<p>জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে থাকা বাস ও লেগুনাস্ট্যান্ড সরানোর আলটিমেটাম দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। হামলার ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনসহ বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে মানববন্ধনে এসব আলটিমেটাম দেন তারা।</p> <p>মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন, ‘আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই আক্রমণের সঙ্গে জড়িত সবাই আইনের আওতায় নিয়ে আসা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক তদন্ত কমিটির গঠন এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রায়সাহেব বাজার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে থাকা সব বাসস্ট্যান্ড এবং লেগুনাস্ট্যান্ড অপসারণ করতে হবে।’</p> <p>প্রক্টর স্যারের ওপর আক্রমণের ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়ে শিক্ষকরা আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণের অর্থ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আক্রমণ। আক্রমণের সময় আক্রমণকারীরা বলেছিল, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাইনি শিক্ষকদের পেয়েছি, মার তাদের। এটা পরিকল্পিত ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য হুমকিস্বরূপ।’</p> <p>৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই আক্রমণের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রইছ উদদীন বলেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হকের ওপর আক্রমণ আওয়ামী প্রেতাত্মার পরিকল্পিত আক্রমণ হতে পারে। একটি তদন্ত কমিটির গঠনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক বা শিক্ষার্থী উক্ত আক্রমণের সঙ্গে জড়িত নাকি তা খুঁজে বের করতে হবে। আগামী ৭২ ঘণ্টার ভিতরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে রায় সাহেব বাজার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে থাকা সব বাস স্ট্যান্ড এবং লেগুনায় স্ট্যান্ড অপসারণ করতে হবে।</p> <p>দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. মোশারফ হোসেন বলেন, এ ধরনের ঘটনা কাম্য ছিল না। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবার নিরাপত্তায় শিক্ষক সমিতি সর্বদা সোচ্চার থাকবে।</p> <p>৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার-গুলিস্তান রোডে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হকের গাড়িতে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় প্রক্টর ও তার গাড়ির ড্রাইভার আহত হন। উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৎক্ষণাৎ তিনজনকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।</p>