পাম তেল এক ধরনের ভোজ্য উদ্ভিজ্জ তেল, যা পাম ফলের মধ্যবর্তী অংশ থেকে পাওয়া যায়। উচ্চ বিটা-ক্যারোটিনের কারণে স্বাভাবিকভাবেই পাম তেল লালচে রঙের হয়। আবার একই ফলের শাঁস থেকে পাওয়া যায় পাম কারনেল অয়েল। আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ব্রাজিল অঞ্চলে পাম তেল রান্নায় ব্যবহৃত খুব সাধারণ একটি উপাদান।
পাম অয়েল কিং এখন স্বস্তিতে
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, পাম তেল শরীরের পক্ষে খুব একটা স্বাস্থ্যকর নয়। এই তেলের হাই স্যাচুরেটেড ফ্যাট এলডিএল কোলেস্টেরল লেভেল কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। এতে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ বা হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ে। এর পাশাপাশি তাপমাত্রা বাড়লে পাম তেলে নানা রকমের যৌগ তৈরি হয়।
২০২২ সালে বিশ্বে পাম অয়েলের ব্যবসা হয়েছে ছয় হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলারের। ২০৩০ সালের মধ্যে পাম অয়েল বিক্রির টার্গেট ধরা হয়েছে ১০০ বিলিয়ন (১০ হাজার কোটি) মার্কিন ডলার। ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় বাজারকে টার্গেট করে মালয়েশিয়ায় জন্মগ্রহণকারী এই ধনকুবের তাঁর ব্যবসা শুরু করেন। তাঁর ব্যাবসায়িক পার্টনার ছিলেন ইন্দোনেশিয়ান। তাঁরা দুজন মিলে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় পামবাগানের পাশাপাশি পাম রিফাইনারি কারখানা গড়ে তোলেন। কিউকের যোগ্য নেতৃত্বে উইলমার কম্পানি চীন, ভারত ও অফ্রিকায় সফলভাবে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেন।
পাম অয়েল শুধু রান্নায় ব্যবহৃত হয় না। এটা বিভিন্ন খাদ্যপণ্য, কসমেটিকস, বায়োফুয়েলসহ বিভিন্ন শিল্প খাতে ব্যবহৃত হয়। পাম অয়েল দুই প্রকার। পাম ফল থেকে তৈরি পাম অয়েলের নাম ক্রুড পাম অয়েল (সিপিও) এবং পাম ফল ও পামবীজ থেকে তৈরি তেল পাম কারনেল অয়েল (পিকেও) নামে পরিচিত। বর্তমানে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় সবচেয়ে বেশি পাম অয়েল উৎপন্ন হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, হঠাৎ করেই পাম অয়েল শিল্প বিশ্বের সব প্রান্ত থেকে তুলে দিলে বিশ্ব পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়ে যেতে পারে। কারণ সয়াবিন অথবা সূর্যমুখী তেল তৈরি করতে হলে পাম অয়েল বাগানের চেয়ে অনেক পরিমাণ জমি লাগে। আইইউসিএনহুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, যদি পাম অয়েল শিল্পকে নিষিদ্ধ করা হয়, তাহলে তেলের চাহিদা মেটাতে অধিক হারে শুধু বনভূমিই ধ্বংস হবে না; অনেক পষলও ধ্বংস হবে। সূত্র : গালফ নিউজ।
সম্পর্কিত খবর

তুরস্কে ব্যাপক বিক্ষোভ ৩৪৩ জন আটক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

তুরস্কে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইস্তাম্বুলের মেয়র ইকরাম ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। টানা তৃতীয় দিনের মতো স্থানীয় সময় গত শুক্রবার গভীর রাতে তুরস্কজুড়ে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। দেশটির তিনটি বড় শহর ইস্তাম্বুল, রাজধানী আংকারা এবং পশ্চিম উপকূলীয় শহর ইজমিরে দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে জনতার সংঘর্ষ হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও জলকামান ব্যবহার করা হয়।

জাপান, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার বৈঠক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার মধ্যে পূর্ব এশিয়ার নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে অভিন্ন ভিত্তি স্থাপনে জাপান, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ কূটনীতিকরা বৈঠক করেছেন। গতকাল জাপানের রাজধানী টোকিওতে এই বৈঠক হয়। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো তাই-ইউলের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকেশি ইওয়ায়া বলেন, বৈঠকে তিন কূটনীতিক জাপানে একটি ত্রিপক্ষীয় শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতি ত্বরান্বিত করতে সম্মত হয়েছেন। টোকিও, বেইজিং ও সিউল কিভাবে ক্রমহ্রাসমান জন্মহার এবং বয়স্ক জনসংখ্যা মোকাবেলা করতে পারে সে বিষয়ে ওই সম্মেলনে আলোচনা হবে।

বাইডেনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, হিলারি ক্লিনটনসহ বেশ কয়েকজন সাবেক কর্মকর্তার নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প তাঁর পূর্বসূরি জো বাইডেনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিলের কথা বলার পর এই পদক্ষেপ নিলেন। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের নিরাপত্তা ছাড়পত্রও বাতিল করা হচ্ছে। ট্রাম্পের স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের জন্য গোপন তথ্যে প্রবেশাধিকার আর জাতীয় স্বার্থে নেই।

সংক্ষিপ্ত
সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে সুদানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

সুদানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ পুনরুদ্ধারের পর এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। গতকাল শনিবার সেনাবাহিনী জানায়, গত রাতে তারা রাজধানী খার্তুমে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এটি আরএসএফের দুই বছর ধরে চলমান সংঘাতে সেনাবাহিনীর একটি বড় সাফল্য। ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে তুমুল লড়াই ছড়িয়ে পড়ে।