<p>গত তিন দিনে রাশিয়ায় ব্যাংক, শপিং সেন্টার, ডাকঘর ও সরকারি ভবন লক্ষ্য করে একাধিক অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে।</p> <p>সরকারি সংবাদ সংস্থা তাস ও স্বতন্ত্র গণমাধ্যম ফন্টাংকা জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ, মস্কো ও আশপাশের এলাকায় এসব হামলার প্রায় ২০টি পৃথক ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে কিছু ঘটনায় ছোট বোমা ব্যবহার করা হয়েছে বা ভবনে আতশবাজি ছোড়া হয়েছে।</p> <p>একটি আইন প্রয়োগকারী সূত্রের বরাত দিয়ে তাস জানিয়েছে, অনলাইন প্রতারকরা মানুষদের অর্থের লোভ দেখিয়ে এসব হামলায় যুক্ত করেছে।</p> <p>সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, কয়েকজন সন্দেহভাজন তাদের মোবাইল ফোন দিয়ে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা ধারণ করছে। একটি হামলার পরের ছবিতে দেখা যায়, একটি এটিএম ধ্বংস হয়েছে এবং কাছাকাছি জানালাগুলো উড়ে গেছে। আরেকটি ছবিতে একটি সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়া পুলিশের গাড়ি দেখা যায়।</p> <p>রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের এটিএম, শপিং সেন্টার, ডাকঘর, সামরিক তালিকাভুক্তি কার্যালয়, পুলিশের গাড়ি ও অন্যান্য প্রশাসনিক ভবন এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। রাষ্ট্রীয় ঋণদাতা সোবারব্যাংক জানিয়েছে, গত সপ্তাহে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের প্রেস সার্ভিসের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রিয়া নভোস্তি এ তথ্য জানিয়েছে।</p> <p>তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার জন্য আটক হওয়াদের বেশির ভাগই প্রবীণ। তাদের এসব কাজে ইউক্রেনের স্ক্যামাররা যুক্ত করেছে বলে সোবারব্যাংক জানিয়েছে। হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কয়েকজনকে রুশ আদালত দীর্ঘ কারাদণ্ড দিয়েছেন।</p> <p><iframe frameborder="0" height="540" sandbox="allow-scripts allow-same-origin" scrolling="yes" src="https://twitframe.com/show?url=https://twitter.com/StratcomCentre/status/1870524323141943798" width="530"></iframe></p> <p>মস্কোর নিরাপত্তা সংস্থা এফএসবি এর আগেই রুশদের সতর্ক করে জানিয়েছিল, ইউক্রেনীয় প্রতারকরা নিরাপত্তা এজেন্ট পরিচয় দিয়ে প্রবীণদের ফোন করে অর্থের বিনিময়ে অগ্নিসংযোগ করতে বলছে বা ব্লক হওয়া অ্যাকাউন্ট ফের চালু করার প্রলোভন দেখাচ্ছে।</p> <p>এদিকে এসব হামলার এবং এগুলো ইউক্রেন থেকে পরিচালিত হচ্ছে বলে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে কিয়েভ কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়ায় একাধিক সামরিক তালিকাভুক্তি কার্যালয়ে হোমমেড মলোটভ ককটেল ব্যবহার করে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।</p> <p>২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিতর্কিত সেনা নিয়োগ প্রচারণার পর এই তালিকাভুক্তি কার্যালয়গুলো আরো বেশি হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়। ওই নিয়োগে তিন লাখেরও বেশি রুশকে জোরপূর্বক যুদ্ধে পাঠানো হয়েছিল।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>