<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে স্ত্রীসহ চট্টগ্রাম-১৬ আসনের সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও স্ত্রীসহ নাটোর-২ আসনের সাবেক এমপি মো. শফিকুল ইসলাম শিমুলের বিরুদ্ধে পৃথক চারটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) মামলাগুলো করা হয়েছে। দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলায় ৯৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯৯২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তা ভোগদখলে রাখা এবং ২১টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ১৮ কোটি ৭৫ লাখ ৯৮ হাজার ৫৮০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আর মোস্তাফিজুরের স্ত্রী শাহীন আক্তারের বিরুদ্ধে মামলায় দুই কোটি ছয় লাখ ৩০ হাজার ১০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তা ভোগদখলে রাখা এবং ছয়টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে তিন কোটি ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ৮৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শফিকুল ইসলাম শিমুলের বিরুদ্ধে মামলায় পাঁচ কোটি ১৪ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তা ভোগদখলে রাখা এবং ১১টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ১৫ কোটি ৬২ লাখ ২৮ হাজার ৮০৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আর শিমুলের স্ত্রী শামীমা সুলতানার বিরুদ্ধে ১১ কোটি ২২ লাখ ৯৩ হাজার ২৭১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তা ভোগদখলে রাখা এবং চারটি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ১০ কোটি ৪৩ লাখ ৯১ হাজার ৬৯৬ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মামলাগুলোর এজাহারে বলা হয়, মোস্তাফিজুর রহমান ও শফিকুল ইসলাম ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওই সম্পদ অর্জন এবং তা হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করে মানি লন্ডারিং করেছেন। আর তাঁদের স্ত্রীরা অবৈধ সম্পদ উপার্জনে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করেছেন। মোস্তাফিজুর রহমান ও শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা করা হয়েছে। আর তাঁদের স্ত্রীদের বিরুদ্ধে ওই ধারাগুলোর সঙ্গে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা যুক্ত করে মামলা করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>