যে ঠাঁই না পায়।’</p> <p>এদিকে গত সপ্তাহে বাশার আল-আসাদের নামে এক বিবৃতিতে বলা হয়, তিনি কখনো সিরিয়া ছাড়তে চাননি। তবে রাশিয়ার অনুরোধে তাকে একটি রুশ সামরিক ঘাঁটি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।</p> <p>আসমা আল-আসাদ ১৯৭৫ সালে যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন এবং লন্ডনের অ্যাক্টনে বড় হন। ২০০০ সালে সিরিয়ায় ফিরে যান এবং বাশার আল-আসাদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি বিভিন্ন সময় পশ্চিমা গণমাধ্যমে আলোচিত হন। ২০১১ সালে ভগ ম্যাগাজিনে তাকে ‘মরূদ্যানের গোলাপ’ ও ‘সবচেয়ে প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয় ফার্স্ট লেডি’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। পরবর্তীতে অবশ্য প্রবন্ধটি ভোগের ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।</p> <p>এ ছাড়া সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরুর পর আসমার নীরবতা ও সরকারের নৃশংসতার পক্ষে অবস্থান তাকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ফেলে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে এবং তার স্বামীকে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগের মুখোমুখি হতে হয়।</p> <p>২০১৬ সালে রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আসমা জানান, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে নিরাপদে সরে যাওয়ার প্রস্তাব তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং তার স্বামীর পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।</p> <p>আসমা ২০১৮ সালে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং ২০১৯ সালে সুস্থতার ঘোষণা দেন। চলতি বছরের মে মাসে তার লিউকেমিয়া ধরা পড়ে এবং তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন। আসাদের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, তিনি ‘অস্থায়ীভাবে’ জনসমক্ষে উপস্থিত হওয়া বন্ধ রেখেছেন।</p> <p>সূত্র : বিবিসি</p>