বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে এক সেমিনারে বক্তারা বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের আমলে উন্নতি ও অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন। গণতন্ত্র ও বাণিজ্য বিষয়ে গঠনমূলক সংলাপেরও আহবান জানানো হয়েছে সেমিনারে।
গত মঙ্গলবার ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ভবনে ওই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য (এমইপি) থমাস জেডিহস্কি ও ‘স্টাডি সার্কেল লন্ডন’ যৌথভাবে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক ওই সেমিনার আয়োজন করে।
এমইপি থমাস জেডিহস্কি তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা ও দ্রুত উন্নয়নের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশকে ‘দক্ষিণ এশীয় বাঘ’ এবং এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতার স্তম্ভ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, অবশ্যই বাংলাদেশের এই অভূতপূর্ব উন্নয়নের জন্য বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারকে ধন্যবাদ দিতে হবে।
থমাস জেডিহস্কি গঠনমূলক সংলাপের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য অংশীদারি গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন থমাস জেডিহস্কি। তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিজয়ী হবে।
এমইপি থমাস জেডিহস্কি ছাড়াও সেমিনারে বক্তব্য দেন স্টাডি সার্কেল লন্ডনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোজাম্মেল আলী, বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান ও মানবাধিকারবিষয়ক আইনজীবী রায়হান রশিদ।
সেমিনারে বক্তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকা, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করেন। তাঁরা বলেন, বাংলাদেশের ব্যাবসায়িক অংশীদার হিসেবে ইইউর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা উল্লেখ করেন, ২০২০ সালে বাংলাদেশের মোট বাণিজ্যের ১৯.৫ শতাংশ ছিল ইইউর সঙ্গে। তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির চাবিকাঠি হিসেবে পোশাকশিল্পের অবদানের কথা গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান।
এমইপি থমাস জেডিহস্কি বলেন, বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ থেকে পূর্ণাঙ্গ শিল্পোন্নত দেশে রূপান্তরিত হচ্ছে।
আজ বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।