<p style="text-align:justify">অবশেষে ইরানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ইতালির সাংবাদিক সেসিলিয়া সালা। ইতিমধ্যে ইতালির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তিনি। কূটনৈতিক ও গোয়েন্দা চ্যানেলের ব্যাপক তৎপরতার পর তাকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। </p> <p style="text-align:justify">২৯ বছর বয়সী সালা নিয়মিত সাংবাদিকতার ভিসা নিয়ে কাজ করছিলেন ইরানে। তাকে ১৯ ডিসেম্বর রাজধানী তেহরান থেকে আটক করা হয় এবং দেশটির সবচেয়ে ভয়ংকর এভিন কারাগারের একক সেলে রাখা হয়েছিল। খবর রয়টার্সের।</p> <p style="text-align:justify">খবরে বলা হয়, ১৯  ডিসেম্বর জার্নালিস্ট ভিসায় ইরানে যান সালা। এরপর ইসলামী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে আটক করা হয় তাকে। ইতালির ইল ফগলিওর রিপোর্র্টার ছিলেন সালা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশে ইতালি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ইরানি প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবেদিনি নাজাফাবাদিকে। যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন তৈরির উপাদান ইরানে সরবরাহ করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। তখন তিনি ইতালিতে অবস্থান করছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে তাকে গ্রেপ্তার করে ইতালি। </p> <p style="text-align:justify">ধারণা করা হচ্ছে,  এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিক সেসিলিয়া সালার এমন দুর্দশা। কিন্তু প্রকৌশলী গ্রেপ্তার হওয়ার প্রেক্ষিতে সালাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে তেহরান। ইতিমধ্যে সালার মুক্তির বিষয়ে দ্রুত অগ্রগতির জন্য  যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাৎ করেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="জীবন বাঁচাতে গাড়ি ফেলে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা, মৃত্যু বেড়ে ৫" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/09/1736390940-7679a35f3d2094f73f77374335ab4e76.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>জীবন বাঁচাতে গাড়ি ফেলে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা, মৃত্যু বেড়ে ৫</p> </div> </div> </div> </div> </div> <p style="text-align:justify">সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী অনেক বিদেশি এবং দ্বৈত নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে। প্রধানত গুপ্তচরবৃত্তি এবং নিরাপত্তা-সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে তেহরান। তবে ইরান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।</p>