<p>দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ (জেসিএস) জানিয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত হয়ে লড়াই করতে গিয়ে এক হাজারের বেশি উত্তর কোরীয় সেনা হতাহত হয়েছে।</p> <p>দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার এক প্রতিবেদনের পর সোমবার এই বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে। গত সপ্তাহে সংসদ সদস্যদের কাছে উপস্থাপিত সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ডিসেম্বর থেকে সংঘাতে অংশ নেওয়ার পর কমপক্ষে ১০০ উত্তর কোরীয় সেনা নিহত হয়েছে।</p> <p>উত্তর কোরিয়া হাজারো সেনা রাশিয়ায় সামরিক বাহিনীকে সহায়তায় পাঠিয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকে সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলে মোতায়েন ছিল। ইউক্রেনীয় বাহিনী এর আগে এ অঞ্চলের কিছু এলাকা দখল করেছিল।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="রাশিয়া যেভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দিদের মৃত্যুদণ্ড বাড়াচ্ছে" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/22/1734861101-22166c445cedd060e68c4c0dcdb545af.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>রাশিয়া যেভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দিদের মৃত্যুদণ্ড বাড়াচ্ছে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/12/22/1460127" target="_blank"> </a></div> </div> <p>জেসিএস জানিয়েছে, ‘বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া তথ্য ও গোয়েন্দা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আমরা ধারণা করছি, সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে উত্তর কোরীয় সেনাদের প্রায় এক হাজার ১০০ জন হতাহত হয়েছে।’</p> <p>সিউল, ওয়াশিংটন ও কিয়েভ জানিয়েছে, বর্তমানে রাশিয়ায় প্রায় ১২ হাজার উত্তর কোরীয় সেনা রয়েছে। জেসিএস আরো উল্লেখ করেছে, পিয়ংইয়ং সেনাদের পরিবর্তন বা অতিরিক্ত মোতায়েনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাশাপাশি পারমাণবিক অস্ত্রধারী উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে সহায়তা করতে আত্মঘাতী ড্রোন উৎপাদন ও সরবরাহ করছে বলেও গোয়েন্দা তথ্য থেকে জানা গেছে।</p> <p>উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে রাশিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র ও কামানের গোলা সরবরাহের অভিযোগও রয়েছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে পিয়ংইয়ং ও মস্কোর সামরিক সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হয়েছে। জুন মাসে দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া প্রতিরক্ষা চুক্তি এ মাসে কার্যকর করা হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="পিয়ংইয়ংকে মোকাবেলায় নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াবে সিউল-কিয়েভ" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/27/1732711269-22166c445cedd060e68c4c0dcdb545af.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>পিয়ংইয়ংকে মোকাবেলায় নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াবে সিউল-কিয়েভ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/11/27/1451280" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন উন্নত প্রযুক্তি অর্জন ও তার সেনাদের যুদ্ধের অভিজ্ঞতা দিতে আগ্রহী।</p> <p>এদিকে পিয়ংইয়ং বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের একটি যৌথ বিবৃতির সমালোচনা করেছে। সেই বিবৃতিতে রাশিয়াকে উত্তর কোরিয়ার সহায়তার নিন্দা করা হয়েছিল, যার মধ্যে সেনা মোতায়েনের বিষয়টিও ছিল।</p> <p>গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়া ও ইউক্রেন ঘোষণা করেছে, তারা উত্তর কোরীয় সেনাদের মোতায়েন থেকে সৃষ্ট হুমকির প্রতিক্রিয়ায় নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াবে। তবে সিউল থেকে কিয়েভে অস্ত্র পাঠানোর কোনো সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করা হয়নি।  </p> <p>দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল গত নভেম্বরের শুরুর দিকে বলেছেন, সিউল ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহের সম্ভাবনা ‘সম্পূর্ণভাবে বাতিল করছে না’। এটি হলে যুদ্ধরত দেশগুলোতে অস্ত্র বিক্রি না করার দীর্ঘদিনের নীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হবে।</p> <p>সূত্র : আলজাজিরা</p>