<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জার্মানিতে প্রায় ৭৩ শতাংশ জনসংখ্যা কারিগরিভাবে দক্ষ, জাপানে সেই সংখ্যা ৬৬, সিঙ্গাপুরে ৬৫, চীনে ৫৫, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৫০। আমাদের দেশে স্বল্পদক্ষ ও দক্ষ জনশক্তি অনেক সময় প্রায় ৪০ শতাংশ বলা হলেও সর্বাসাকুল্যে তা ১৪ শতাংশর বেশি হবে না। অথচ বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে বেকারত্ব একটি বড় সমস্যা। সঠিক দক্ষতার অভাবে বেশির ভাগ শিক্ষিত যুবক চাকরির বাজারে টিকে থাকতে পারছে না। কারিগরি প্রশিক্ষণ এই সমস্যার সমাধানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এই ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারিগরি প্রশিক্ষণ বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করে, যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তথ্য-প্রযুক্তি, যেখানে থাকে প্রগ্রামিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন। ইলেকট্রনিকস বিভাগে থাকে মোবাইল সার্ভিসিং, হোম অ্যাপ্লায়েন্স মেরামত। মেকানিক্যাল কাজের মধ্যে আছে গাড়ি মেরামত, মেশিন অপারেশন।  আধুনিক কৃষি পদ্ধতি, খাদ্য সংরক্ষণ কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের অংশ। এই প্রশিক্ষণ শুধু চাকরির সুযোগ বাড়ায় না, বরং উদ্যোক্তা হতে সাহায্য করে। ফলে ব্যক্তি নিজে যেমন স্বনির্ভর হয়, তেমনি কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সয়েল টেস্ট ফার্ম, কনস্ট্রাকশন, হাইভোল্টেজ ক্যাবল লাইন, পাওয়ার জেনারেশন প্লান্ট, হাউস ওয়্যারিং, শিল্প-কলকারখানা, বিভিন্ন স্ট্রাকচার ডিজাইন ফার্ম, ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন, ডাটা এন্ট্রি, মেডিক্যাল ট্রান্সক্রিপশন, টেক্সটাইল মিল, কারখানা ইত্যাদি সব জায়গাতে কারিগরি কাজ জানা লোকের ব্যাপক চাহিদা। এই চাহিদার কথা মাথায় রেখে দেশে কারিগরি শিক্ষায় আগ্রহ বাড়াতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেইনিং (</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">TVET</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">) এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">NSDA</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">)। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে যুবসমাজ পরিচিত হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তি ও দক্ষতার সঙ্গে। এ ছাড়াও জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেশে ১১০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিদেশে দক্ষ কর্মীর চাহিদা অনেক বেশি। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক কর্মী বিদেশে যায়, তবে তাদের অনেকেই অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের কারণে কাঙ্ক্ষিত বেতন পায় না। অথচ সঠিক প্রশিক্ষণ পেলে তারাও উচ্চ বেতন নিশ্চিত করতে পারত। কারিগরি প্রশিক্ষণ নারীর ক্ষমতায়নেও ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। নারীরা সেলাই, হস্তশিল্প এবং আইটিভিত্তিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ঘরে বসেই আয় করতে পারে। বাংলাদেশে কারিগরি প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও বিদ্যমান। তবে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, সঙ্গে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম করতে হবে আধুনিক ও বাজারমুখী। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:right"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আল</span></span><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> সানি</span></span></strong></span></span></span></p>