<p>যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা, অন্তর্বর্তী সরকার ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।</p> <p>হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিউনিকেশন উপদেষ্টা জন কিরবি গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।</p> <p>ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের ওয়াশিংটন ডিসি ব্যুরো প্রধান ললিত কে ঝার এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত নিবিড়ভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি এবং প্রেসিডেন্ট নিজেও তা দেখছেন।’</p> <p>কিরবি বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পতনের পর বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি কিছুটা জটিল আকার ধারণ করেছে। আমরা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা সংস্থা এবং নিরাপত্তা সেবার সক্ষমতা বাড়াতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।’</p> <p>পিটিআই ব্যুরোর পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়, কয়েক সপ্তাহ ধরে কয়েকটি হিন্দু-আমেরিকান গ্রুপ বিক্ষোভ মিছিল করছে, হোয়াইট হাউসের সামনেও বিক্ষোভ হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে হিন্দু হত্যা ও মন্দিরে হামলার প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ করছে। প্রেসিডেন্টের এটা জানা আছে কি না?</p> <p>জাতিসংঘে বৈঠকের পাশাপাশি বন্ধু বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা হলে প্রসঙ্গটি তিনি তুলেছিলেন কি না?’</p> <p>এ ব্যাপারে জন কিরবি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার সময় স্পষ্টভাবে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার বিষয়ে বলেছি। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব বাংলাদেশির নিরাপত্তার বিষয়ে বলেছি।’</p> <p>যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো, নিউ ইয়র্ক, ডেট্রয়েট, হিউস্টন, আটলান্টাসহ বেশ কয়েকটি শহরে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকরা বিক্ষোভ করেছে। তারা বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর সহিংসতার অভিযোগ এনে প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং এসব বন্ধে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।</p> <p> </p>