<p>ইসরায়েলি অবস্থানগুলোতে রবিবার একটি বড় আকারের রকেট ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। গোষ্ঠীটির একজন শীর্ষ কমান্ডারের হত্যার ‘প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া’ হিসেবে এ হামলা চালানো হয়েছে।</p> <p>হিজবুল্লাহর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এখন পর্যন্ত উৎক্ষেপণ করা কাতিউশা রকেটের সংখ্যা ৩২০টিরও বেশি...শত্রু অবস্থানের দিকে।’ তারা সংযুক্ত গোলান হাইটসসহ ১১টি ইসরায়েলি ঘাঁটি ও ব্যারাককে লক্ষ্যবস্তু করেছে বলে জানিয়েছে।</p> <p>৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর ইসরায়েলে হামলার পর থেকে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ তাদের মিত্র হামাসের সমর্থনে ইসরায়েলের সঙ্গে নিয়মিত সংঘর্ষে জড়াচ্ছে। কিন্তু ইরান ও হিজবুল্লাহ গত মাসে তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর এবং ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ফুয়াদ শোকর বৈরুতে নিহত হওয়ার পর পূর্ণ সংঘাতের আশঙ্কা বেড়ে যায়।</p> <p>হিজবুল্লাহ বলেছে, শোকরের হত্যার ‘প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া’ হিসেবে তাদের এ হামলা চালানো হয়েছে। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো নিশ্চিতকরণ পাওয়া যায়নি।</p> <p>অন্যদিকে লেবাননের সরকারি ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের অনেক জায়গায় ইসরায়েলি হামলা হয়েছে। বৈরুতের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্বাভাবিকভাবে কাজ করছিল।</p> <p>অক্টোবরের পর থেকে আন্তঃসীমান্ত সহিংসতায় লেবাননে ৬০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই হিজবুল্লাহ যোদ্ধা। কিন্তু অন্তত ১৩১ জন বেসামরিক নাগরিক এ পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত। পাশাপাশি ইসরায়েলের অন্তত ২৩ সেনা ও ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>