বিক্রেতা আটক

অভয়নগরে ফুচকা খেয়ে দুই শতাধিক লোক হাসপাতালে

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
শেয়ার
অভয়নগরে ফুচকা খেয়ে দুই শতাধিক লোক হাসপাতালে

যশোরের অভয়নগরে ঈদ মেলায় ফুচকা খেয়ে নারী, শিশুসহ দুই শতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফুচকা বিক্রেতা মনির হোসেনকে (২৪) আটক করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাতে মণিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া গ্রাম থেকে তাঁকে আটক করা হয়।

আটক মনির হোসেন ঢাকুরিয়া গ্রামের উত্তরপাড়ার আব্দুল লতিফ মিন্টুর ছেলে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলীমুর রাজীব বলেন, ফুড পয়জনিংয়ের (খাদ্যে বিষক্রিয়া) কারণে ঈদের দিন ৪০ জন এবং ঈদের পরদিন দেড় শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছে।

এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শুভ্র প্রকাশ দাস বলেন, ভুক্তভোগী উপজেলার কাপাশহাটী গ্রামের মাওলানা তানজিম হোসেন নিরাপদ খাদ্য আইনে ফুচকা বিক্রেতা মনির হোসেনের নামে মামলা করলে তাঁকে মণিরামপুর উপজেলা থেকে আটক করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আটক মনির হোসেনকে যশোর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মোহাম্মদপুরে সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেপ্তার ১৫

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মোহাম্মদপুরে সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেপ্তার ১৫

সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার এ কে এম মেহেদী হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে শনিবার দিনভর মোহাম্মদপুর ও আদাবরের বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন জাবেদ, রুবেল, মুরাদ, তাহিদুল, মিরাজ, সাম, মুনসুর, আরিফ, মন্টি পাটোয়ারী, জামিল, সজল, শোয়েব, মাহাফুজ, আরিফ ও রাশেদ।

মন্তব্য

রাজবাড়ীর সাবেক এমপি কাজী কেরামত আলী রাজধানীতে গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
রাজবাড়ীর সাবেক এমপি কাজী কেরামত আলী রাজধানীতে গ্রেপ্তার

রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক এমপি কাজী কেরামত আলীকে রাজধানীর মহাখালী থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের অভিযোগে মামলা আছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবিপ্রধান) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, কাজী কেরামত আলীর বিরুদ্ধে ঢাকা ও রাজবাড়ীতে একাধিক মামলা রয়েছে।

এর যেকোনো একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।

মন্তব্য

‘গরমে সব আদালতে যেন এসি দেওয়া হয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
‘গরমে সব আদালতে যেন এসি দেওয়া হয়’

গরমে অধস্তন আদালতের এজলাসে (বিচারকক্ষে) শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এয়ার কন্ডিশনার-এসি) বসাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার। গতকাল রবিবার তিনি এ অনুরোধ জানান। একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, গরমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ও সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের কালো গাউন পরতে হবে।

গরমে কালো গাউন পরা নিয়ে গত ২৫ মার্চ বিজ্ঞপ্তি দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঞার দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশব্যাপী তাপপ্রবাহের কারণে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলা শুনানিকালে আইনজীবীদের গাউন পরিধানের আবশ্যকতা শিথিল করা হলো। এ নির্দেশনা ৬ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

গতকাল চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে বিষয়টি তুলে ধরেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। সুপ্রিম কোর্টের এই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ট্রাইব্যুনাল গরমে গাউন পরা শিথিল করবে কি না জানতে চান।

তখন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বলেন, এখানে তো এসি আছে, তাই এখানে গাউন পরতে হবে। এসি থাকলে গাউন পরতে সমস্যা কী? তার পরও কেউ যদি গরমে গাউন পরতে অসুবিধা বোধ করেন, আমাদের বললে আমরা সেটি বিবেচনা করব।

চেয়ারম্যান বলেন, নিম্ন আদালতের প্রতিটি কোর্টে যেন এসি থাকে, সেই ব্যবস্থা করা উচিত। সেখানে বিচারপ্রার্থী, আসামি, আইনজীবীসহ অনেক মানুষের উপস্থিতি থাকে।

এসি না থাকলে বিচারকরা কিভাবে বিচার করবেন? গরমে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার অবস্থা হয়। আমাদের হাম্বল রিকোয়েস্ট, সব আদালতে যেন এসি দেওয়া হয়।

ট্রাইব্যুনালে এ সময় চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও চিফ প্রসিকিউটরের পরামর্শক ব্রিটিশ আইনজীবী টবি ক্যাডম্যানও উপস্থিত ছিলেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ছুটি শেষে খুলেছে সচিবালয় কাটেনি ঈদের আমেজ

বিশেষ প্রতিনিধি
বিশেষ প্রতিনিধি
শেয়ার
ছুটি শেষে খুলেছে সচিবালয় কাটেনি ঈদের আমেজ

ঈদুল ফিতরের টানা ৯ দিনের ছুটি শেষে গতকাল রবিবার খুলেছে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়। কর্মস্থলে ফিরছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে ঈদের আমেজ এখনো কাটেনি। প্রথম কর্মদিবসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মস্থলে ফিরে সহকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে কর্মদিবস শুরু করেছেন।

অফিসে এসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি ও গল্প করছেন। 

গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা যায়, কোনো কোনো মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে বেশির ভাগই উপস্থিত, আবার অনেক কক্ষে চেয়ার-টেবিল ফাঁকা পড়ে রয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। কোলাকুলি করছেন একে অপরের সঙ্গে।

সচিবালয়ে গাড়ি রাখার স্থানগুলো অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক ছিল। তবে সচিবালয়ের করিডর, লিফটগুলোর সামনে ভিড় ছিল না, আর সচিবালয়ে দর্শনার্থী কক্ষটিও ছিল ফাঁকা। আর গাড়ি রাখার স্থানগুলো অন্যান্য সময়ের মতো গাড়িতে ভরা ছিল না।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রবিবার অফিস খুলেছে, তবে অনেকেই ঐচ্ছিক ছুটি উপভোগ করছেন।

ঈদের পরে প্রথম কর্মদিবস মোটামুটি এমনই হয়ে থাকে। খুব একটা কাজ হয় না, আবার অনেকেই ছুটিতে থাকেন। যাঁরা অফিসে এসেছেন তাঁরাও গল্প করে সময় কাটাচ্ছেন। আগামী সপ্তাহ থেকে সচিবালয়ের অফিস পুরোদমে শুরু হবে বলে মনে করেন তাঁরা।

গত সোমবার দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে।

ঈদ উপলক্ষে ২৯, ৩০, ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিল (শনি, রবি, সোম, মঙ্গল ও বুধবার) সাধারণ ছুটি এবং ৩ এপ্রিল নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর ৪ ও ৫ এপ্রিল (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। সব মিলিয়ে এবার ঈদে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টানা ৯ দিন ছুটি ভোগ করেছেন। ছুটি শেষে গতকাল অফিস শুরু হয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ