<p>বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আগে-পরে শিক্ষার্থী নির্যাতনের অভিযোগে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শৃঙ্খলা কমিটির সভায় তাদের হল থেকে আজীবন বহিষ্কার, একাডেমিক কার্যক্রম থেকে এক শিক্ষাবর্ষ বহিষ্কার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চারিত্রিক সনদপত্রে শাস্তির বিষয়টি উল্লেখ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।</p> <p>ডুয়েটের ওয়েবসাইটে গত বৃহস্পতিবার প্রত্যেকের নামে আলাদা কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।</p> <p>নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান মিঠুন, সাধারণ সম্পাদক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মাহমুদ হাসান মান্না, সাবেক প্রচার সম্পাদক ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী প্রতাপ কুমার, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাব্বির হোসেন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাজ্জাদ হোসেন রিফাত, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সিদ্দিকুর রহমান, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মোজ্জামেল হোসেন শাহীন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মেহেদী হাসান তুহিন, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মুশফিকুল আলম শান্ত, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আশরাফুল ইসলাম, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ইসতিয়াক আহমেদ প্রিন্স, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পারভেজ মিয়া মাহিন, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তাসিন মাহমুদ এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এম এম সায়মুন।</p> <p>তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি কেন আরোপ করা হবে না তার জবাব সাত দিনের মধ্যে ছাত্র নোটিশে শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক উত্পল কুমার দাসকে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। শাস্তির ব্যাপারে আপত্তি থাকলে একাডেমিক কাউন্সিলে আপিলের সুযোগের কথাও বলা হয়েছে নোটিশে।</p> <p>এ ব্যাপারে উত্পল কুমার দাস বলেন, ‘১৪ ছাত্রকে শাস্তি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। সাজার ক্ষেত্রে কারো কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। কারো কারো ছাত্রত্ব শেষ হয়ে গেছে। তাদের একাডেমিক শাস্তি দেওয়া সম্ভব নয়। তাদের সব কাগজপত্র এক বছরের জন্য জব্দ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। দুজন মাস্টার্সের ছাত্র। তাদের অপরাধের মাত্রা বেশি থাকায় তদন্ত কমিটি ছাত্রত্ব বাতিলের সুপারিশ করেছে। এ রকম ১৪ জনকে বিভিন্ন মাত্রার শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে।’</p> <p>ডুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক প্রতাপ কুমারের দাবি, ‘সাব্বির, উজ্জ্বলসহ চারজন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী নন, অথচ শাস্তির তালিকায় তাদের নামও রয়েছে। ছাত্রশিবির ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে নামের তালিকা করে শাস্তির আওতায় এনে শিক্ষাজীবন নষ্টের পাঁয়তারা করছে।’</p> <p> </p>