<p>আয়াতের অর্থ : ‘শপথ আল্লাহর, তোমরা চলে গেলে আমি তোমাদের মূর্তিগুলো সম্পর্কে অবশ্যই কৌশল অবলম্বন করব। অতঃপর সে চূর্ণবিচূর্ণ করে দিল মূর্তিগুলোকে, তাদের প্রধানটি ছাড়া; যাতে তারা তার দিকে ফিরে আসে।...তারা বলল, হে ইবরাহিম! তুমিই কি আমাদের উপাস্যগুলোর প্রতি এরূপ করেছ? সে বলল, বরং তাদের এই প্রধান, সেই তো এটা করেছে, তাদেরকে জিজ্ঞাসা করো যদি তারা কথা বলতে পারে।’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ৫৭-৬৩)</p> <p>আয়াতগুলোতে দ্বিন প্রচারে ইবরাহিম (আ.)-এর প্রজ্ঞার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।</p> <p><strong>শিক্ষা ও বিধান</strong></p> <p>১. মুজাহিদ (রহ.) বলেন, মূর্তির দুর্গতি ঘটানোর কথা ইবরাহিম (আ.) মনে মনে বলেছিলেন। কাউকে শুনিয়ে বলেননি।</p> <p>২. দুর্বলতার সময় মুমিন কৌশলী হবে। যেমন ইবরাহিম (আ.) মূর্তি ভাঙার সময় করেছিলেন। কেননা তখন সমাজবিশ্বাসী লোক ছিল না।</p> <p>৩. ইবরাহিম (আ.) মূর্তি ভেঙেছিলেন, যেন সমাজের মানুষ মূর্তির অসারতা বুঝতে পারে, ভুলে ভেঙে তারা ঈমানের পথে আসে।</p> <p>৪. ‘প্রধান মূর্তি এই কাজ করেছে’ বাক্য দ্বারা ইবরাহিম (আ.)-এর উদ্দেশ্য ছিল ধরে নাও বড়টাই করেছে। এটা মিথ্যার মধ্যে পড়ে না।</p> <p>৫. বড়টার হাতে কুঠার দিয়ে বোঝানো হয়েছে, পৃথিবীতে সামান্য ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা অন্যকে সহ্য করতে পারে না। তাহলে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী আল্লাহ কিভাবে শরিক সহ্য করবেন? (মাআরেফুল কোরআন : ৬/১৯১)</p> <p> </p>