<p>সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন স্মরণসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সরব ছিলেন মইনুল হোসেন। যা ছিল আত্মহত্যার শামিল। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর গুলশান ক্লাবে এই স্মরণসভা হয়।</p> <p>আমীর খসরু বলেন, ‘মইনুল হোসেন যখন যেটা মনে করতেন সেটা বলতেন। তার সাহসিকতা ছিল অদম্য। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সবচেয়ে বেশি কথা বলেছেন মইনুল।’ তিনি আরো বলেন, ‘মইনুল হোসেনের সামাজিক দক্ষতা ছিল অসাধারণ। উনার সঙ্গে সময় কাটানো ছিল একটা আনন্দময় যুগ। উনি সব সময় খোলা মনে কথা বলেছেন। আজকের এই দিনে মইনুল হোসেন থাকলে আমরা অনেক বেশি উপকৃত হতাম।’</p> <p>স্মরণসভায় অন্তর্বর্তী সরকারের সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ বলেন, ‘মঈনুল হোসেন ইতিহাসের একটা অংশ। শেষ দিকে যখন উনার ওপরে একটা অন্যায় কাজ করা হয়, সেটা ছিল একটা অপবাদ। সে সময় যারা ক্ষমতায় ছিল, তাদের আমরা বিদায় দিয়েছি। উনাকে যখন ধরে নিয়ে গেল তখন থেকে চেষ্টা করেও আমি তাকে সাহায্য করতে পারিনি। কিন্তু উনি ফিরে এসে ঠিকই আমাদের খোঁজখবর নিয়েছেন।’</p> <p>বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘মইনুল হোসেন কখনো হারিয়ে যাবেন না। তিনি আমাদের মাঝে আছেন এবং থাকবেন। তার জীবনে আমি একটি মাত্র বাক্য দেখেছি, সেটা হলো প্রতিবাদ।’</p> <p>নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘গত ১৫ বছরে ন্যক্কারজনক সময়ে মইনুল হোসেন কথা থামাননি। আমরাও অনেক কথা বলতে পারিনি, যেটা মইনুল হোসেন বলতেন। বাকশাল থেকে মইনুল হোসেন তার প্রতিবাদ উজ্জীবিত রেখেছিলেন।’</p> <p>স্মরণসভায় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, আলোকচিত্রী শহীদুল আলম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার ফারহাত হোসেনসহ রাজনীতিবিদ, সহকর্মী ও মইনুল হোসেনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে মইনুল হোসেনের লেখা বই ‘শেষলেখা’র মোড়ক উন্মোচন করেন পরিবারের সদস্যরা।</p> <p> </p>