<p>জর্দানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি সোমবার দামেস্কে সিরিয়ার নতুন নেতা আহমেদ আল-শারার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সিরিয়ায় স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের ক্ষমতাচ্যুতির পর দেশটির নতুন সরকারের সঙ্গে জর্দানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটিই প্রথম বৈঠক।</p> <p>আম্মান থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, জর্দানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত ছবিগুলোতে সাফাদি ও শারাকে হাত মেলাতে দেখা গেছে। </p> <p>এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, সাফাদি সিরিয়ার নতুন নেতার পাশাপাশি ‘বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার’ সঙ্গেও দেখা করবেন। আসাদের পতনের পর এটি ছিল জর্দানের কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার প্রথম সফর।</p> <p>সিরিয়ার সীমান্তবর্তী জর্দান চলতি মাসের শুরুতে একটি শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনে আরব, তুর্কি, ইইউ ও মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিকরা বছরের পর বছর গৃহযুদ্ধে জর্জরিত দেশটিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দামেস্কে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিরিয়ার নতুন নেতার সাক্ষাৎ" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/22/1734879881-22166c445cedd060e68c4c0dcdb545af.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দামেস্কে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিরিয়ার নতুন নেতার সাক্ষাৎ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/12/22/1460201" target="_blank"> </a></div> </div> <p>ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) নেতা আল-শারা ৮ ডিসেম্বর আসাদকে পতনের হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মধ্যপ্রাচ্য ও এর বাইরের অনেক দেশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে তিনি স্বাগত জানান।</p> <p>জর্দান সরকারের মুখপাত্র মোহাম্মদ মোমানি রবিবার সাংবাদিকদের বলেন, আম্মান ‘ভ্রাতৃপ্রতিম সিরীয় জনগণের ইচ্ছার পক্ষে’ দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ওপর জোর দিয়েছে। আম্মান সিরিয়ায় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করতে চায় এবং ‘তার আঞ্চলিক অখণ্ডতা’ সমর্থন করে।</p> <p>তিনি আরো বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার স্থিতিশীলতায় জর্দানের স্বার্থ রয়েছে এবং ‘এটি তার সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে’।</p> <p>জর্দান কর্তৃপক্ষের মতে, যুদ্ধ শুরুর পর ২০১১ সাল থেকে পালিয়ে জর্দানে আশ্রয় নেওয়া কিছু সিরীয় দেশে ফিরতে শুরু করেছে।</p>