ঢাকা, বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫
৫ চৈত্র ১৪৩১, ১৮ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫
৫ চৈত্র ১৪৩১, ১৮ রমজান ১৪৪৬

কীটনাশক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

শেয়ার
কীটনাশক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

মানুষের জীবনধারণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে খাবার। নিরাপদ ও কীটনাশকবিহীন খাদ্যগ্রহণ মানুষের দেহকে সুস্থ, সবল, কর্মক্ষম এবং রোগমুক্ত রাখে। শরীর সুস্থ রাখতে খাবারে আমিষের সঙ্গে সঙ্গে শাক-সবজির গুরুত্ব অপরিসীম।

শাক-সবজিতে শরীরের জন্য উপকারী পুষ্টিকর ও প্রয়োজনীয় উপাদান থাকে।

শাক-সবজি তখনই উপকারী, যখন তা কীটনাশকের মাত্রা সহনশীল হয়। সঙ্গে এর পুষ্টিগুণ প্রকৃতই ঠিক থাকে। বাংলাদেশের কৃষকরা অনুমোদিত নিয়ম না মেনেই অতিবেশি ফলনের জন্য সবজিতে অনুমোদিত মাত্রার চেয়েও বেশি কীটনাশক ব্যবহার করেন। 

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে কিছু শাক-সবজিতে কীটনাশকের অবশিষ্টাংশের পরিমাণ অনুমোদিত সীমার চেয়ে বেশি পাওয়া গেছে।

অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার ও তা ভক্ষণের ফলে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা; যেমনক্যান্সার, হরমোনের সমস্যা, নিউরোলজিক্যাল ইফেক্ট, হাঁপানি ও শ্বাসজনিত সমস্যা ইত্যাদি হতে পারে।

স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল সংস্থা ও ব্যক্তিবর্গকে খাবার সবজিতে অবশ্যই কীটনাশক নিয়ন্ত্রণের স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

আবু হামজা

শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রমজানে পণ্যমূল্য

শেয়ার
রমজানে পণ্যমূল্য

সংযম সাধনা, সহমর্মিতা, সচেতনতা ও আত্মশুদ্ধির মাস পবিত্র মাহে রমজান। অথচ এ মাসেই অসংযম, স্বার্থসিদ্ধি ও বিভিন্ন অনিয়ম হয়ে থাকে। বিশেষ করে রমজান মাস পুঁজি করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বাজারে বিভিন্ন পণ্যের সংকট সৃষ্টি করে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীর অতিরিক্ত মুনাফা আদায়ের প্রবণতা বেড়ে যায়। মাহে রমজানের যে তাৎপর্য ও মহত্ত্ব তা ভুলে উল্টো পথের এই প্রবণতা লজ্জাজনক।

সঠিক ওজনের পণ্য বিক্রি, ক্রেতাদের না ঠকানোর কথা, বাজারে পণ্যের সংকট সৃষ্টি না করা, ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির কথা পবিত্র ধর্মগ্রন্থে রয়েছে। কিন্তু পবিত্র মাসে এসব ঘটনাই ঘটে।

বিভিন্ন উন্নত ইসলামিক দেশে দেখা যায়, রমজান মাস এলে বিভিন্ন পণ্যের মূল্যহ্রাসসহ বাজার ব্যবস্থাপনায় নানা সুযোগ দেওয়া হয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যও থাকে সহজলভ্য।

বাংলাদেশের বাজারে কোনো জিনিসের দাম একবার বাড়লে তা আর সহজে কমে না বললেই চলে।

সংশ্লিষ্ট মহল এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন, সেই সঙ্গে বাস্তবায়নে তৎপর হবেনএমনটা প্রত্যাশা।

নুসরাত জাহান জেরিন

শিক্ষার্থী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইন কলেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

অফারের নামে প্রতারণা

শেয়ার
অফারের নামে প্রতারণা

বাজারে অফারের মোড়কে প্রতারণা আজ এক প্রচ্ছন্ন শিল্পে পরিণত হয়েছে। উৎসব, বিশেষ দিন বা অনলাইন সেলের মৌসুমে আকর্ষণীয় ছাড়ের ঝলকানিতে ক্রেতাদের মন ভুলিয়ে দেওয়া হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে বাই ওয়ান, গেট ওয়ান ফি, বিশাল ছাড় কিংবা শেষ মুহূর্তের অফার নামক প্রচারণা চালায়, যা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বাস্তবে প্রতিফলিত হয় না। অনেক সময় পণ্যের দাম আগেই বাড়িয়ে দিয়ে ভুয়া ছাড় দেখানো হয় আবার কখনো নিম্নমানের বা মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির ফাঁদ পাতা হয়।

অফারের নামে সত্য গোপন করে প্রতারণা এখন যেন বাজারব্যবস্থার নিয়মিত চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নিম্নবিত্ত শ্রেণি। তারা এমনিতেই দিন এনে দিন খায়। বিভিন্ন অফারের প্রলোভনে তারা কম দামে প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ের আশায় এই প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে ফেলে এবং এতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তাই বাজারব্যবস্থায় অফারের নামে এই প্রতারণা রুখতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

প্রজ্ঞা দাস

শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা

মন্তব্য

মানহীন খাদ্যদ্রব্য

শেয়ার
মানহীন খাদ্যদ্রব্য

মানহীন খাবার প্রতিনিয়ত গ্রহণের ফলে অসুস্থতায় ভুগছে সাধারণ মানুষ। যেখানে-সেখানে প্রচলিত আইনকে তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন উপায়ে তৈরি হচ্ছে মানহীন খাবার। অপরিচ্ছন্ন ও ময়লাযুক্ত পানি এবং অপরিষ্কার পাত্রেই বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ মিশিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে এসব ক্ষতিকর খাবার। পর্যায়ক্রমে ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

বিক্রি হচ্ছে সস্তায়। অসচেতনতা ও পর্যাপ্ত আর্থিক সক্ষমতা না থাকার কারণে দেশের বেশির ভাগ মানুষ সেগুলো ক্রয় করছে। ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক রোগ। ধারাবাহিকভাবে চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে স্থানীয় হাসপাতাল ও মেডিক্যাল সেন্টারগুলোতে।
তাই জাতীয় বিপর্যয় এড়াতে মানহীন খাদ্যদ্রব্য তৈরি ও বাজারজাতকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা ও তদারকির বিকল্প নেই।

আশিকুর রহমান 

শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

মন্তব্য

টিসিবির পণ্য

শেয়ার
টিসিবির পণ্য

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) দেশের সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। সরকার নির্ধারিত কম মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর কথা থাকলেও এই সেবাটি নিয়ে নানা অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। অভিযোগটি হচ্ছে, টিসিবি পণ্য প্রকৃত উপকারভোগীদের হাতে পৌঁছানোর আগেই কিছু অসাধু ডিলার ও মধ্যস্বত্বভোগীর হাতে চলে যাচ্ছে। প্রকৃত নিম্ন আয়ের মানুষ লাইনে দাঁড়িয়েও বঞ্চিত হচ্ছে আর কালোবাজারে সেই পণ্য দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে।

এমনকি বিতরণকেন্দ্রে অনিয়মিত সরবরাহ, তথ্য গোপন করা নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে প্রকৃত নিম্ন আয়ের মানুষ প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যদি এই অনিয়ম রোধ করা না যায়, তাহলে শুধু গরিব মানুষের হক নষ্ট হবে তা-ই নয়, সরকারের এই জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি আস্থার সংকটে পড়বে। এই অবস্থায় টিসিবির কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের লক্ষ্যে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

প্রজ্ঞা দাস

শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ