<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আরো ব্যয়বহুল হলো মোবাইল ফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহার। বর্তমানে মোবাইল ফোন সেবায় সম্পূরক শুল্ক দিতে হয় ২০ শতাংশ। এটি বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ। আগের সরকারের আমলে আরোপ করা করের সঙ্গে এ বাড়তি কর যোগ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত বৃহস্পতিবার এসংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহারে প্রতি ১০০ টাকায় গ্রাহককে কর দিতে হবে ৫৬.৩ টাকা। যার মধ্যে সম্পূরক শুল্ক, ভ্যাট ও সারচার্জ ২৯.৮ টাকা। রেভিনিউ শেয়ার ও মিনিমাম ট্যাক্স কাটবে ৬.১ টাকা, পরোক্ষ কর কাটবে ২০.৪ টাকা। ফলে গ্রাহক ১০০ টাকায় ব্যবহার করতে পারবেন মাত্র ৪৩.৭০ টাকা।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এর আগে বিগত সরকারের শাসনামলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল ফোন সেবায় সম্পূরক শুল্ক ১৫% থেকে বাড়িয়ে ২০% করা হয়েছিল। সে অনুযায়ী, বর্তমানে মোবাইল ফোনে ১০০ টাকার রিচার্জ করলে সম্পূরক শুল্ক, ভ্যাট ও সারচার্জ দিতে হয় ২৮.১ টাকা। রেভিনিউ শেয়ার ও মিনিমাম ট্যাক্স দিতে হয় ৬.১ টাকা, পরোক্ষ কর দিতে হয় ২০.৪ টাকা।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ প্রসঙ্গে গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (সিসিএও) তানভীর মোহাম্মদ বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মোবাইল ফোন ব্যবহারের ওপর হঠাৎ আরো ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করায় আমরা বিস্মিত। এমন পরিস্থিতিতে এটি বাড়ানো হলো যখন ধকল কাটিয়ে উঠছে অর্থনীতি, দেশে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে, দৈনন্দিন ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এই নিয়ে গত সাত মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হলো। ২০২৪ সালের জুনে ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। এখন আবারও ৩ শতাংশ বাড়ানো হলো। সে ক্ষেত্রে মাত্র সাত মাসের মাথায় গ্রাহকদের ওপর পরোক্ষ করের বোঝা বাড়ল ৯.২ শতাংশ।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তিনি বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এখন থেকে গ্রাহকরা প্রতি ১০০ টাকার সেবা নিলে ১৪২.৪৫ টাকা (ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক ও সারচার্জসহ) দিতে হবে। গত বাজেটের আগে যা ছিল ১৩৩.২৫ টাকা। ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির জন্য সংকল্পবদ্ধ টেলিযোগাযোগশিল্প। কিন্তু এমন পদক্ষেপ এই অগ্রগতি ব্যাহত করবে এবং ডিজিটাল বৈষম্য বাড়াবে। গ্রাহকদের স্বার্থে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল সমাজ গঠনের বৃহত্তর লক্ষ্যে আমরা সরকারের কাছে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছি।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এদিকে মোবাইল ফোন সেবায় দফায় দফায় খরচ বাড়ায় ইন্টারনেট গ্রাহক কমছে। তা ছাড়া অনেকে ডাটা ব্যবহারের খরচে কাটছাঁট করছেন। এতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার বদলে পিছিয়ে যাচ্ছে দেশের মানুষ।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, গত নভেম্বর মাসে মোবাইল ফোনের গ্রাহক ছিল ১৮ কোটি ৮৭ লাখ, যা গত জুনের চেয়ে ৭৩ লাখ কম। অন্যদিকে জুনের চেয়ে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯৭ লাখ কমে ১৩ কোটি ২৮ লাখে নেমেছে।</span></span></span></span></span></p>