<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মালয়েশিয়ার আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ইডটকো টাওয়ার কম্পানি। ইডটকো বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহৎ টেলিকম টাওয়ার অবকাঠামো শিল্প প্রতিষ্ঠান। টেকসই অবকাঠামো নির্মাণের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৩ সালে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে ইডটকোর সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইডটকো বাংলাদেশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সর্বোচ্চ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কার পেয়েছিল। তবে সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানটি এখন পরিণত হয়েছে ভ্যাট ফাঁকিবাজে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকা উত্তর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে ইডটকোর ৩৩ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকির চিত্র উঠে এসেছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এই ভ্যাট ফাঁকিকে ইচ্ছাকৃত আইন লঙ্ঘন নয় বলে জানানো হয়েছে। ইডটকো বলছে, প্রতিষ্ঠানের অনিচ্ছাকৃত ও সরল বিশ্বাসে এমন ভুল হতে পারে। কর ফাঁকির কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ইডটকোর ছিল না।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ইডটকো ৩৩ কোটি ২১ লাখ এক হাজার ৪৮৬ টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। ভ্যাট ফাঁকি নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ইডটকো বাংলাদেশের দাখিল করা দলিলাদি যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। মূলত অনিয়মিত রেয়াত গ্রহণের মাধ্যমে এই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, যথাসময়ে সরকারি কোষাগারে ভ্যাট জমা না দেওয়ায় ফাঁকি দেওয়া টাকার ওপর সুদ আরোপিত হবে। এখন পর্যন্ত এই সুদের হিসাব করা হয়েছে এক লাখ ৩৪ হাজার ৬২৭ টাকা। মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২-এর ধারা ৭৩(২) অনুযায়ী এই আদেশ দেওয়া হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়ে ইডটকো বাংলাদেশের পরিচালক (ফিন্যান্স) আহম্মদ জুবায়ের আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিদ্যমান ভ্যাট ব্যবস্থায় কিছু ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃত-অনিচ্ছাকৃত মূসক পরিহারের ঘটনা ঘটে। আবার ভুলবশত বা আইনের ভুল ব্যাখ্যার কারণেও ভ্যাটের প্রযোজ্যতা বা প্রযোজ্য হার নিয়ে ভিন্নতা দেখা দেয়। ফলে কর্তৃপক্ষের দাবির চেয়ে ভ্যাট কম পরিশোধ হয় বা প্রাপ্যতার বেশি রেয়াত গৃহীত হয়। প্রতিষ্ঠানের অনিচ্ছাকৃত ও সরল বিশ্বাসে এমন ভুল হতে পারে। তবে তা আইনের ইচ্ছাকৃত লঙ্ঘন নয়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আইনগত ব্যাখ্যার জটিলতা ও ভিন্নতার কারণে ইডটকো ৩৩ কোটি টাকা উপকরণ কর রেয়াত নিয়েছে, যা পরবর্তী সময়ে নিরীক্ষায় রেয়াতযোগ্য নয় বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আইনগত জটিলতা এড়াতে ও অডিট কার্যক্রম সহজ করতে ইডটকো বিষয়টি মেনে নেয়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্বনামধন্য একটি প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট ফাঁকির বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইডটকোর বিরুদ্ধে আগে কখনো ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তারা সঠিক নিয়ম অনুসরণ করেই ভ্যাট দিয়েছে। আগে সেবা খাতে সেরা ভ্যাটদাতার পুরস্কারও পেয়েছে তারা। এমন প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট ফাঁকি দেওয়াটা উদ্বেগজনক।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, তৃতীয় পক্ষের প্রতিষ্ঠানের কাছে টাওয়ার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব গেলে মোবাইল ফোন অপারেটররা তাদের মূল ব্যবসায় বেশি মনোযোগ দিতে পারবে। এতে অপারেটরদের মধ্যে ভাগাভাগি করে টাওয়ার ব্যবহার বাড়বে। এ ছাড়া একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠানের কাছে টাওয়ার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব গেলে দেশে অতিরিক্ত টাওয়ারের সংখ্যা, জমি ও বিদ্যুতের অপচয় কমবে। এসব বিষয় বিবেচনা করে ২০০৮ সালে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টাওয়ার শেয়ারিং</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নামের একটি নীতিমালা চালু করে বিটিআরসি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিটিআরসি সূত্র জানায়, বর্তমানে সারা দেশে মোবাইল টাওয়ারের সংখ্যা ৪৫ হাজার ৫৭৪। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের টাওয়ারের সংখ্যা ১২ হাজার ৫২৬, রবির দুই হাজার ২৭৬, বাংলালিংকের চার হাজার ছয়, টেলিটকের তিন হাজার ৩২০, ইডটকো লিমিটেডের ১৬ হাজার ৭৩২, সামিটের চার হাজার ৫৪৯, কীর্তনখোলার ৭৩৫, ফ্রন্টিয়ারের ১১৬ এবং বিটিসিএলের টাওয়ার রয়েছে ৫১৪টি।</span></span></span></span></p>