<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরকারি হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন থাকলেও কোনো কাজে আসছে না। নেই মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টও। ফলে বাধ্য হয়ে রোগীদের যেতে হয় প্রাইভেট হাসপাতালে। দীর্ঘদিন ধরে অকেজো থাকায় নষ্ট হয়ে যায় মেশিনটি। গত এক বছর আগে এক্স-রে মেশিনটি মেরামত করে একজন খণ্ডকালীন অফিস সহায়ক দিয়ে চালু করলেও তা আবার নষ্ট হয়ে যায়। এখনো সেই অবস্থায়ই আছে। এমন অবস্থা ৩১ শয্যাবিশিষ্ট সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর গোপন আঁতাত রয়েছে বলে মনে করছে সচেতন মহল। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসা হাত-পা ভাঙা রোগীদের হাসপাতালে এসে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। বাধ্য হয়ে হাসপাতালের বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত সময় ও টাকা খরচ করে এক্স-রে করাতে হয় তাঁদের। সেই কারণে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর ব্যবসাও বেশ জমজমাট। অথচ সরকারি হাসপাতালে এক্স-রে করাতে পারলে কম টাকায় তা সম্ভব ছিল। সেই সঙ্গে তাঁদের এত দুর্ভোগও পোহাতে হতো না। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, হাসপাতালে এক্স-রে মেশিনটি সরবরাহ করার পর থেকে এক্স-রে-কক্ষে সেট করা হয়। কিন্তু এক্স-রে টেকনোলজিস্ট না থাকায় এক্স-রে করা সম্ভব হচ্ছে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানোর পরও কোনো টেকনোলজিস্ট দেওয়া হচ্ছে না। আগের পুরনো এক্স-রে মেশিনের পরিবর্তে নতুন এবং ডিজিটাল মেশিন দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট থাকলে এক্স-রে সেবা কার্যক্রম চালু করা যেত। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা রোগীর অভিভাবক জামাল মিয়া বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পা ভেঙে হাসপাতালে এক্স-রে করাতে এসেছিলাম, কিন্তু হাসপাতালে নাকি টেকনোলজিস্ট নেই, এখন বাইরে থেকে এক্স-রে করাতে হচ্ছে। শুধু আমি না, আমার মতো অনেক রোগীই বাইরে থেকে এক্স-রে করতে বাড়তি টাকা গুনছে। সেই সঙ্গে সময়ও নষ্ট হচ্ছে। সরকারিভাবে করাতে পারলে কম টাকায় হতো। আমরা গরিবরা কিছুটা হলেও বাঁচতে পারতাম।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মঈনউদ্দিন আলমগীর বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটিতে ২০০ এসএস ক্ষমতাসম্পন্ন এক্স-রে মেশিনটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বুঝে পাওয়ার পর থেকেই এক্স-রে টেকনোলজিস্ট না থাকায় সেবা ব্যাহত হচ্ছে। একজন অফিস সহায়ককে ট্রেনিং করিয়ে এক্স-রে মেশিন চালু করলেও মেশিনটি আবারও নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন আগত রোগীরা।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> তিনি আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার চিঠি দিয়ে জানিয়েছি, নতুন একটি ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন ও একজন দক্ষ টেকনোলজিস্ট পেলে এক্স-রে সেবা চালু করা সম্ভব হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>