<p>যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল নিয়ে নতুন শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু স্থানের দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও এখনো আগুন জ্বলছে ছয়টি স্থানে। আগুন নিয়ন্ত্রণে বৃষ্টির অভাব আর ঝড়ো বাতাসই মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। </p> <p>এই দাবানল ছড়িয়ে পড়ার পেছনে বড় কারণ সান্তা আনা নামের ঝোড়ো বাতাস। সম্প্রতি বাতাসের গতি কিছুটা কমায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আশার আলো দেখা গিয়েছিল। তবে গতি আবার বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে দাবানল আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।</p> <p>যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস পূর্বাভাস দিয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেস ও ভেঞ্চুরা কাউন্টিতে স্থানীয় সময় শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত বাতাসের গতি বাড়তে পারে। একই আশঙ্কা রয়েছে সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্তও। ঘণ্টায় ৩০ মাইল গতিতে বয়ে যাওয়া বাতাস এ সময় ৭০ মাইলে পৌঁছাতে পারে।</p> <p>সিএনএনের প্রতিবেদন অনুসারে, দাবানলে এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১২ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ও স্থাপনা। তবে অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা দাবানল নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছেন, পরের সপ্তাহের শুরুতে তীব্র বাতাস হতে পারে ও এতে তাদের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।</p> <p>নতুন করে আরও ১ হাজার একর এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় এক লাখেরও বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে নিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির আশপাশে দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। লস অ্যাঞ্জেলেসের ইতিহাসে এ ধরনের ভয়াবহ দাবানল আগে আর ঘটেনি।</p> <p>আগ্রাসী আগুনে জ্বলে-পুড়ে ছারখার হাজার হাজার ঘরবাড়ি ও বিষয়-সম্পত্তি। আগুনে সব নিঃশেষ হয়ে যেতে দেখাই শুধু নয়, লেলিহান শিখা থেকে বাঁচতে যানজট, প্রকট ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে আসাসহ নানা কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে সেখানকার বাসিন্দাদের।</p> <p>দাবানলের শুরুর দিকে বাতাসের গতি ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠছিল। শুক্রবার তা অনেকটা কমে আসে। ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের আবহাওয়াবিদ রোজ শোনফেল্ড বলেন, বুধবার পর্যন্ত আবহাওয়া পরিস্থিতি খারাপ থাকবে। বৃহস্পতিবার থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে।</p>