<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের কারণে প্রায় তিন মাস বন্ধ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সৃষ্টি হয় সেশনজট। এ কারণে একই শিক্ষাবর্ষের (২০১৯-২০) হয়েও আসন্ন ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না অনেক শিক্ষার্থী। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত ২৮ নভেম্বর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১০ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) থেকে ৪৭তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন শুরু হচ্ছে। আর আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যে শিক্ষার্থীদের স্নাতক (অনার্স) চূড়ান্ত পরীক্ষার লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে তারা বৈধ প্রার্থী হিসেবে আবেদন করে এবারের বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কিন্তু জুলাই-আগস্ট গণ-আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সৃষ্ট সেশনজটে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের হয়েও অনেক বিভাগ/ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা এই বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছেন না। এ নিয়ে অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিক্ষার্থীরা বলছেন, জুলাই-আগস্ট গণ-আন্দোলনের কারণে সৃষ্ট সেশনজটের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পিএসসি যদি এবারের বিসিএসের আবেদনের সময়সীমা এক থেকে দুই মাস বাড়ায় কিংবা আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে যাদের স্নাতক চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ হবে তাদেরও বৈধ প্রার্থী হিসেবে আবেদনের সুযোগ দেয়, তবে শিক্ষার্থীদের এই হতাশা দূর হতো।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একই শিক্ষাবর্ষের (২০১৯-২০) হয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছেন না। সেগুলো হলো ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগ, সমাজবিজ্ঞান, গণিত, নৃবিজ্ঞান, সমুদ্রবিজ্ঞান, উদ্ভিদবিজ্ঞান, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, যোগাযোগ বৈকল্য, মৎস্যবিজ্ঞান, পপুলেশন সায়েন্সেস, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা এবং পরিসংখ্যান বিভাগ। এর মধ্যে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগসহ কয়েকটি বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর দ্রুত ক্লাস পরীক্ষা শেষ করার আবেদনও করা হয়েছে। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোরও প্রায় একই অবস্থা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাবির গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মহির ইসলাম জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থী বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে চান তারা তৃতীয় বর্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে। চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত এই শিক্ষার্থীদের ভালো একটা প্রস্তুতি নেওয়া হয়। আর যেহেতু ডিসেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা শেষ হয়, ফলে সবাই বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। কিন্তু এবার অনেক বিভাগের শিক্ষার্থীরা সে সুযোগ পাচ্ছেন না। কারণ এবার ডিসেম্বরের মধ্যে কিছু বিভাগের পরীক্ষা শেষ হলেও কিছু বিভাগের শেষ হবে আগামী জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে। ফলে হোস্টেলে এক রুমে থাকা দুই বন্ধুর মধ্যে একজন বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারলেও আরেকজন পারছেন না। এতে অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী প্রেম নাথ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জুলাই-আগস্ট গণ-আন্দোলনের কারণে তিন মাসের মতো ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ ছিল। এ জন্য আমরা পিছিয়ে পড়েছি। তা না হলে আমাদের ক্লাস পরীক্ষা ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হতো। আর আমরা ৪৭তম বিসিএসে অংশ নিতে পারতাম। কিন্তু এখন পারছি না। কারণ সেশনজটের কারণে ডিসেম্বরের মধ্যে আমাদের পরীক্ষা শেষ হচ্ছে না। আমরা চাই পিএসসি জুলাই-আগস্টের গণ-আন্দোলনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ২০১৯-২০ সেশনের যেসব শিক্ষার্থী বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে আগ্রহী তাদের জন্য একটা ব্যবস্থা করা।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ স্নাতকের চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী তারাও ৪৭তম বিসিএসে অংশ নিতে পারছেন না। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বুয়েটের ২০১৯-২০ সেশনের ব্যাচ প্রতিনিধি আবু ওবায়দা মায়ায বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যেহেতু গণ-আন্দোলনের কারণে সারা দেশের প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস দুই মাস বন্ধ ছিল, এ জন্য ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার ডেডলাইন দুই মাস পেছানো যুক্তিসংগত। আমরা বুয়েটের ভিসি ড. এ বি এম বদরুজ্জামান বরাবর অনুরোধ করেছি, তিনি যেন পিএসসি বরাবর সুপারিশ করেন। তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন, এ নিয়ে পিএসসি বরাবর সুপারিশ করবেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মাহামুদুর রহমান নাজিদ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কভিড-১৯ ও জুলাই বিপ্লবের কারণে আমাদের সেমিস্টার পিছিয়ে যায়। আমাদের নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক বছর পর পরীক্ষা শেষ হবে। এতে আমাদের বিসিএস পরীক্ষায় আংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে না। আমরা চাই পিএসসি কভিড-১৯ ও জুলাই বিপ্লবের কারণটি বিবেচনায় নিয়ে বিসিএস পরীক্ষার সময় কিছুটা পিছিয়ে দিক।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও ঢাবির সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আবদুল কাদের বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলন ঘিরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর একাডেমিক কার্যক্রম দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। এতে দীর্ঘদিন ক্যাম্পাসগুলোয় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। ঢাবিসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ সেশনের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর অনার্স পরীক্ষা ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেটি হয়নি। এ কারণে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এই শিক্ষার্থীরা যাতে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে, নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে সে ব্যবস্থা করার আহ্বান জানাচ্ছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p>