<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিগগিরই নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ না দিলে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর জনগণের অনাস্থা তৈরি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্তর্বর্তী সরকারের আশু করণীয় প্রস্তাব, ১০০ দিনে কতটা বাস্তবায়ন হলো</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনটি আয়োজন করে গণতান্ত্রিক</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> অধিকার কমিটি। গত ৫ অক্টোবর কমিটির পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে যে ১৩ দফা দাবি জানানো হয়েছিল, এই সংবাদ সম্মেলনে সেগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন কমিটির অন্যতম সদস্য আনু মুহাম্মদ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কত দিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া উচিত? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আনু মুহাম্মদ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংস্কারের মধ্য দিয়েই নির্বাচনে যেতে হবে। ২০০৮ সালের পরে আর কার্যত কোনো নির্বাচন হয়নি। নির্বাচন ব্যবস্থায় যে ধস নেমেছিল, সেটি মেরামত বা সংস্কার করে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের কাঠামো তৈরি করা সরকারের দায়িত্ব। সেটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সে বিষয়ে সরকারের উদ্যোগ নেওয়া দরকার।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার অনেকগুলো ভিত্তি তৈরি করতে পারে বলে মন্তব্য করেন আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, বিভিন্ন কমিশন হয়েছে, তার মধ্য দিয়ে ভিত্তি তৈরি হবে। সেই প্রক্রিয়াটা চলতে পারে। কিন্তু নির্বাচনের ব্যাপারে একটি প্রস্তুতি বা পথনকশা বা উদ্যোগ গ্রহণ করা, কবে নাগাদ নির্বাচন হবে, কী কী পদ্ধতিতে তারা অগ্রসর হবে, সেটার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা প্রয়োজন। এই ঘোষণা না এলে, এটি যদি দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে একটি অনাস্থা বা অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ বা পথনকশা ঘোষণা করা উচিত। সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবিধানে স্বৈরশাসন বা ক্ষমতা ও সম্পদের কেন্দ্রিকতার জন্য যে ধারাগুলো যোগ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> করা হয়েছে, সেগুলো বাতিল করা আমাদের প্রধান দাবি। আর বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, লিঙ্গের মানুষ সবাইকে এক করার ধারা যুক্ত করতে হবে। সংবিধানে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা একটা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হিসেবে থাকবে এবং জনগণের সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>