<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আজ শুভ বড়দিন। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এই উৎসবটি সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও আজ সাড়ম্বরে উদযাপিত হচ্ছে। বড়দিন শুধু একটি উৎসবই নয়, সৌহার্দ্যের উদাহরণ সৃষ্টি করার দিন। শুধু শহরেই নয়, বাংলাদেশে বড়দিনের উৎসব খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত গ্রামগঞ্জেও খুবই আবেগঘন ও আনন্দময় পরিবেশে উদযাপিত হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুই হাজার বছরেরও বেশি সময় আগে এই দিনে খ্রিস্ট ধর্মের প্রবর্তক মহামানব যিশু জেরুজালেমের কাছে বেথেলহেমের এক গোয়ালঘরে জন্ম নিয়েছিলেন। হিংসা-বিদ্বেষ, অন্যায়-অত্যাচার ও পাপাচারে নিমজ্জিত মানুষকে সুপথে আনার জন্যই যিশু আবির্ভূত হয়েছিলেন। যিশুর জন্মদিন তাই শুধু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জন্য নয়, সারা মানবজাতির জন্যই একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। যিশুখ্রিস্ট সারা জীবন আর্তমানবতার সেবা, ত্যাগ ও শান্তির আদর্শ প্রচার করে গেছেন। হিংসা-দ্বেষ ভুলে তিনি সবাইকে শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। খ্রিস্টীয় মতে, যিশু ঈশ্বরের পুত্র এবং জগতের সব মানুষের ত্রাণকর্তা। যিশু মুক্তিকামী মানুষের ত্রাতা হয়ে, আলোর দিশারি হয়ে এই পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন মানুষের পরিত্রাণের জন্য। যিশুখ্রিস্টের সত্যনিষ্ঠ মানবতার বাণী মানুষকে বেঁচে থাকার প্রেরণা জুগিয়েছিল।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মানবজাতিকে পাপ-পঙ্কিলতা থেকে তিনি ফেরাতে চেয়েছিলেন মমতা, ভালোবাসা ও ক্ষমাশীলতার পথে। মানবসেবার অন্যতম আদর্শ তিনি। যিশুর পথ ছিল সংযম, সহিষ্ণুতা ও ভালোবাসার। অথচ একবিংশ শতকে এসেও দেশে দেশে সাম্প্রদায়িক সংঘাত দেখা যায়। মানুষ নিষ্ঠুরতার শিকার হয়। মানুষের নৈতিক দৈন্যের কারণে সারা বিশ্বে আজ হিংসা, হানাহানি ও অশান্তি বেড়েই চলেছে। বড়দিনের বাণী এই দৈন্য ও সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে ওঠার জন্য। যিশু আমাদের বিশ্বভ্রাতৃত্বের শিক্ষা দেন। এই বিশ্বভ্রাতৃত্ববোধ আমাদের সব ধরনের হিংসা-বিদ্বেষ, জুলুম-নির্যাতন, সংঘাত, হানাহানি পরিহার করে শান্তি, সম্প্রীতি ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে পরস্পর মিলেমিশে বাস করার অনুপ্রেরণা জোগায়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিটি ধর্মেরই মূল বাণী হলো মানবতাবোধ। বড়দিন উপলক্ষে যে প্রেম ও আশার বাণী প্রচার করা হয়, তারও মূলে রয়েছে মানবতা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বড়দিন শুধু একটি উৎসবই নয়, সৌহার্দ্যের উদাহরণ সৃষ্টি করার দিন। বড়দিন প্রত্যেক মানুষকে শান্তি, প্রেম ও সম্প্রীতির শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করুক</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এটাই সবার কাম্য। পৃথিবী থেকে বিদায় নিক হিংসা, সাম্প্রদায়িকতা ও বর্ণবাদের মতো নিকৃষ্ট সব চিন্তাধারা। আজ এ পবিত্র উৎসবের দিনে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রতি রইল আমাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। উৎসব সবার জন্য আনন্দময় হয়ে উঠুক। ভালোবাসার বিস্তার ঘটাক সবার মনে। শান্তি ও সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় হোক। শুভ বড়দিন। </span></span></span></span></p>