<p>নিল ডি গ্রাস টাইসন। বিখ্যাত জ্যোতিঃপদার্থবিদ। কসমস টিভি সিরিজের কারণেই তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। কিন্তু গবেষণার পথ কখনো মসৃণ হয় না।</p> <p>টাইসনের জীবনেও বাধা এসেছে। তবে সে বাধাটাকে মোটেও কঠিন বাধা বলার উপায় নেই। তবে পুলিশের হাঙ্গামাকে স্রেফ মজার বলে উড়িয়ে দেওয়ার উপায়ও নেই।</p> <p>টাইসন ছোট বেলা থেকেই মহাকাশ নিয়ে আগ্রহী।</p> <p>জ্যোতির্পদার্থবিদ হওয়ার সংকল্প করেন সেই স্কুল জীবনেই। স্কুলেই টেলিস্কোপের সাহায্যে মহাকাশ পর্যবেক্ষণের সুযোগ পেয়েছেন। সুতরাং বাড়িতেও যে সময় পেলে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ করতে নেমে যাবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই স্বাভাবিক গবেষণা করতেই গিয়েই বেশ কয়েকবার পুলিশের হাঙ্গামা পোহাতে হয়েছে।</p> <p>টাইসন তখন বয়সে বেশ তরুণ। মাঝে মাঝে নিজের বাসার ছাদে বসে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ করেন। এজন্য ছাদে টেলিস্কোপও বসিয়ে রেখেছেন কয়েকটা। অন্ধকার মাঝরাতেই আকাশ পর্যবেক্ষণের সুবিধা, তাই প্রায় রাতেই ছাদে গিয়ে টেলিস্কোপের নলে চোখ লাগান। তাতেই সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের।</p> <p>তারা হয়তো টাইসনকে চেনে না। জানে না, ছেলেটা তরুণ জ্যোতির্পদার্থবিদ। তাই পুলিশকে ফোন করে। জানায় কেউ পাশের ছাদে বসে চুরির পরিকল্পনা করছেন। টেলিস্কোপে চোখ লাগিয়ে প্রতিবেশিদের বাড়ির ভেতরের খবর নিচ্ছেন। তারপর সুযোগ বুঝে করবেন চুরি। এই অভিযোগে পুলিশও টাইসনের বাসায় হানা দিয়েছে কয়েকবার। </p> <p>পুলিশে ছুঁলে ছত্রিশ ঘা—এ প্রবাদ কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মতো আধুনিক দেশেও সত্যি। টাইসনকেও যে তারা ছেড়ে কথা বলবে না, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু টাইসনও বাগ্মীতায় কম যান না। সেটা ছোটবেলা থেখেই। তার প্রমাণ মেলে ‘কসমস’ সিরিজ দেখলেই। তিনি ঠাণ্ডা মাথায় পুলিশকে বোঝান, তিনি একজন তরুণ জ্যোতির্বিদ, কোনো ক্রিমিনাল নন। কিন্তু পুলিশ তা মানবে কেন? </p> <p>তখন টাইসন পুলিশকে প্রস্তাব দেন, মহাকাশ পর্যবেক্ষণের। তিনি টেলিস্কোপের লেন্স ফোকাস করেন শনির বলয়ের দিকে। তারপর পুলিশকে নলে চোখ রেখে সেটা দেখতে বলেন। পুলিশ এমন সুন্দর গ্রহ আর তার বলয় দেখে মুগ্ধ হন। আর বিশ্বাস করতেও বাধ্য হন টাইসন আসলেই জ্যোতির্পদার্থবিদ।</p> <p>এভাবে বেশ কয়েকবার স্রেফ শনির বলয় দেখিয়েই পুলিশের হাঙ্গামা থেকে বেঁচে গিয়েছেন টাইসন।</p> <p>সূত্র : অ্যাস্ট্রোফিজিকস ফর ইয়ং পিপল ইন আ হারি বই থেকে<br />  </p> <p><br />  </p>