<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আগৈলঝাড়া উপজেলায় চলতি বছর আলু চাষের জন্য কৃষি অধিদপ্তর পাঁচটি প্রদর্শনী দিয়েছে। আলু প্রদর্শনীর আলুবীজ কৃষকদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপজেলায় ওই প্রদর্শনীর জন্য এক হাজার কেজি বীজ আলু পাঁচজন কৃষকের মধ্যে বিতরণ করা হয়। কৃষকদের অভিযোগ, প্রদর্শনীর জন্য যে আলু দেওয়া হয়েছে, ওই আলু বীজ আলু নয়। আগৈলঝাড়ার কৃষি কর্মকর্তা পীযূষ রায় বীজ আলুর পরিবর্তে বাজার থেকে খাওয়ার আলু ক্রয় করে চাষিদের দিয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কৃষক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কৃষকদের মাঝে আলু প্রদর্শনীর জন্য আমল হালদার, মকবুল হোসেন জমাদ্দার, দশরৎ হালদার, তরনী শিকারী ও যতীন্দ্রনাথ মিস্ত্রীকে নির্ধারণ করেছে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর। আলু চাষের জন্য প্রত্যেক চাষিকে ইউরিয়া ২৫ কেজি, পটাশ ৩০ কেজি, জৈব সার ১৪ কেজি, ডিএফপি ২০ কেজি, দস্তা এক কেজি, জিংক এক  কেজি ও আলুবীজ ২০০ কেজি দেওয়া হয়। চলতি মৌসুমে চাষিরা আলু বপনের জন্য জমি চাষ ও সার দিয়ে প্রস্তুত করেন। চাষিরা আলুবীজের বস্তা খুলে কাটা, পচা ও নিম্নমানের খাওয়ার আলু দেখতে পান। বীজ আলুর পরিবর্তে নিম্নমানের খাওয়ার আলু বিতরণ করায় চাষিরা আলু প্রদর্শনীর জমিতে আলু বপন করতে পারছেন না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ পীযূষ রায় সাংবাদিকদের বলেন, বিএডিসির ও অন্য কোনো কম্পানির আলুবীজ না পাওয়ায় জয়পুরহাট জেলা থেকে আলু ক্রয় করে সরবরাহ করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বরিশাল জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মুরাদুল হাসান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>