<p>মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি) ‘দাতুক’ খেতাবধারী একজন বাংলাদেশি কম্পানির পরিচালককে গ্রেপ্তার করেছে। তার কাল্পনিক প্রকল্পের জন্য বিদেশি শ্রমিক কোটার আবেদনসংক্রান্ত ভুয়া তথ্য জমা দেওয়ার সন্দেহে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১১ লাখ রিঙ্গিত মূল্যের ওই কোটায় মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের প্রয়োজন ছিল।</p> <p>সেলাঙ্গর রাজ্যের এমএসিসির একটি সূত্র অনুযায়ী, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির বয়স ৪০ বছরের কাছাকাছি। তিনি স্থানীয় সময় সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে সেলাঙ্গর এমএসিসি অফিসে তার বিবৃতি দেওয়ার জন্য উপস্থিত হওয়ার পর গ্রেপ্তার হন। তিনি ৬০০ জন শ্রমিকের জন্য দুটি কোটার আবেদন করেছিলেন। প্রতিটি আবেদনে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে শুল্ক পরিশোধের তথ্যও ছিল।</p> <p>সূত্র বলেছে, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তি ২০২৩ সালে এই অপরাধটি করেছেন। সেই সময় তিনি কম্পানির পক্ষ থেকে ৬০০ বিদেশি শ্রমিকের জন্য দুটি কোটার আবেদন জমা দেন। কিন্তু যে প্রকল্পের জন্য শ্রমিক সরবরাহের আবেদন করা হয়েছিল, বাস্তবে তার অস্তিত্বই ছিল না।’</p> <p>গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত ছয় দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে সূত্রটি মঙ্গলবার বলেছে, ‘দুটি আবেদনের মধ্যে সাড়ে ছয় লাখ রিঙ্গিত ও চার লাখ ৬০ হাজার রিঙ্গিত শুল্ক পরিশোধের তথ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল।’</p> <p>সেলাঙ্গর এমএসিসির পরিচালক দাতুক ইলিয়াস সেলিম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, মামলাটি ২০০৯ সালের এমএসিসি আইনের ১৮ ধারা অনুযায়ী তদন্ত করা হচ্ছে।</p> <p>উল্লেখ্য, ‘দাতুক’ মালয়েশিয়ায় একটি সম্মানসূচক উপাধি, যা গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য প্রদান করা হয়।</p> <p>সূত্র : বারনামা, মালয় মেইল, ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে</p>