<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিজ্ঞানীরা আগেই বলে রেখেছেন, মরুর দেশ সৌদি আরব নীরবে সবুজ হয়ে উঠছে। গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, দেশটির মরুভূমির আনাচকানাচে এখন সালসোলা গুল্ম দেখা যাচ্ছে। আরবিতে একটি প্রবাদবাক্যের বাংলা অর্থ হলো, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যেখানেই সালসোলা, সেখানেই উট।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি অঞ্চলের মরুভূমিতে এই গুল্মের দেখা মেলে। তবে সৌদি আরবের মরুভূমিতে সালসোলা এখন একটি সাধারণ দৃশ্য। এই গুল্ম উটের প্রিয় খাবার। মরুকরণ রুখতে এই গুল্ম ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে। মরুর বালুতে জন্ম নেওয়া এই চিরসবুজ গুল্মের রস আরবের বেদুইনরা চর্মরোগ সারাতে ব্যবহার করে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সৌদি আরবের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে সালসোলা গুল্মটি এখন সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে। গবেষকরা বলেন, এই গুল্ম শুধু মরুকরণই রুখে দেয় না, জীববৈচিত্র্য সৃষ্টি এবং মাটির উর্বরাশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। এই সীমান্ত এলাকার আয়তন এক লাখ চার হাজার বর্গকিলোমিটার। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকার আমান এনভায়রনমেন্টাল সোসাইটির সভাপতি নাসির রশিদ আল মাজলাদ বলেন, উত্তরাঞ্চলীয় এই সীমান্ত এলাকাকে এখন পশুচারণ এলাকা হিসেবে গণ্য করা হয়। এখানকার ভূসংস্থানের কারণে এখানে বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদ ও বৃক্ষ রয়েছে। সালসোলা গুল্ম সেগুলোর অন্যতম, যার বৈজ্ঞানিক নাম ক্যারোক্সিলন ইমব্রিকাটুম। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি জানান, এই গুল্ম এক মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এটা থেকে এক ধরনের কষ বা আঠা নির্গত হয়, যার গন্ধ খুব বাজে। গুল্মটি উটের প্রিয় খাবার। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উল্লেখ্য, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নেচার রিজার্ভ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ও </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাউদি গ্রিন ইনিশিয়েটিভ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> সৌদি আরবের মরুকরণ রুখতে এবং ভূমি পুনরুদ্ধার করতে নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। স্থানীয় প্রজাতির গাছপালাও রোপণ করছে। পাশাপাশি প্রকৃতিও মরুর এই দেশটিকে সবুজায়নের দিকেই টেনে নিচ্ছে। সূত্র : আরব নিউজ</span></span></span></span></span></p>