<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিন দিন আটকে থাকার পর নিরাপদে সাজেক ত্যাগ করেছেন প্রায় দেড় হাজার পর্যটক। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সাজেক ছেড়ে যায় পর্যটকবাহী গাড়িগুলো। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাজেক জিপ সমিতির লাইনম্যান ইয়াসিন আরাফাত জানান, সকালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সহায়তায় পর্যটকদের গাড়ি সাজেক থেকে রওনা দেয়। সব গাড়ি নিরাপদে খাগড়াছড়ি শহরে ফিরেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিবেচনায় মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার সাজেকে পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসাহ করছে জেলা প্রশাসন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, সাজেক থেকে ফেরার পথে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় তিন পর্যটককে অপহরণ করে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা হয়। পরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তৎপরতায় তাঁরা উদ্ধার হন। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন এস এম নাহিদ উজ্জামান মামুন ফকির ও জোবায়ের আলম। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভুক্তভোগী এস এম নাহিদ উজ্জামান গতকাল বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এসে ঘটনার বর্ণনা দেন। তিনি জানান, গাড়িতে অবৈধ অস্ত্র আছে বলে তিনজনকে নামিয়ে একটি করাত কলসংলগ্ন ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের আটকে রেখে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। দর-কষাকষির এক পর্যায়ে ২০ লাখ টাকায় ছেড়ে দিতে রাজি হয় তারা। টাকা আনার কথা বলে কৌশলে আত্মীয়ের কাছে মেসেজ পাঠালে কিছুক্ষণ পর পুলিশ সুপারের মোবাইল থেকে কল আসে। সেখানে ট্রু কলারে পুলিশ সুপারের ফোন নম্বর দেখে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।</span></span></span></span></p>