<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশে খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহের মধ্যে তারতম্য থাকার পাশাপাশি বাজারে সিন্ডিকেট ও অব্যবস্থাপনার কারণে বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। লাগামহীনভাবে বেড়ে চলা এ মূল্যস্ফীতিতে শহরের মানুষের নাভিশ্বাস। সরকারি প্রতিষ্ঠানের তথ্যে উঠে এসেছে, শহরের পরিবারের খাদ্য ব্যয় ক্রমাগত বাড়ছে। গত এক যুগের ব্যবধানে শহরের একটি পরিবারের খাদ্য ব্যয় দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আজ বুধবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২৪। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উন্নত জীবন ও উন্নত ভবিষ্যতের জন্য খাদ্যের অধিকার</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিবছর ১৬ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী পালিত হয় বিশ্ব খাদ্য দিবস। ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) প্রতিষ্ঠার স্মরণে এই দিনটি পালিত হয়। খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থা, যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল এই দিনটি ব্যাপকভাবে উদযাপন করে। ২০২০ সালে খাদ্যসংকট মোকাবেলা, সংঘাতপূর্ণ এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা এবং যুদ্ধ ও সংঘাতের অস্ত্র হিসেবে খাদ্যের ব্যবহার বন্ধ করতে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করার জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হচ্ছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) গত বছরে প্রকাশিত প্রিলিমিনারি রিপোর্ট অন হাউসহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভের (এইচআইইএস) সর্বশেষ জরিপ মতে, দেশের মানুষের মোট ব্যায়ের প্রায় ৪৬ শতাংশই ব্যয় হচ্ছে খাদ্য কেনায়। গড়ে একটি পরিবারের মাসে খাদ্যে ব্যয় হয় ১৪ হাজার তিন টাকা। সেখানে গ্রামের একটি পরিবারের ব্যয় ১৩ হাজার ১২৫ টাকা। আর শহরের পরিবারের খাদ্য ব্যয় ১৫ হাজার ৮৭৫ টাকা। শহরের পরিবারের খাদ্য ব্যয় গত এক যুগের ব্যবধানে দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। ২০১০ সালে শহরের একটি পরিবারের খাদ্য ব্যয় ছিল সাত হাজার ৩৬২ টাকা, যা ২০১৬ সালে আট হাজার ২৫৪ টাকায় উন্নীত হয়। ফলে এই সময়ে শহরের পরিবারের খাদ্য ব্যয় বেড়েছে ১১৫ শতাংশ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খাদ্যাভ্যাস ও উচ্চ রক্তচাপ ঝুঁকি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শীর্ষক এক ওয়েবিনারে জানানো হয়েছে, দেশে খাদ্যে বিভিন্ন প্রিজারভেটিভ (সংরক্ষক) ব্যবহার করা হয়। এসব প্রিজারভেটিভ ব্যবহারের ফলে উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, বিশেষ করে মাত্রাতিরিক্ত ট্রান্সফ্যাট ও লবণ গ্রহণের কারণে দেশের মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপজনিত বিভিন্ন অসংক্রামক রোগে মৃত্যু বাড়ছে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপের মতো বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমানো সম্ভব। গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এ সেমিনারের আয়োজন করে। সহযোগিতায় ছিল গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই)। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নাজমা শাহীন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রক্রিয়াজাত খাবারে অতিরিক্ত লবণ ও ট্রান্সফ্যাট থাকে, যা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এসব খাদ্য গ্রহণে সচেতনতা তৈরির মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ডা. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তৃণমূল পর্যায়ে প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম বাড়াতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ ও অন্যান্য অসংক্রামক রোগ মোকাবেলায় প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>